মৌসুমের নবমতম গোলের উদযাপনে মার্কো আসেনসিও
দুর্দান্ত ফর্মে থাকা বেনজেমার বাজে দিনেও শিরোপার আরও নিকট পৌঁছালো রিয়াল। দ্বিতীয়ার্ধে আট মিনিটের ব্যবধানে দুটি স্পট কিকে গোল করতে ব্যর্থ হলেও ওসাসুনার মাঠে পূর্ণ তিন পয়েন্টই পেল কার্লো আনচেলত্তির দল। বুধবার রাতে লা লিগার ম্যাচে ৩-১ গোলে জিতেছে রিয়াল।
ডাভিড আলাবা প্রতিযোগিতার সফলতম দলটিকে এগিয়ে নেওয়ার পর সমতা আনেন আন্তে বুদেমির। প্রথমার্ধের শেষ দিকে মার্কো আসেনসিও ফের এগিয়ে নেন দলকে। পরে যোগ করা সময়ে ব্যবধান আরও বাড়ান লুকাস ভাসকেস। এই জয়ে ৩৩ ম্যাচে রিয়ালের পয়েন্ট হলো ৭৮। এরই সঙ্গে শিরোপা লড়াই থেকে ছিটকে গেল আতলেতিকো ও সেভিয়া।
শিরোপা প্রায় নিশ্চিত হওয়া সত্বেও পছন্দের বেশ কয়েক জনকে বিশ্রাম দিয়ে একাদশ সাজান আনচেলত্তি। মাঝমাঠে শক্তি হারানো রিয়ালের সঙ্গে সমান তালে লড়াই করে ওসাসুনা। আক্রমণ-প্রতি আক্রমণে শুরু থেকে জমে ওঠে ম্যাচ। দ্বাদশ মিনিটে প্রথম ভালো সুযোগেই এগিয়ে যায় রিয়াল। ফ্রি-কিক থেকে ডি-বক্সে বল পেয়ে গোলমুখে বাড়ান বেনজেমা। গোলরক্ষক সের্হিও এররেরা কোনোমতে ফিরিয়ে দেন আলাবার শট।
ফিরতি বলে ঠিক মতো শট নিতে পারেননি এই ডিফেন্ডার, তবুও ভারসাম্য হারিয়ে ফেলা গোলরক্ষকের দুই পায়ের মাঝ দিয়ে জড়ায় জালে। তবে জবাব দিতে মোটেও সময় নেয়নি ওসাসুনা। দুই মিনিটের কম সময়ের মধ্যে সমতা ফেরায় তারা। ডান দিক থেকে বল নিয়ে রিয়ালের ডি-বক্সে ঢুকে পড়েন এসেকিয়েল আভিলা। তাকে সেভাবে চ্যালেঞ্জ জানাতে যাননি কেউ।
যথেষ্ট সময় পাওয়া আভিলা খুঁজে নেন অরক্ষিত আন্তে বুদেমিরকে। গোললাইনের সামনে দাঁড়ানো ক্রোয়াট এই ফরোয়ার্ড আলতো টোকায় সারেন বাকিটা। ৩২তম মিনিটে খুব কাছ থেকে বল জালে পাঠান বুদেমির। কিন্তু তিনিই অফসাইডে থাকায় গোল মেলেনি।

৪০তম মিনিটে আলাবার দূরপাল্লার শট ঝাঁপিয়ে ঠেকান এররেরা। পাঁচ মিনিট পর আর পারেননি। এদুয়ার্দো কামাভিঙ্গার ক্রসে ভাসকেসের শট কোনোমতে ঠেকান এররেরা, ফিরতি বল খুব কাছ থেকে জালে পাঠান আসেনসিও। চলতি আসরে স্প্যানিশ ফরোয়ার্ডের এটি নবম গোল।
দ্বিতীয়ার্ধের শুরু থেকে আক্রমণাত্মক ফুটবলে চাপ বাড়ায় ওসাসুনা। ৪৮তম মিনিটে সমতা আনার আশাও জাগায়। তবে আভিলার ক্রসে বুদেমিরের হেড কর্নারের বিনিময়ে ব্যর্থ করে দেন রিয়াল গোলরক্ষক থিবো কোর্তোয়া।
৫২তম মিনিটে স্পট কিক থেকে ব্যবধান আরও বাড়িয়ে নেওয়ার সুবর্ণ সুযোগ হাতছাড়া করেন বেনজেমা। ডান দিকে ঝাঁপিয়ে এই স্ট্রাইকারের শট ঠেকিয়ে দেন ওসাসুনা গোলরক্ষক। আভিলার হ্যান্ডবলের জন্য পেনাল্টি পেয়েছিল সফরকারীরা।
৫৯তম মিনিটে রদ্রিগোকে ওসাসুনা ডিফেন্ডার নাচো ভিদাল ফাউল করায় আবার পেনাল্টি পায় রিয়াল। আবার ডান দিকে ঝাঁপিয়ে বেনজেমার স্পট কিক ঠেকিয়ে দেন এররেরা! ২০০৩-০৪ আসরের পর এই প্রথম রিয়ালের বিপক্ষে একই ম্যাচে দুটি পেনাল্টি ঠেকিয়ে দিলেন কোনো গোলরক্ষক।
গ্যালারি থেকে মাঠে কোনো কিছু ছুঁড়ে মারায় ৮০তম মিনিটের দিকে কিছুক্ষণ খেলা বন্ধ রেখে দুই কোচের সঙ্গে কথা বলেন রেফারি। আবার খেলা শুরু হওয়ার পর দারুণ একটি সুযোগ পেয়ে যান কিছুক্ষণ আগে বদলি নামা ইসকো। তবে একটুর জন্য তার চেষ্টা থাকেনি লক্ষ্যে, ছুটে গিয়ে অল্পের জন্য বলের নাগাল পাননি নাচো।
বর্ধিত সময়ের চতুর্থ মিনিটে ব্যবধান বাড়িয়ে নেওয়ার দারুণ সুযোগ হাতছাড়া করেন ভিনিসিউস জুনিয়র। প্রতি-আক্রমণ থেকে বল পেয়ে আড়াআড়ি শট লক্ষ্যে রাখতে পারেননি ব্রাজিলিয়ান ফরোয়ার্ড। অথচ একদম ফাঁকায় দাঁড়িয়ে ছিলেন বেনজেমা।
দুই মিনিট পর আর ভুল করেননি ভিনিসিউস। আবার প্রতি-আক্রমণ থেকে বল পেয়ে ডি-বক্সে খুঁজে নেন ভাসকেসকে। পেনাল্টি স্পটের কাছ থেকে বাকিটা অনায়াসে সারেন তিনি।ডি-ইভূ