সম্মতি না নিয়ে গর্ভপাত করিয়ে ভ্রুণ হত্যার অভিযোগে এআইজি (এসপি পদমর্যাদা) মোহাম্মদ মহিউদ্দিন ফারুকীর বিরুদ্ধে করা মামলার তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের তারিখ পিছিয়ে আগামী ২৯ মে দিন ধার্য করেছেন আদালত। রবিবার (৮ মে) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট শহিদুল ইসলাম এ দিন ধার্য করেন।
এদিন মামলাটি তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের জন্য দিন ধার্য ছিল। তবে ডিবি পুলিশ প্রতিবেদন দাখিল করতে না পারায় আদালত প্রতিবেদন দাখিলের জন্য নতুন দিন ধার্য করেন। এআগে গত ১৫ মার্চ এক নারী আদালতে বাদী হয়ে মোহাম্মদ মহিউদ্দিন ফারুকীর বিরুদ্ধে এ মামলাটি দায়ের করেন। আদালত বাদীর জবানবন্দী গ্রহণ করে ডিবি পুলিশকে প্রতিবেদন দাখিলের জন্য আজকের দিনটি ধার্য করেন। এজাহার থেকে জানা যায়, ফেসবুকের মাধ্যমে ২০১৯ সালে মহিউদ্দিন ফারুকীর সঙ্গে পরিচয় হয় আয়শার।
এরপর তিনি বিভিন্ন অজুহাতে আয়শার বাসায় যাতায়াত করেন। প্রথম স্ত্রীকে তালাক দিয়ে আয়শাকে বিয়ে করতে চান তিনি। পরে আয়শার সঙ্গে শারীরিক সম্পর্ক স্থাপন করেন। একপর্যায়ে আয়শা অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়েন। আয়শাকে ভিটামিন ওষুধ খাওয়ানোর কথা বলে গর্ভপাত করানোর ওষুধ খাইয়ে দেন। এতে আয়শা অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে হাসপাতালে নিয়ে যান ফারুকী। সেখানে গর্ভপাত করার সময় স্বামীর নামের স্থলে ফারুকী সই করেন। কিন্তু গর্ভপাতে আয়শার সম্মতি ছিল না।
এছাড়া আরও বলা হয়, গর্ভপাতের পর ফারুকীর সঙ্গে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন করেন আয়শা। পরে ফারুকী কৌশলে তার সঙ্গে আবারও সম্পর্ক গড়ে তোলেন। সহকর্মীদের কাছে আয়শাকে দ্বিতীয় স্ত্রী হিসাবে পরিচয় করিয়ে দেন। ২০২১ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারি আয়শাকে বিয়ে করার কথা বলে চাপের মুখে তার স্বামীকে তালাক দিতে বাধ্য করেন। এরপর ২০২১ সালে ১৬ এপ্রিল ওই নারী আবারও গর্ভবতী হওয়ার খবর পান। ২৮ এপ্রিল মহিউদ্দিন ফারুকীকে এ খবর দেন। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে তাকে হুমকি দেন ফারুকী।এসএইচ