রাশিয়া ইউক্রেনে হামলা করার পর দেশটির তেল, কয়লা ও বিভিন্ন জ্বালানির ওপর নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে ইউরোপীয় ইউনিয়ন।
তবে রাশিয়ার গ্যাসের ওপর নিষেধাজ্ঞা দেওয়া নিয়ে দুই ভাগ হয়ে গেছে ইউরোপীয় ইউনিয়ন ২৭টি দেশ।
কারণ এই ইউনিয়নের কয়েকটি দেশ আছে যারা পুরোপুরি রাশিয়ার গ্যাসের ওপর নির্ভরশীল।
রাশিয়ার কয়লা ও বিভিন্ন জ্বালানি তেলের ওপর নিষেধাজ্ঞা দেওয়ার পর এখন গ্যাসের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করতে আগাতে চাইছে ইউরোপীয় ইউনিয়ন।
তবে এর আগে অস্ট্রিয়ার চ্যান্সেলর কার্ল নেহেম্মার জানালেন, এমন নিষেধাজ্ঞা দিতে হবে যেটি তাদের চেয়ে রাশিয়ার ক্ষতি করবে।
তিনি বুঝিয়েছেন, যদি রাশিয়ার গ্যাসের ওপর নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয় তাহলে রাশিয়ার বদলে কয়েকটি দেশই বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হবে।
জার্মানি ও হাঙ্গেরি আগেই জানিয়েছে, রাশিয়ার গ্যাসের ওপর অন্তত এখন কোনো নিষেধাজ্ঞা তারা দিতে পারবে না।
হাঙ্গেরি, জার্মানির পর এবার অস্ট্রিয়াও জানাল, তারা রাশিয়ার গ্যাস ছাড়া অচল হয়ে যাবে।
গণমাধ্যম সিএনএনের সঙ্গে দেওয়া এক সাক্ষাতকারে নিজেদের অসহায়ত্বের কথা জানান অস্ট্রিয়ার চ্যান্সেলর।
গ্যাসের ওপর নিষেধাজ্ঞা দেওয়ার বিষয়ে অস্ট্রিয়ার চ্যান্সেলর বলেন, রাশিয়ার গ্যাসের ওপর নিষেধাজ্ঞার বিরুদ্ধে অস্ট্রিয়া একা না। জার্মানি ও হাঙ্গেরিও জানিয়েছে তারা নিষেধাজ্ঞার বিপক্ষে।
তিনি আরও বলেন, তেলের ওপর নিষেধাজ্ঞা নিয়ে আলোচনা হয়েছে। কিন্তু গ্যাসের বিষয়টি আলাদা। এটা শুধুমাত্র অস্ট্রিয়ার অবস্থান না। জার্মানি, হাঙ্গেরি, বুলগেরিয়ারও। আমরা তাদের গ্যাসের ওপর নির্ভরশীল। আমাদের ইন্ডাস্ট্রি তাদের গ্যাসের ওপর নির্ভরশীল।
আর তাই আমাদের এমন নিষেধাজ্ঞার কথা ভাবতে হবে যেগুলো আমাদের চেয়ে রাশিয়াকে বেশি আঘাত করবে।
অস্ট্রিয়ার চ্যান্সেলর আরও জানিয়েছেন, তারা রাশিয়ার ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা বন্ধ করবেন না। কারণ এ যুদ্ধ থামাতে হবে। তাছাড়া ইউরোপীয় ইউনিয়নের মধ্যে যে একতা আছে সেটিও দেখাতে হবে।
সিএনএনের পক্ষ থেকে বলা হয় বর্তমানে যেসব নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছে সেগুলো রাশিয়াকে যুদ্ধ বন্ধ করতে বাধ্য করতে পারেনি। তাহলে এখন কি করা উচিত।
এ প্রশ্নের জবাবে অস্ট্রিয়ার চ্যান্সেলর জানান, সামনে ভেবে-চিন্তে নিষেধাজ্ঞা দিতে হবে।
সূত্র: সিএনএন