মঙ্গলবার ভারতের আসামে হাফলং রেলস্টেশনে বানের পানিতে ট্রেন উল্টে যায়
আসামে বানের পানির স্রোতে একটি ট্রেন উল্টে গেছে। মঙ্গলবার (১৭ মে) হাফলং রেলস্টেশনে এ ঘটনা ঘটেছে। সেখানকার এক বাসিন্দা এর ভিডিও ধারণ করেন। তাতে দেখা যায়, বন্যা উপদ্রুত একটি অঞ্চলে পানির স্রোতে একটি ট্রেন উল্টে যাচ্ছে।
বন্যা পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে আসামের বাজালি, বাকসা, কাছাড়, চরাইদেও, দারাং, ধেমাজি, ডিব্রুগড়, ডিমা হাসাও, কামরূপ, কার্বি আলং, নওগাঁও, শোনিতপুর, মাজুলি এবং হোজাইসহ আরও ২০টি জেলা। এসব জেলার মধ্যে সবচেয়ে ভয়াবহ অবস্থা হোজাই ও কাছাড়ে। হোজাইয়ে ৭৯ হাজার ও কাছাড়ে ৫২ হাজার মানুষ বন্যায় মানবেতর জীবনযাপন করছেন। এছাড়া ৬৫২টি গ্রামের দুই লাখের বেশি মানুষ পানিবন্দী রয়েছেন। খবর আনন্দবাজার পত্রিকার।
কাছাড়ে বন্যায় দুইজনের মৃত্যু হয়েছে। ডিমা হাসাওয়ে ধসে আরও তিন জনের মৃত্যু হয়েছে। ধসের কারণে বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে হাফলং ও ডিমা হাসাও জেলা দুইটি। গুয়াহাটি-শিলচর এক্সপ্রেস নিউ হাফলং স্টেশনে বন্যার কারণে আটকে পড়েছিল। রেলে আটকে থাকা ১০০ যাত্রীকে বিমান বাহিনীর হেলিকপ্টারে উদ্ধার করে। অন্যদিকে, শিলচর-গুয়াহাটি এক্সপ্রেস ডিমা হাসাও ও কাছাড় জেলার মাঝামাঝি স্থানে আটকে পড়ে।
১৫ মে থেকে হাফলঙের সঙ্গে সড়ক, রেল যোগাযোগ পুরোপুরি বিচ্ছিন্ন। ডিমা হাসাওয়ের অবস্থা আরও ভয়াবহ। বিচ্ছিন্ন দ্বীপের মতো অবস্থা এই জেলার। বন্যার কারণে ডিমা হাসাওয়ের লামডিং-বদরপুর ট্রেন শাখা পুরোপুরি ক্ষতিগ্রস্ত। ফলে দক্ষিণ অসম, মণিপুর, মিজোরাম ও ত্রিপুরার রেল যোগাযোগ থমকে যায়। উত্তর-পূর্ব সীমান্ত রেল জানিয়েছে, দ্রুত পরিষেবা চালু করার কাজ শুরু হয়ে গেছে।ডি- এইচএ