ফিনল্যান্ড-সুইডেন কেন ৭৭ বছরেও ন্যাটোতে যোগ দেয়নি?

যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বাধীন সামরিক জোট ন্যাটোতে যোগ দেওয়ার দ্বারপ্রান্তে আছে ফিনল্যান্ড। অন্যদিকে একই পথ অবলম্বন করতে যাচ্ছে সুইডেন। 

ন্যাটো প্রতিষ্ঠিত হয় ১৯৪৫ সালে। ওই সময় নর্ডীক অঞ্চলের অন্য তিন দেশ নরওয়ে, ডেনমার্ক ও আইসল্যান্ড একদম শুরুতেই ন্যাটোতে যোগ দেয়। কিন্তু নর্ডীক অঞ্চলের বাকি দুই দেশ সুইডেন ও ফিনল্যান্ড জোটটিতে নাম লেখায়নি। 

ন্যাটো প্রতিষ্ঠিত হয়েছে ৭৭ বছর। কিন্তু এ সময়ের মধ্যেও কেন ফিনল্যান্ড-সুইডেন ন্যাটোতে যোগ দেয়নি?

তাদের ন্যাটোতে যোগ না দেওয়ার কারণ হলো ঐতিহাসিক ও ভূ-রাজনৈতিক। 

রাশিয়া ও ফিনল্যান্ড দুই দেশই ১৯১৭ সালে রাশিয়ার কাছ থেকে রুশ বিপ্লবের পর স্বাধীনতা লাভ করে। 

সুইডেন দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর হওয়া স্নায়ু যুদ্ধে নিরপেক্ষ ছিল। তারা যুক্তরাষ্ট্র বা সোভিয়েত কারও পক্ষেই যায়নি। 

ফিনল্যান্ডের জন্য বিষয়টি কঠিন ছিল। কারণ ক্ষমতাধর দেশ রাশিয়ার সঙ্গে তাদের রয়েছে বিশাল সীমানা। শান্তি বজায় রাখার জন্য ফিনল্যান্ডের নেতারা সময়ে সময়ে সোভিয়েত নেতাদের বিভিন্ন দাবি-দাওয়া মেনে নিয়েছে। 

কিন্তু সোভিয়েত ইউনিয়ন ভেঙে যাওয়ার পর রাশিয়ার সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলার বিষয়টি বাদ দেয় ফিনল্যান্ড ও সুইডেন।

১৯৯৫ সালে তারা একই সঙ্গে ইউরোপীয় ইউনিয়নে যোগ দেয়  এবং এরপর থেকে পশ্চিমা দেশগুলোর সঙ্গে সখ্যতা গড়ে তোলে।  কিন্তু তবুও ন্যাটোতে যোগ দেওয়ার চিন্তা-ভাবনা থেকে দূরে থাকে তারা। 

সুইডেন ও ফিনল্যান্ডের দুই দেশেরই ন্যাটোতে যোগ দেওয়া থেকে বিরত থাকার আলাদা কারণ ছিল। 

ফিনল্যান্ড ন্যাটোতে যোগ না দেওয়ার কারণ ছিল ভূ-রাজনৈতিক। কারণ তাদের সঙ্গে রাশিয়ার রয়েছে বিশাল সীমানা। 

অন্যদিকে সুইডেন ন্যাটোতে যোগ দেয়নি ফিনল্যান্ড যেন ঝামেলায় না পড়ে। 

ফিনল্যান্ডের সঙ্গে সুইডেনের সম্পর্ক বেশ গভীর। তারা যদি ন্যাটোতে যোগ দেওয়ার উদ্যোগ নিত তাহলে তাদের ভয় ছিল এর উত্তপ্ত প্রভাব এসে পড়ত ফিনল্যান্ডের ওপরও। তাই ফিনল্যান্ডকে শান্ত রাখতেই তারা ন্যাটোতে যোগ দেওয়ার ইচ্ছা প্রকাশ করেনি। 


সূত্র: সিএনএন

LEAVE A REPLY