ছবি : এএফপি
ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাখোঁ সোমবার প্রতিদ্বন্দ্বী মারিন লো পেনের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে জয়ী হওয়ার পর গভীরভাবে বিভক্ত জাতিকে একত্র করতে চেয়েছেন। এই নির্বাচনে অতি ডানপন্থীরা ক্ষমতা গ্রহণের সবচেয়ে কাছাকাছি পর্যায়ে পৌঁছে যায়।
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের চূড়ান্ত ফলাফল অনুসারে, ম্যাখোঁ দ্বিতীয় পর্যায়ের ভোটে ৫৮.৫৪ শতাংশ ভোট পেয়ে জয়লাভ করেছেন। লো পেন পেয়েছেন ৪১.৪৬ শতাংশ ভোট।
ম্যাখোঁ দুই দশকের মধ্যে প্রথম ফরাসি প্রেসিডেন্ট, যিনি দ্বিতীয় মেয়াদে জয়লাভ করলেন।
ইউরোপীয় ইউনিয়নের অন্যতম প্রধান একটি রাষ্ট্রে অতি ডানপন্থীরা ব্যর্থ হওয়ায় ইউরোপজুড়ে স্বস্তির নিঃশ্বাস পড়েছে। ২০১৭ সালে লো পেনের সঙ্গে লড়াইয়ে ৬৬ শতাংশের বেশি ভোট পেয়েছিলেন ম্যাখোঁ। গতকাল রবিবারের দ্বিতীয় পর্যায়ের নির্বাচনে লো পেন ৪১.৪৬ শতাংশ ভোট পাওয়ায় তা ছিল ডানপন্থীদের জন্য সর্বকালের সেরা ফল।
গতকাল রবিবার গভীর রাতে আইফেল টাওয়ারের পাশে সমর্থকদের উদ্দেশে দেওয়া ভাষণে ম্যাখোঁ গভীরভাবে বিভক্ত দেশটির ফাটল নিরাময়ের প্রতিশ্রুতি দেন। তিনি বলেন, ‘এখন থেকে আমি শুধু একটি দলের নই। সবার প্রেসিডেন্ট। দেশবাসীর অনেকের মধ্যে ক্ষোভ এবং মতবিরোধ রয়েছে। এ কারণেই অনেকে অতি ডানপন্থীদের ভোট দিয়েছে। এর উত্তর আমাদের খুঁজে বের করতে হবে। ’
গতকাল রবিবার দ্বিতীয় পর্যায়ের ভোটে মাত্র ৮.৬ শতাংশ মানুষ অংশ নেয়। ফ্রান্সে ১৯৬৯ সালের পর থেকে যেকোনো প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের দ্বিতীয় পর্যায়ে এটাই ছিল সর্বনিম্ন ভোটের হার।
ইউরোপীয় কাউন্সিল অন ফরেন রিলেশনের সিনিয়র পলিসি ফেলো এবং প্যারিস অফিসের প্রধান তারা ভার্মা বলেন, ‘ম্যাখোঁর জন্য সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ হবে একটি অত্যন্ত বিভক্ত দেশে সংহতির বোধ তৈরি করা। ’
সূত্র : এএফপি।