দুই আফ্রিকান যোগ হচ্ছেন শেখ রাসেলে

জয়ে প্রথম লেগ শেষ করা শেখ রাসেল নব উদ্যমে নেমেছে দলবদলের বাজারে। মধ্যবর্তী দলবদলে নতুন বিদেশি আনছে তারা দ্বিতীয় লেগের জন্য। আসছেন দুই আইভরি কোস্টের ফুটবলার চার্লস দিদিয়ের ও নাইজেরিয়ার ইসমাহিল আকিনাদে। অবশ্য ভালো ‘নাম্বার নাইন’ এর সন্ধান পায়নি তারা এখনো।

শেখ রাসেল ক্রীড়া চক্রের কোচ জুলফিকার মাহমুদ মিন্টু বলেছেন, ‘দ্বিতীয় লেগে আমাদের ভালো করতে হবে। একটা সম্মানের জায়গায় লিগ শেষ করতে চাই আমি। তাই ভালো বিদেশিদের নিয়ে দলটা নতুন করে গোছাতে হবে। এ লক্ষ্যে ক্লাব ম্যানেজমেন্ট কাজ করছে। এরই মধ্যে নাইজেরিয়া ও আইভরি কোস্টের দুজনকে আমরা চূড়ান্ত করেছি। ’ প্রায় সব সময় রাসেলের বিদেশির অঙ্কটা মেলে না। এবারও হয়েছে তা-ই। প্রফাইল দেখে ক্লাব নিয়ে এসেছিল ব্রাজিলিয়ান এলটন মাচাদো ও থিয়াগো আমারাল আর পর্তুগিজ ইসমাইল রুটিকে। তাঁদের পায়ে ফুটবলের ধার একসময় ছিল। কিন্তু অযত্ন-অবহেলায় হারিয়েছেন সব অসময়ে। তা ছাড়া দলের ট্রেনিংও করতে চাইতেন না নিয়মিত। একজনকেও নিয়মিত একাদশে খেলার মতো অবস্থা ছিল না। এর পরও খেলাতে হয়েছিল। প্রথম লেগের শেষ দিকে জুলফিকার মাহমুদ মিন্টু দায়িত্ব নেওয়ার পর ইসমাইল ও মাচাদোকে বাদ দিয়েই দল গড়েছিলেন। তাঁদের বিদায় দেওয়ার প্রস্তুতি চলছে ক্লাবে।

তাঁদের জায়গায় আসছেন পুরনো আইভরিয়ান চার্লস দিদিয়ের। এই মিডফিল্ডার আগে চট্টগ্রাম আবাহনীর হয়ে খেলে গেছেন। তাঁর সঙ্গী হয়ে আসছেন আরেক নাইজেরিয়ান উইঙ্গার ইসমাহিল আকিনাদে। তিনি মিসর লিগে খেলেছিলেন, কিন্তু মাঝপথে চুক্তি শেষ করে দেন ক্লাবের সঙ্গে। দুজন চূড়ান্ত হয়ে গেলেও শেখ রাসেল খুঁজছে একজন বক্সের স্ট্রাইকার। ‘কলম্বিয়া অনূর্ধ্ব-১৭ দলের স্ট্রাইকার জোসে কোরিয়াসহ কয়েকজন তালিকায় আছে। আমরা চেষ্টা করছি একজন ভালো স্ট্রাইকার আনতে’—বলেছেন রাসেল কোচ মিন্টু। তাঁর লক্ষ্য হলো, আট নম্বরে থাকা দলটাকে চতুর্থ-পঞ্চম স্থানে নিয়ে তোলা।

LEAVE A REPLY