গরমের জ্বালা মেটাবে বাড়িতে তৈরি এই পাঁচ সুস্বাদু পানীয়

বৈশাখ মাস শেষের পথে। গরমের জ্বালা সর্বাঙ্গে বেশ ভালভাবেই টের পাওয়া যাচ্ছে। রাস্তায় বের হওয়াই যেন দায়। এসির ভরসায় আর কতক্ষণ থাকা যায়? অনেকেই গরম থেকে ক্ষণিকের রেহাই পেতে কোল্ড ড্রিঙ্কসে চুমুক দিচ্ছে। তাতে কিন্তু ক্ষতির সম্ভাবনাও রয়েছে। তার চেয়ে ঢের ভাল এ দেশের পানীয়। দোকানের ভরসায় না থেকে খুব সহজেই বাড়িতে তৈরি করে ফেলা যায়।

আম পান্না

আম পান্না

গরমই তো আম খাওয়ার সেরা সময়। শরীর ঠান্ডা রাখতে কাঁচা আমের জুড়ি মেলা ভার। কাঁচা আম সিদ্ধ করে নিন যাতে তার ভিতরটা নরম হয়ে যায়। এবার পরিমাণ মতো পানিতে তা মিশিয়ে দিন। এই মিশ্রণে স্বাদমতো লবণ, চিনি, জিরে গুড়া আর বিট লবণ মিশিয়ে দিলেই তৈরি আম পান্না। একটু পুদিনা পাতার কুচিও মিশিয়ে দিতে পারেন।

ছাতুর সরবত

ছাতুর সরবত

এতে শরীর তো ঠান্ডা করার উপকরণ তো আছেই, পাশাপাশি পুষ্টিগুণও প্রচুর। মহিলাদের ঋতুস্রাবের সময় এই সরবত খাওয়া উচিত। ঠান্ডা পানিতে ছাতু, লবণ, লেবুর রস, জিরে গুড়া, বিট লবণ, কুচি করে কাটা মরিচ এবং পুদিনা পাতা দিয়ে মিশিয়ে নিলেই তৈরি হয়ে যায়।

আইসড জলজিরা

আইসড জলজিরা

ঠান্ডা পানিতে তেতুলের পেস্ট, পুদিনা পাতার কুচি, এমনি জিরের গুড়া, রোস্ট করা জিরের গুড়া, গুড়, বিট লবণ, আদা গুড়া, লেবুর রস, সামান্য মরিচের গুড়া, গরমমশলা মিশিয়ে তৈরি করে ফেলুন জলজিরা। এটি স্বাদে যেমন ভাল, তেমনই শরীরের আর্দ্রতা বজায় রাখে।

শিকঞ্জি

শিকঞ্জি

পুদিনা পাতার সঙ্গে লেবুর রস মিশিয়ে মিশ্রণ তৈরি করে ফেলুন। তাতে বিট লবণ, গোল মরিচ, এমনি লবণ এবং চিনি মিশিয়ে নিন। এবার এতে একটু খাবার সোডা মিশিয়ে দিলেই তৈরি হয়ে যাবে শিকঞ্জি। চাইলে কয়েকটা বরফের টুকরো দিয়ে দিতে পারেন।

মশলা ছাঁচ

মশলা ছাঁচ

ছাঁচ এখন প্যাকেটেই পাওয়া যায়। তবে তাজা খাওয়ার মজাই আলাদা। এর জন্য খুব বেশি কষ্ট করতে হবে না। টক দইয়ে কুচো ধনে পাতা, কাঁচা মরিচ কুচো, স্বাদ মতো লবণ, চাট মশলা আর একটু পানি মিশিয়ে দিন। তাতেই তৈরি হয়ে যাবে শরীর ঠান্ডা করার পানীয়টি।টিআর

LEAVE A REPLY