নতুন মালিক পেল চেলসি

আমেরিকার ধনকুবের টড বোহেলি

চেলসিতে রাশিয়ান যুগের অবসান হয়েছে। শুরু হয়েছে আমেরিকান যুগ। আমেরিকার ধনকুবের টড বোহেলি ইংলিশ ক্লাবটি কিনে নিয়েছেন ৫.২ বিলিয়ন ডলারে। রাশিয়ান ধনকুবের আব্রামোভিচ ২০০৩ সালে চেলসিকে কিনেছিলেন। তার আমলে গেল ১৯ বছরে চেলসি অনেক সাফল্য পেয়েছে। কিন্তু রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে তার ওপর ব্রিটিশ নিষেধাজ্ঞা আসায় তিনি চেলসিকে বিক্রি করে দেয়ার সিদ্ধান্ত নেন। মার্চে চেলসিকে বিক্রি করে দেয়ার ঘোষণা দেন আব্রামোভিচ। অবশেষে তিনি ইংলিশ ক্লাবটিকে বিক্রি করতে সক্ষম হন।

টড বোহেলি অবশ্য ক্রীড়াঙ্গনে নতুন নন। আমেরিকান বেসবল ক্লাব এলএ ডজার্সের মালিক বোহেলি, মার্ক ওয়াল্টার, সুইস বিলিয়নিয়ার হান্সইয়োর্গ উইস এবং ক্লিয়ারলেক ক্যাপিটালের সম্মিলিত কনসোর্টিয়ামই এখন চেলসির নতুন মালিক। চেলসি কেনার আগ্রহীর তালিকায় ছিলেন টেনিস তারকা সেরিনা উইলিয়ামস, ফর্মুলা ওয়ানের কিংবদন্তি লুইস হ্যামিল্টনসহ একঝাঁক ধনকুবের। কিন্তু শেষ পর্যন্ত ইংলিশ ক্লাব জায়ান্ট চেলসি কিনে নেন যুক্তরাষ্ট্রের ব্যবসায়ী টড বোহেলির মালিকানাধীন সংস্থা।

চেলসির পক্ষ থেকে এক বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, দুই পক্ষ ৪.২৫ বিলিয়ন পাউন্ড বা ৫.২ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের বিনিময়ে মালিকানা হাতবদলে রাজি হয়েছে। সবমিলিয়ে পুরো প্রক্রিয়া শেষ করতে ৪৯০ কোটি ইউরো বা বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় ৪৪ হাজার কোটি টাকা ব্যয় হবে। এখন শুধু প্রিমিয়ার লিগ কর্তৃপক্ষ ও ব্রিটিশ সরকারের অনুমোদনের অপেক্ষা। ক্লাবের শেয়ার বাবদ ২.৫ বিলিয়ন পাউন্ড খরচ করবেন চেলসির নতুন মালিকপক্ষ। এছাড়া বাকি টাকা খেলোয়াড়দের বেতন ও অন্যান্য খাতে ব্যয় হবে। অন্যদিকে চেলসির স্থগিত ব্যাংক একাউন্টে থাকা বিপুল পরিমাণ অর্থ চ্যারিটির জন্য দান করা হবে বলে জানা গেছে। ক্লাব বিক্রির অর্থও আব্রাহিমোভিচ পাবেন না। পুরো অর্থ খরচ করা হবে ইউক্রেনের যুদ্ধবিধ্বস্তদের পুনর্বাসনের কাজে। ২০১৯ সালে চেলসিকে কিনতে আব্রামোভিচকে ২.২ বিলিয়ন পাউন্ডের প্রস্তাব দিয়েছিলেন বোহেলি। তখন ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগে ঢোকার ইচ্ছার কথা জানিয়েছিলেন এই ব্যবসায়ী।

রাশিয়ান ধনকুবের আব্রামোভিচ

ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধ শুরুর পরেই চেলসির পরিচালক পদ থেকে সরিয়ে দেয়া হয় ক্লাবের প্রকৃত মালিক রোমান আব্রাহিমোভিচকে। মূলত নিজ দেশের প্রেসিডেন্ট ভøাদিমির পুতিনের ঘনিষ্ঠ সহযোগী হিসেবে তার খ্যাতি থাকায় যুক্তরাজ্যে থাকা সব সম্পদ জব্দ করে ব্রিটিশ সরকার। আব্রাহিমোভিচকে একপ্রকার নিষিদ্ধ করার পরেই চেলসি বিক্রির তোড়জোড় শুরু হয়।

চেলসি কেনার জন্য ইংল্যান্ডের সবচেয়ে ধনী ব্যক্তি স্যার জিম র‌্যাটক্লিফও প্রস্তাব দিয়েছিলেন। এছাড়া আগ্রহীর তালিকায় ছিলেন বিশ্ব অ্যাথলেটিক্স সংস্থার সভাপতি সেবাস্তিয়ান কো, ব্রিটেনের বিশিষ্ট নির্মাণকারী সংস্থা নিক ক্যান্ডি, আমেরিকার বেসবল ক্লাব শিকাগোর কর্ণধার রিকেটস পরিবার, দক্ষিণ কোরিয়ার সংস্থা হানা গোষ্ঠী এবং সি এন্ড পি স্পোর্টস লিমিটেড। কিন্তু তারা কেউই সফল হতে পারেননি।এসএইচ

LEAVE A REPLY