সালাহর জোড়া গোলে শীর্ষে ফিরল লিভারপুল

নিজের দ্বিতীয় গোলের উদযাপনে মোহামেদ সালাহ

ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডকে উড়িয়ে লিগ টেবিলের শীর্ষে উঠে এলো ইয়ুর্গেন ক্লপের দল। অ্যানফিল্ডে মঙ্গলবার রাতে প্রিমিয়ার লিগে ম্যাচজুড়ে আধিপত্য ধরে রেখে ৪-০ গোলে জিতেছে লিভারপুল। সালাহ জোড়া গোল ছাড়া জালের দেখা পেয়েছেন দলটির আক্রমণত্রয়ীর বাকি দুজনও, লুইস দিয়াস ও সাদিও মানে।

ম্যাচের শুরুতেই অনায়াসে ইউনাইটেডের রক্ষণ গুঁড়িয়ে এগিয়ে যায় লিভারপুল। পঞ্চম মিনিটে মাঝমাঠ থেকে ডি-বক্সে থ্রু পাস দিলেন মানে। গতিতে সবাইকে পেছনে ফেলে বল পেয়ে প্রথম ছোঁয়ায় ছয় গজ বক্সে বাড়ালেন সালাহ। আর ছুটে গিয়ে জোরাল শটে গোলরক্ষককে পরাস্ত করলেন কলম্বিয়ার ফরোয়ার্ড দিয়াস। এগিয়ে গেল লিভারপুল।

এরপর যেন আরও ফিকে হয়ে পড়ে ইউনাইটেড। প্রত্যাশিত চাপ ধরে রেখে ২২তম মিনিটে ব্যবধান দ্বিগুণ করে স্বাগতিকরা। এই গোলেও জড়িয়ে দারুণ ছন্দে থাকা মানের নাম। ডিফেন্ডারদের ওপর দিয়ে বাড়ানো তার দারুণ ক্রস ডি-বক্সে ডান পায় নিয়ন্ত্রণে নিয়ে সঙ্গে লেগে থাকা দিয়োগো দালোতকে কোনো সুযোগ না দিয়ে বাঁ পায়ের প্লেসিং শটে গোলটি করেন সালাহ।

এক মাসেরও বেশি সময় ও ৬ ম্যাচ পর জালের দেখা পেলেন তিনি। ক্লাবের হয়ে তার আগের তিনটি গোল ছিল পেনাল্টি থেকে, স্পট কিক বাদে সবশেষ গোল করেছিলেন গত ১৯ মার্চ। একসঙ্গে ‘দুই খরা’ কাটালেন মিশরের এই স্ট্রাইকার। কোণঠাসা ইউনাইটেড ৩৩তম মিনিটে পায় প্রথম কর্নার। যদিও তাতে উল্লেখযোগ্য কিছু করতে পারেনি তারা। একের পর এক আক্রমণে ৩৫তম মিনিটে আবারও জালে বল পাঠান দিয়াস, তবে পরিষ্কার অফসাইডে ছিলেন তিনি। প্রথম ৪৫ মিনিটে লিভারপুলের দাপটের সামনে কোনো জবাবই যেন জানা ছিল না ইউনাইটেডের। সংখ্যার চিত্রেও সেটা পরিষ্কার; এই সময়ে লিভারপুল ৯ শট নিয়ে লক্ষ্যে রাখতে পারে তিনটি, সেখানে ইউনাইটেড কোনো শটই নিতে পারেনি।

দ্বিতীয়ার্ধে লিভারপুলের গতি কিছুটা কমে আসে। সেই সুযোগে আক্রমণে উঠতে থাকে সফরকারীরা। তবে তেমন কোনো সুবিধা করতে পারছিল না তারা। ৫৫তম মিনিটে গোলে দলের প্রথম শট নেন জ্যাডন স্যানচো, অনায়াসে বল হাতে জমান আলিসন। ৬৮তম মিনিটে পাল্টা আক্রমণে স্কোরলাইনে নাম লেখান লিভারপুল আক্রমণত্রয়ীর আরেক তারকা মানে। বাঁ দিক থেকে দিয়াসের পাস পেনাল্টি স্পটের কাছে পেয়ে জোরাল শটে লক্ষ্যভেদ করেন সেনেগালের ফরোয়ার্ড। আসরে এটি তার ১৪তম গোল। ৮৫তম মিনিটে ইউনাইটেডের কফিনে শেষ পেরেকটি ঠুকে দেন সালাহ। বাঁ থেকে দিয়োগো জটার থ্রু পাস বক্সে বাঁ পায়ের আলতো ছোঁয়ায় নিয়ন্ত্রণে নিয়ে শট নেন তিনি। স্লাইডে ঠেকানোর চেষ্টা করা ডিফেন্ডার অ্যারন ওয়ান-বিসাকার পায়ে লেগে বল আগুয়ান দাভিদ দে হেয়ার ওপর দিয়ে জালে জড়ায়।

শীর্ষে ওঠা লিভারপুলের ৩২ ম্যাচে ২৩ জয় ও সাত ড্রয়ে পয়েন্ট হলো ৭৬। এক ম্যাচ কম খেলা সিটির পয়েন্ট ৭৪। ৩০ ম্যাচে ৬২ পয়েন্ট নিয়ে তিন নম্বরে চেলসি। ৩২ ম্যাচে ৫৭ পয়েন্ট নিয়ে চতুর্থ স্থানে টটেনহ্যাম। ৩১ ম্যাচ খেলা আর্সেনালের সমান ৫৪ পয়েন্ট ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের। কিন্তু গোল ব্যবধানে পিছিয়ে ষষ্ঠ স্থানে নেমে গেছে ৩৩ ম্যাচ খেলা রালফ রাংনিকের দল।ডি-ইভূ

LEAVE A REPLY