দিনাজপুরের বীরগঞ্জে মো. নজরুল ইসলাম (৩০) নামে এক মানসিক প্রতিবন্ধীকে ভুট্টা চুরির অভিযোগে মারধর করা হয়েছে। মারধরের ফলে অসুস্থ হয়ে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যায় বলে দাবি করেছেন পরিবারের লোকজন।
তার হত্যার বিচার চেয়ে সড়কে লাশ রেখে বিক্ষোভ করেছেন স্বজনরা। সংবাদ পেয়ে পুলিশ লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য দিনাজপুর এম আব্দুর রহিম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করেছে।
মো. নজরুল ইসলাম উপজেলার শতগ্রাম ইউনিয়নের প্রসাদপাড়া গ্রামের মৃত মো. রফিকুল ইসলাম খাঁর ছেলে।
সোমবার সকাল ৭টায় দিনাজপুর এম আব্দুর রহিম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যায়।
এ ব্যাপারে মৃত মো. নজরুল ইসলামের মামা মো. আবু বক্কর সিদ্দিক কালু জানান, বৃহস্পতিবার বেরা ১১টায় একই এলাকার রাঙ্গালীপাড়া গ্রামের মো. আবু হানিফার ছেলে মো. ইয়াসিন আলীর (৪৫) ভুট্টা ক্ষেতে গিয়ে পরিত্যক্ত ভুট্টা সংগ্রহ করে মানসিক প্রতিবন্ধী মো. নজরুল ইসলাম। এতে ভুট্টা ক্ষেতের মালিক ইয়াসিন আলী ক্ষিপ্ত হয়ে তাকে কয়েক দফা মারধর করে। মারধরের ফলে অসুস্থ হয়ে পড়ে নজরুল ইসলাম। তাকে শনিবার গুরুত্বর অসুস্থ অবস্থায় দিনাজপুর এম আব্দুর রহিম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সোমবার সকাল ৭টায় মারা যায়।
তিনি বলেন, মারধরের ফলে তার মৃত্যু হয়েছে তাই এটি একটি হত্যাকাণ্ড। আমরা এই হত্যার দাবিতে লাশ ঝাড়বাড়ী বাজারের সড়কে রেখে প্রতিবাদ জানাই। পরে পুলিশের আশ্বাসে থানায় এসে মো. ইয়াসিন আলী ও তার ছোটভাই মো. মনজুরুল ইসলামকে আসামি করে মামলা দায়ের করা হয়েছে।
তবে অভিযোগ অস্বীকার করে ভুট্টা ক্ষেতের মালিক মো. ইয়াসিন আলীর ছোটভাই মো. মনজুরুল ইসলাম জানান, কয়েকদিন পূর্বে নিহতের আত্মীয় মো. জবুর শেখের ছেলে মো. আবু তালেবের সঙ্গে আমার ঝগড়া হয়। সেটি সামাজিকভাবে স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তির উপস্থিতিতে মীমাংসা করা হয়েছে। মো. নজরুল ইসলাম দীর্ঘদিন ধরে কিডনি রোগে ভুগছেন। তিনি কিডনি রোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুবরণ করেছেন। অথচ তার সেই মৃত্যুকে হত্যাকাণ্ড বলে প্রচারণা চালিয়ে আমারদের ওপর চাপিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করে হচ্ছে। আমরা এ ঘটনার নিরপেক্ষ তদন্ত দাবি করছি।
বীরগঞ্জ থানার ওসি সুব্রত কুমার সরকার বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, সংবাদ পাওয়া মাত্রই আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। এ ব্যাপারে মৃতের বড়ভাই মো. নুর ইসলাম বাদী হয়ে দুজনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছেন।