ম্যারাডোনার মৃত্যুতে ডাক্তারদের অবহেলা

ব্যক্তিগত চিকিৎসককের সঙ্গে ম্যারাডোনা- ফাইল ছবি

পুরো বিশ্বকে অবাক করে দিয়ে ২০২০ সালের নভেম্বরে শুরুতে না ফেরার দেশে চলে গেলেন আর্জেন্টাইন মিডফিল্ডার দিয়াগো ম্যারাডোনা। মৃত্যুর আগে বেশ কয়েক দিন অসুস্থ ছিলেন তিনি। কেননা এর আগের মাসেই বুয়েন্সের এইরেসের হাসপাতালে মস্তিষ্কে জমাট বেঁধে থাকা রক্তের অপসারণের জন্য অস্ত্রোপচার করেছিলেন তিনি। এরপর থেকেই আর পুরোপুরি সুস্থ হয়ে উঠতে পারেননি ম্যারাডোনা।

বিশ্বনন্দিত এই ফুটবলারের মৃত্যুর পর আট চিকিৎসকের ওপর হত্যার অভিযোগ এনেছিল ম্যারাডোনার পরামর্শকরা। পরামর্শকরা বলেন, ম্যারাডোনার চিকিৎসকরা তার প্রতি অবহেলা করেছেন। অবিবেচকের মতো ম্যারাডোনাকে বাড়িতে রেখে চিকিৎসা করানোর জন্য চিকিৎসকদেরই দায়ী করছেন তারা। ম্যারাডোনার মৃত্যুর পর অনেকেই আঙুল তুলেছিলেন তার চিকিৎসকদের দিকে। আট চিকিৎসকের দুজন স্নায়ুরোগ বিশেষজ্ঞ লিওপোলদো লুক ও মনোবিদ অগাস্তিনা কোসাকোভের বিরুদ্ধে তদন্ত চলছেও।

ম্যারাডোনার স্বাস্থ্যের অবনতির জন্য দায়ী করা হয়েছে এ দুজনকে। অভিযোগের আঙুল তোলা হয়েছে ফিজিওলজিস্ট কার্লোস দিয়াজ ও চিকিৎসা সমন্বয়কারী ন্যান্সি ফোরলানির বিরুদ্ধেও। ফুটবলারের মৃত্যুর জন্য সরকারি উকিলেরা তার দেখাশোনার দায়িত্বে থাকা সব চিকিৎসককেই হত্যা মামলার আওতায় আনার অনুরোধ জানিয়েছেন। চিকিৎসকদের মামলার আওতায় আনার আরজিতে তারা বলেছেন, ম্যারাডোনার মৃত্যুর আগ মুহূর্তে চিকিৎসকরা চিকিৎসা বন্ধ করে দিয়েছেন। বাড়িতে চিকিৎসাধীন থাকা অবস্থায় ম্যারাডোনার ভবিষ্যৎ তার চিকিৎসকরা ভাগ্যের ওপর ছেড়ে দিয়েছিলেন বলেও অভিযোগপত্রে উল্লেখ করেছেন তারা।

এই অভিযোগ প্রমাণিত হলে ৮ থেকে ২৫ বছরের জেল হতে পারে চিকিৎসকদের। বিশ্ব ফুটবল ইতিহাসের সর্বকালের সেরা ফুটবলার হিসেবে বিবেচিত ম্যারাডোনার নেতৃত্বে ১৯৮৬ সালে বিশ্বকাপ জিতেছে আর্জেন্টিনা। টুর্নামেন্টে তার জাদুময় পারফরম্যান্স মন ভরিয়ে দিয়েছিল ফুটবলপ্রেমীদের। ম্যারাডোনার নেতৃত্বে ১৯৯০ সালের ইতালি বিশ্বকাপেও ফাইনালে খেলেছে আলবিসেলেস্তেরা। পরে ১৯৯৪ সালে যুক্তরাষ্ট্র বিশ^কাপে ড্রাগ টেস্টে পজেটিভ হওয়ায় তাকে নিষিদ্ধ করা হয়েছে।এসএইচ

LEAVE A REPLY