মধুমিতা সরকার
টলিউডের অভিনেত্রীদের মধ্যে এ মুহূর্তে শুরুর দিকেই নাম রয়েছে মধুমিতার। একের পর এক ছবি দিয়ে দর্শকের মনে পাকাপোক্ত জায়গা করে নিয়েছেন ছোট পর্দার পাখি! তবে নায়িকার কাজের পাশাপাশি ব্যক্তিগত জীবন নিয়েও কম আলোচনা হয়নি একসময়। বিশেষ করে বিয়ে আর ডিভোর্স। একটা সময় টেলিপাড়ার অন্যতম ‘হ্যাপেনিং কপল’ ছিলেন সৌরভ-মধুমিতা। ‘বোঝে না সে বোঝে না’ চলাকালীনই প্রেমিক সৌরভ চক্রবর্তীর সঙ্গে চুপচাপ আইনি বিয়ে সেরে নিয়েছিলেন অভিনেত্রী। কিন্তু ২০১৯-এর শেষের দিকেই সামনে আসে এ জুটির বিচ্ছেদের খবর।
সম্প্রতি ‘দিদি নম্বর ১’ অনুষ্ঠানের একটি ক্লিপ ভাইরাল হয়েছে। যেখানে এসেছিলেন মধুমিতা সরকার। অভিনেত্রীর কথা শুনে মনে হচ্ছিল, বিয়ের পর অনুষ্ঠানটিতে সেটাই প্রথম আসা। আর উপস্থাপিকা রচনা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ‘লোকজন না ডেকে বিয়ে করার কারণ’ প্রশ্নের উত্তরে মধুমিতার জবাব ছিল, সেই কতগুলো টাকা খরচ করে লোককে খাওয়ানো। তারপর সেই ডিভোর্স হয়ে গেলে টাকাগুলো তো বেকার খরচ হবে। তারচেয়ে ওই টাকায় একটা বাড়ি কেনা ভালো। খবর হিন্দুস্তান টাইমসের।
ভাইরাল হওয়া সেই ক্লিপটিতে ভুরি ভুরি মন্তব্য এসেছে। কেউ মধুমিতাকে ‘ভবিষ্যতদ্রষ্টা’ বলেছেন। আবার কেউ ‘ডিভোর্স হবে জেনেই তো দেখছি বিয়ে করেছিল’ বলে মন্তব্য করছেন।
আগের বিয়ের ব্যাপারে মধুমিতা একসময় বলেছিলেন, খুব অল্প বয়সে বিয়েটা করে ফেলার একটা আফসোস তো রয়েইছে। যদি আমি তাড়াহুড়ো করে তখন বিয়েটা না করতাম তবে আমি ক্যারিয়ারে আরও বেশি করে ফোকাস করতে পারতো। আমি খুব রোমান্টিক মানুষ, একদম খাদের কিনারায় না চলে যাওয়া অবধি ওই সম্পর্ক টিকিয়ে রাখবার চেষ্টা আমি করেছিলাম। এখন মনে হয় ওই বিয়ে ভেঙে আরও আগে বেরিয়ে আসা উচিত ছিল।ডি- এইচএ টলিউডবিনোদনমধুমিতা