গোলের পর ম্যানসিটির খেলোয়াড়দের উল্লাস
দ্বৈরথের আগেই পেপ গার্দিওলার বার্তা ছিল, রিয়াল মাদ্রিদের ঐতিহ্যের সঙ্গে পাল্লা দেওয়ার ধৃষ্টতা তিনি দেখাবেন না। তবে তার ফুটবলাররা ইউরোপের অন্যতম সেরা ক্লাবের বিরুদ্ধে নিজেদের সেরা ফুটবল উপহার দেওয়ার চেষ্টা করবেন। মঙ্গলবার তেমনই এক নাটকীয় ম্যাচের সাক্ষী থাকল ইতিহাদ স্টেডিয়াম। সেমিফাইনালের প্রথম পর্বে ৪-৩ গোলে রিয়ালকে হারিয়ে কিছুটা হলেও এগিয়ে থাকল ম্যানচেস্টার সিটি।
৯০ মিনিটের টানটান উত্তেজনার এক সিনেমাই মঞ্চস্থ হলো যেন ইতিহাদ স্টেডিয়ামে। যার মূল কুশীলব করিম বেনজেমা থেকে শুরু করে গ্যাব্রিয়েল জেসুস, কেভিন ডে ব্রুইনা, ভিনিসিয়ুস জুনিয়র, বের্নার্দো সিলভা, ফিল ফোডেন – প্রত্যেকে!
ঘরের মাঠে ভরা গ্যালারিতে ওঠা গর্জনের সুবিধা ম্যাচের শুরুতেই তুলে নেয় ম্যানসিটি। ম্যাচের দুই মিনিটে রিয়াল মাদ্রিদ কিছু বুঝে ওঠার আগেই গোল করেন কেভিন ডি ব্রুইনি। তাকে দুর্দান্ত এক ক্রস দেন রিয়াদ মাহরেজ। মাথা ছুঁইয়েই জালে বল জড়িয়ে দেন ম্যানসিটির বেলজিয়াম মিডফিল্ডার।
এরপর ১১ মিনিটে গ্যাব্রিয়েল জেসুস দলের লিড ২-০ করে নেন। ব্রুইনির দেওয়া জোরের ওপর বল জেসুস দারুণভাবে নিয়ন্ত্রণে নিয়ে এবং রিয়াল ডিফেন্ডার ডেভিড আলাবাকে বোকা বানিয়ে জালে জড়িয়ে দেন তিনি।
প্রথমার্ধেই এক গোল করে লড়াই জমিয়ে তোলেন করিম বেনজেমা। ম্যাচের ৩৩ মিনিটে গোল করেন ফ্রান্সম্যান। ফারল্যান্ড মেন্ডির ক্রসে পা ছুঁইয়ে দারুণ এক গোল করেন তিনি। দ্বিতীয়ার্ধে আবার গোল করে বড় জয়ের সম্ভাবনা জাগায় ম্যানসিটি। গোল করেন ফিল ফোডেন। ফার্নানদিনহোর দেওয়া বলে হেড করেন এই ইংলিশ তরুণ তারকা।
রিয়াল মাদ্রিদ আবার ম্যাচে ফেরে। তৃতীয় গোল খাওয়ার দুই মিনিট পরেই গোল করেন ভিনিসিয়াস জুনিয়র। ম্যাচের ৫৫ মিনিটে ম্যাচের সেরা গোলটি করেন তিনি। ফার্নানদিনহোকে ডজ দিয়ে নিজেদের অর্ধের শেষে পাওয়া বল দুর্দান্ত গতিতে ডিফেন্ডারদের পরাস্ত করে গোল করেন ভিনি। ব্যবধান ৩-২ করে ফেলেন।
কিন্তু ওই সুবিধা আবার নিয়ে নেয় ম্যানসিটি। ম্যাচের ৭৪ মিনিটে গোল করেন বেনার্ড সিলভা। বক্সের মুখে ফাউলের সম্ভাবনা হওয়ায় রিয়াল ফুটবলাররা গা ছাড়া দেন। গোলরক্ষক থিবো কর্তোয়াও গা ছাড়া দেন। সুযোগ নিয়ে শট নিয়ে গোল করেন সিলভা। ৮২ মিনিটে বেনজেমা পেনাল্টি থেকে গোল করে আবার হারের ব্যবধান কমান।
ম্যাচ শেষে ম্যানসিটি নিশ্চয় একাধিক গোল মিসের আফসোস করছে। চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ফাইনালের লড়াই এখন দ্বিতীয় লেগে গিয়ে ঠেকেছে। ঘরের মাঠে পিএসজি এবং চেলসির বিপক্ষে কামব্যাকের গল্প লিখে জিতেছে রিয়াল মাদ্রিদ। বার্নাব্যুতে এবার সিটির বিপক্ষেও একই গল্প লিখতে হবে তাদের। ম্যানসিটির বিপক্ষে জিততে হবে অন্তত দুই গোলের ব্যবধানে। তবেই সরাসরি ফাইনালে যেতে পারবে রিয়াল।ডি-ইভূ