জমি নিয়ে বিরোধের ঘটনায় প্রতিপক্ষের হামলায় খুন হয় বাবলু

আটককৃত আসামি মুকুল শেখ

জমি-জমা নিয়ে বিরোধকে কেন্দ্র করে বাবলু শেখকে (৫০) হত্যার ঘটনায় অভিযুক্ত মুকুল শেখকে (৩৭) গ্রেপ্তার করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)। সোমবার (৯ মে) রাতে ঢাকার আশুলিয়া থানার জিরাবো এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাকে আটক করা হয়।

মঙ্গলবার (১০ মে) দুপুরে মালিবাগ সিআইডি কার্যালয়ে এ ঘটনায় সংবাদ সম্মেলন করা হয়। সেখানে সিআইডির এলআইসি শাখার বিশেষ পুলিশ সুপার মুক্তা ধর বলেন, মধ্যযুগীয় কায়দায় জমি দখলকে কেন্দ্র করে দেশের কোথাও কোথাও নৃশংসভাবে হত্যার ঘটনা সংগঠিত হয়ে আসছে। তেমনি একটি মর্মান্তিক, নৃশংস ও বর্বরোচিত ঘটনা ঘটে খুলনার তেরখাদা থানাধীন আদালতপুর সাকিনে বাবলু শেখের বাড়িতে। জমি-জমা নিয়ে বিরোধকে কেন্দ্র করে তার বাড়িতে প্রবেশ করে টেটা, বল্লম, রাম দা, শরকি ও ঝুপিসহ অন্যান্য দেশিয় অস্ত্র শস্ত্রে সজ্জিত হয়ে তাকে হত্যা করে পালিয়ে যায় আসামিরা। হত্যাকাণ্ডের পর সিআইডি তদন্ত শুরু করে আসামিকে গ্রেপ্তারে সক্ষম হয়।

মঙ্গলবার দুপুরে মালিবাগ সিআইডি কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে সিআইডির এলআইসি শাখার বিশেষ পুলিশ সুপার মুক্তা ধর ও অন্যরা। ছবি: ভোরের কাগজ

তিনি আরো বলেন, গ্রেপ্তার আসামি মুকুল শেখ ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে জানায় তাদের সঙ্গে নিহত বাবলু শেখদের জায়গা-জমি নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলে আসছিল। সেই বিরোধের জের ধরে আসামি তার অন্যান্য সহযোগীসহ গত ৪ মে সকাল ১০টার সময় টেটা, বল্লম, রাম দা, শরকি, ঝুপিসহ অন্যান্য দেশিয় অস্ত্র শস্ত্রে সজ্জিত হয়ে ভিকটিমের বাড়িতে অতর্কিত হামলা চালিয়ে ব্যাপক ভাংচুর শুরু করে। ভিকটিম বাবলু শেখ তার ছেলে নাজমুলসহ ঘর থেকে বের হয়ে কিছু বুঝে ওঠার আগেই মুকুল শেখের হাতে থাকা ৪ শলা বিশিষ্ট ঝুপি দিয়ে বাবলু শেখের মাথা লক্ষ্য করে কোপ দিলে ৪টি শলাই বাবলু শেখের কপাল ও মাথার মধ্যে ঢুকে গুরুতর রক্তাক্ত জখম হয়ে মাটিতে পড়ে যায়।

এ সময় অন্যান্য আসামিরা বাবুলের মৃত্যু নিশ্চিত করার জন্য এলোপাতাড়ি পিটিয়ে হুমকি দিয়ে দ্রুত ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যায়। তার চিৎকারে আশপাশের লোকজন এগিয়ে এসে গুরুতর রক্তাক্ত জখমপ্রাপ্ত বাবলু শেখকে তেরখাদা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করে। এ হত্যাকাণ্ডের পর নিহত বাবলু শেখের ছেলে নাজমুল শেখ বাদী হয়ে খুলনার তেরখাদা থানায় একটি হত্যা মামলা করেন। এর পরই বিভিন্ন তদন্ত সংস্থার পাশাপাশি সিআইডির এলআইসি শাখা ছায়া তদন্ত শুরু করলে মামলার ঘটনার সঙ্গে জড়িত আসামি মুকুল শেখকে গ্রেপ্তারে সক্ষম হয়।রি-এআরজে/ইভূ 

LEAVE A REPLY