তথ্য গোপন করে অবৈধ শেয়ার ব্যবসায় জড়িত বীমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষের (আইডিআরএ) চেয়ারম্যান ড. এম মোশাররফ হোসেন। নিজের ও স্ত্রীর নামে কোম্পানি খুলে বিভিন্ন বিমা কোম্পানির শেয়ার কিনেছেন। এরপর নিয়ন্ত্রক সংস্থা থেকে মূল্য সংবেদনশীল তথ্য ছড়িয়ে এসব কোম্পানির শেয়ারের কৃত্রিম সংকট করে দাম বাড়িয়েছেন। সিকিউরিটিজ আইনে এ ধরনের কাজ দণ্ডনীয় অপরাধ।
এছাড়াও বিভিন্ন কোম্পানির কাছে ঘুস দাবি, নিজের বোনকে চাকরি ও স্বজনপ্রীতিসহ নানা ধরনের দুর্নীতির মাধ্যমে সম্পদের পাহাড় গড়ে তুলেছেন তিনি। তার বিরুদ্ধে গঠিত সরকারের তদন্ত কমিটির রিপোর্ট এবং যুগান্তরের অনুসন্ধানে এসব চাঞ্চল্যকর তথ্য বেরিয়ে এসেছে।
এদিকে শেয়ারবাজারে বহু বিতর্কিত ফারইস্ট ইসলামী লাইফ ইন্স্যুরেন্স থেকে অর্থ লুটপাটের সরাসরি সুবিধা পেয়েছেন ড. এম মোশাররফ হোসেন। বাসার ডেকোরেশন, ছেলের সনদের অর্থ এবং বিভিন্ন সময়ে কোম্পানিটি থেকে নগদ টাকা নেন তিনি। এক্ষেত্রে দুর্নীতি আড়াল করতে আইডিআরএ চেয়ারম্যানকে ঘুস দিয়েছেন ফারইস্টের সাবেক চেয়ারম্যান নজরুল ইসলাম। এসব দুর্নীতির সব ডকুমেন্ট যুগান্তরের হাতে এসেছে। তবে এসব বিষয়ে নিজেকে নির্দোষ দাবি করেছেন তিনি।
আইডিআরএ চেয়ারম্যান ড. এম মোশাররফ হোসেনের বিরুদ্ধে অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ তদন্তে গত ২ এপ্রিল কমিটি গঠন করে অর্থ মন্ত্রণালয়। তদন্ত কমিটিতে রয়েছেন আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের অতিরিক্ত সচিব মো. হারুন অর রশিদ মোল্লা ও যুগ্মসচিব মৃত্যুঞ্জয় সাহা। কমিটি ইতোমধ্যে রিপোর্ট জমা দিয়েছে। রিপোর্টে অভিযোগের সত্যতা মিলেছে। এছাড়াও মোশাররফ হোসেনের দুর্নীতি তদন্তে কাজ করছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) ও বাংলাদেশ ফিন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট (বিএফআইইউ)।
দীর্ঘ অনুসন্ধানে জানা যায়, ড. মোশাররফ হোসেন নামসর্বস্ব দুটি কোম্পানি খুলে প্রতিটি কোম্পানির নামে দুটি করে মোট ৪টি তহবিল গঠন করেন। কোম্পানিগুলো হলো লাভস অ্যান্ড লাইভ অর্গানিক লিমিটেড ও গুলশান ভ্যালি অ্যাগ্রো ইন্ডাস্ট্রিজ। ৪টি তহবিলের নামে আবার ৪টি বিও (বেনিফিশারি ওনার) অ্যাকাউন্ট খোলা হয়। যার নম্বর হলো যথাক্রমে ১২০৫৭২০০৬২৯৬০৭২৬, ১২০৪৩৯০০৬৫৯৪৮৬৪০, ১২০৪৬৮০০৬৬৬৪৪৭৪২ ও ১২০১৯১০০৬৫৭৩৪৭৮১। দুই কোম্পানিতে ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) হিসাবে মোশাররফ নিজে এবং স্ত্রী জান্নাতুল মাওয়া পরিচালক হিসাবে রয়েছেন। তিনি ২০১৮ সালে আইডিআরএ সদস্য হিসাবে যোগ দেন। পরবর্তী সময়ে আইডিআরএ চেয়ারম্যান হওয়ার পর চার ফান্ডের ট্রাস্টি বোর্ডের চেয়ারম্যান হন মোশাররফ। এই তহবিলের মাধ্যমে পুঁজিবাজারে বিনিয়োগ করেন। তার বিনিয়োগের অর্থ উপার্জনের বৈধ কোনো উৎস নেই। আইন ও বিধিবহির্ভূতভাবে বিমা কোম্পানির শেয়ার লেনদেন করেছেন। বিমা কোম্পানির আইপিওতে তিনি ওই ফান্ডগুলোর নামে যোগ্য বিনিয়োগকারী কোটায় অনৈতিক সুবিধা নিয়েছেন।
যুগান্তরের অনুসন্ধানে জানা যায়, লাভস অ্যান্ড লাইভের এমপ্লয়িজ কন্টিবিউটরি প্রভিডেন্ট ফান্ড একটি বিও অ্যাকাউন্ট খুলেন, যার নম্বর ১২০৫৭২০০৬২৯৬০৭২৬। এই অ্যাকাউন্টে ২০১৮ সালের ১৪ আগস্ট পদ্মা ইসলামী লাইফ ইন্স্যুরেন্সের ৫ হাজার শেয়ার কেনেন। যার মূল্য ১ লাখ ৫৮ হাজার ৫শ টাকা। এছাড়াও ২০২১ সালের ৭ জুন ডেল্টা লাইফের ১৩ হাজার এবং ২১ জুন ২১ হাজার ৫শ মিলে ৩৪ হাজার ৫শ শেয়ার কেনেন। যার দাম ৩৮ লাখ ৯৮ হাজার ৬৫০ টাকা। এছাড়াও গত বছরের শেষের দিকে সেনাকল্যাণ ইন্স্যুরেন্সের আইপিওতে ১০ টাকা মূল্যে ১ লাখ ২৮ হাজার শেয়ারের জন্য ১২ লাখ ৮০ হাজার টাকা দিয়ে আবেদন করেন। সেখানে গত বছরের ২ নভেম্বর ৬ হাজার ৯৯৫টি শেয়ার বরাদ্দ পান। বর্তমানে ওই শেয়ারের বাজারমূল্য ৩ লাখ ২৫ হাজার টাকা।
এছাড়াও প্রতিষ্ঠানটির নামে আরও একটি অ্যাকাউন্ট খুলেন তিনি, যার নম্বর ১২০৪৩৯০০৬৫৯৪৮৬৪০। এই অ্যাকাউন্টে ২০২১ সালের ৬ জুন ৪ হাজার ২শ শেয়ার কেনেন। যার মূল্য ৪ লাখ ৭৪ হাজার ১৮০। এ অ্যাকাউন্ট থেকেও সেনাকল্যাণ ইন্স্যুরেন্সের ১ লাখ ২৮ হাজার শেয়ার চেয়ে আবেদন করেন। এখানেও তিনি ৯ হাজার ৯৯৫টি শেয়ার বরাদ্দ পান। যার বাজারমূল্য ৩ লাখ ২৫ হাজার টাকা। এছাড়াও গুলশান ভ্যালির অ্যাগ্রো ইন্ডাস্ট্রিজের নামে ১২০৪৬৮০০৬৬৬৪৪৭৪২ নম্বর বিও অ্যাকাউন্টে ২০২১ সালের ২ নভেম্বর গ্রিন ডেল্টা ইন্স্যুরেন্সের ১ হাজার ৪৪০টি শেয়ার কেনেন। যার মূল্য ১ লাখ ৫৭ হাজার ৫৩৬ টাকা। অ্যাকাউন্টটিতে ওই বছরের ৬ জুন ডেল্টা লাইফের ৭ হাজার ২৭৫টি শেয়ার কেনেন। যার মূল্য ৮ লাখ ২১ হাজার ৩৪৭ টাকা। এই অ্যাকাউন্টেও সেনাকল্যাণ ইন্স্যুরেন্সের ৬ হাজার ৯৯৫টি শেয়ার নেন তিনি। গুলশান ভ্যালির অ্যাগ্রো ইন্ডাস্ট্রিজের নামে আরও একটি অ্যাকাউন্ট খুলেন তিনি, যার নম্বর ১২০১৯১০০৬৫৭৩৪৭৮১।
এই অ্যাকাউন্টেও সেনাকল্যাণ ইন্স্যুরেন্সের ৬ হাজার ৯৯৫টি শেয়ার বরাদ্দ পান। অর্থাৎ সবমিলিয়ে ৬ মাসের মধ্যেই সেকেন্ডারি মার্কেটে ডেল্টা লাইফ ও গ্রিন ডেল্টার ৫৩ লাখ ৩৫ হাজার এবং সেনাকল্যাণ ইন্স্যুরেন্সে ৫১ লাখ ২০ হাজার টাকা বিনিয়োগ করেন। এছাড়াও লাভস অ্যান্ড লাইভসের নামে পপুলার লাইফ এসেট ম্যানেজমেন্ট কোম্পানির ৫ লাখ শেয়ার নিয়েছেন তিনি। প্রতি শেয়ার ১০ টাকা অভিহিত মূল্যে এর বাজারমূল্য ৫০ লাখ টাকা। কোম্পানির প্রতিনিধির নাম দিয়েছেন মো. বোরহান উদ্দিন। কিন্তু এক্ষেত্রে শেওড়াপাড়ায় মোশাররফ হোসেনের নিজ বাসার ঠিকানা ব্যবহার করা হয়েছে। টিআইএন নম্বর ব্যবহার করা হয়েছে ৩৫৭০৬১৮৮০২৩০। ন্যাশনাল আইডি ৩২৫৩৬৮৭৭২১।
তবে আইডিআরএ চেয়ারম্যান তার ব্যক্তিগত আয়কর নথিতে নিজেকে ওই দুই কোম্পানির পরিচালক ও এমডি হিসাবে ঘোষণা করলেও কোম্পানি কোনো ব্যবসা শুরু করেনি বলে জানান। অথচ বাণিজ্যিক কার্যক্রমে না থাকা ওই দুই কোম্পানির চার ফান্ডে গত ৩০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ৪ কোটি ২০ লাখ টাকার বেশি বিনিয়োগ রয়েছে তার। এসব ফান্ডের বিও হিসাবে মোশাররফ নিজের নাম, ব্যক্তিগত মোবাইল ফোন নম্বর ও ই-মেইল অ্যাড্রেস ব্যবহার করেছেন। এছাড়া বিও হিসাবের ব্যাংক হিসাবগুলোও তিনি নিজেই পরিচালনা করেন। কার্যক্রমে না থাকা কোম্পানিগুলোর প্রভিডেন্ট ও গ্রাচ্যুইটি ফান্ড গঠন এবং এই তহবিলের উৎস নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে। ট্রাস্ট অ্যাক্ট অনুযায়ী যে কোনো ফান্ডের সর্বোচ্চ ২৫ শতাংশ পুঁজিবাজারে বিনিয়োগ করা যায়। এ হিসাবে পুঁজিবাজারে ৪ কোটি টাকারও বেশি বিনিয়োগের বিপরীতে মূল ফান্ডের পরিমাণ অন্তত ১২ কোটি টাকা থাকা উচিত। এই পরিমাণের তহবিল থাকতে হলে সংশ্লিষ্ট কোম্পানির কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বেতনভাতা ন্যূনতম ১২০ কোটি টাকা হওয়ার কথা। কিন্তু কোম্পানি দুটির বাণিজ্যিক কার্যক্রম এখনও শুরুই হয়নি।
গত ৩০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত লাভস অ্যান্ড লাইভস অর্গানিকসের কর্মচারীদের গ্র্যাচুইটি ফান্ডের বিও হিসাবে ১ কোটি টাকা ও প্রভিডেন্ট ফান্ডে ১ কোটি ৫০ লাখ টাকার বেশি মূল্যমানের শেয়ার ছিল। একই সময়ে গুলশান ভ্যালি অ্যাগ্রো ইন্ডাস্ট্রিজের গ্র্যাচুইটির বিও হিসাবে ৭০ লাখ ও প্রভিডেন্ট ফান্ডের বিও হিসাবে ৯৭ লাখ টাকা মূল্যমানের শেয়ার রয়েছে। সব মিলিয়ে উল্লিখিত সময়ে ওই চার ফান্ডে প্রায় ৫ কোটি টাকার বেশি মূল্যমানের শেয়ার রয়েছে। এছাড়া এসব অ্যাকাউন্টে প্রাতিষ্ঠানিক কোটায় বিভিন্ন কোম্পানির শেয়ার নিয়েছেন। এর মধ্যে আমান কটন, রিং সাইন টেক্সটাইল, আশুগঞ্জ পাওয়ারের বন্ড, ওরিজা অ্যাগ্রো, মাস্টার ফিড এবং অ্যাকমি পেস্টিসাইড অন্যতম।
সূত্র বলছে, মোশাররফ হোসেন এ দুটি কোম্পানির ব্যবস্থাপনা পরিচালক থাকাকালীন তথ্য গোপন করে আইডিআরএ-এর সদস্য হিসাবে যোগ দেন। এ ধরনের কাজ বীমা আইন ২০১০-এর ৭(৩)খ ধারার লঙ্ঘন। এরপর সদস্য থেকে আইডিআরএ-এর চেয়ারম্যান হওয়ার পর দুই কোম্পানির ট্রাস্টি বোর্ডের চেয়ারম্যান হন। এককভাবে ব্যাংক অ্যাকাউন্টে স্বাক্ষরকারী হিসাবে বিভিন্ন কোম্পানিতে বিনিয়োগের মাধ্যমে বীমা আইন ২০১০ সালের ২৭ ধারা লঙ্ঘন করেছেন। একই সঙ্গে সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (সুবিধাভোগী ব্যবসা নিষিদ্ধকরণ) বিধিমালা ১৯৯৫ লঙ্ঘন করেন। ইতোমধ্যে ২০১০ সালের ১৪(১)(গ)(ঘ) এবং (ঙ) ধারায় কেন মোশাররফ হোসেনকে আইডিআরএ চেয়ারম্যান পদ থেকে অপসারণ করা হবে না, সে ব্যাপারে অর্থ মন্ত্রণালয়কে ব্যাখ্যা দিতে বলা হয়েছে। চলতি বছরের ১৭ এপ্রিল এই নির্দেশনা দেওয়া হয়।
জানতে চাইলে ড. মোশাররফ হোসেন শনিবার রাতে যুগান্তরকে বলেন, আইডিআরএ যোগদান করার আগে আমি শেয়ারবাজারে ছিলাম। তাই শেয়ার ব্যবসা রয়েছে। তবে আমি কোনো অন্যায় করিনি। কারণ আমি আগের কোম্পানি থেকে পদত্যাগ করে এখানে এসেছি। তিনি দাবি করেন, তার নিজ নামে শেয়ারবাজারে কোনো বিনিয়োগ নেই। এছাড়াও বিভিন্ন অনিয়মের ব্যাপারে ড. মোশাররফ বলেন, যেখানে কাজ করছি, সেখানে বিভিন্ন সুবিধাভোগী গ্রুপ রয়েছে। তাদের অনিয়ম ধরাটা আমার বড় অপরাধ ছিল। নিজে চুপচাপ কাজ করলে ভালো হতো। এসব গ্রুপ আমার বিরুদ্ধে বদনাম ছড়ায়। এখানে আমার কিছু করার নেই।
এদিকে বিমা কোম্পানির শেয়ার কেনার পর মূল্য সংবেদনশীল তথ্য ছড়িয়ে এসব কোম্পানির শেয়ারের দাম বাড়ান মোশাররফ হোসেন। এক্ষেত্রে গত বছরের ২৯ মার্চ তালিকাভুক্ত কোম্পানিগুলোর উদ্দেশে একটি সার্কুলার জারি করেন তিনি। সেখানে ৩০টি বিমা কোম্পানির উদ্যোক্তাদের কমপক্ষে ৬০ শতাংশ শেয়ার ধারনের নির্দেশ দেওয়া হয়। একই সঙ্গে পরিশোধিত মূলধন কমপক্ষে ৪০ কোটি টাকা করার জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এর পরদিন থেকে কোম্পানিগুলোর শেয়ারের দাম অস্বাভাবিক বাড়তে থাকে, যা পুরো বাজারে বিশৃঙ্খলা তৈরি করেছে।
প্রসঙ্গত, দেশের বিমা খাতের অন্যতম বড় প্রতিষ্ঠান ফারইস্ট লাইফে দুর্নীতির বিষয়টি বর্তমানে দেশব্যাপী আলোচিত। কোম্পানির টাকা লুট করে যুক্তরাষ্ট্রে বিশাল সম্রাজ্য গড়ে তোলেন প্রতিষ্ঠানটির সাবেক চেয়ারম্যান মো. নজরুল ইসলাম। বিষয়টি নিয়ে প্রতিবেদন প্রকাশ করে দৈনিক যুগান্তর। এরপর কোম্পানির পর্ষদ ভেঙে দিয়ে নতুন পর্ষদ গঠন করে শেয়ারবাজার নিয়ন্ত্রণ সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)। আর নতুন পর্ষদ গঠনের পর কোম্পানির দুর্নীতির বিভিন্ন তথ্য সামনে আসে। কোম্পানির এভিপি সাবেক চেয়ারম্যান নজরুলের ঘনিষ্ঠ মো. নুরুন নবী স্বাক্ষরিত একটি চিঠি গত ৩ অক্টোবর মুখ্য নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে দেওয়া হয়।
এতে বলা হয়, ২০২১ সালের ২৪ জুন আইডিআরএ-এর চেয়ারম্যান ড. মোশাররফ হোসেনের বাসা ডেকোরেশনের জন্য ১২ লাখ ৫০ হাজার টাকা দেওয়া হয়েছে। কোম্পানি থেকে এই টাকা আইওইউ (নগদ অর্থ পরিশোধ) স্লিপে স্বাক্ষর করে ফারইস্টের সাবেক চেয়ারম্যান নজরুলের ব্যক্তিগত পিওন সোহেল এই টাকা তাকে পৌঁছে দিয়েছেন। এর আগে চলতি বছরের ৪ মে ব্যাংকিং ডিপার্টমেন্টের ইনচার্জ শেখ আবদুর রাজ্জাকের মাধ্যমে ১ লাখ টাকা আইডিআরএ চেয়ারম্যানকে পৌঁছে দেওয়া হয়। আইডিআরএ চেয়ারম্যানের নামে একই দিন আরও ২ দফায় ৫০ হাজার করে ১ লাখ টাকা নেওয়া হয়।
এছাড়াও আইডিআরএ চেয়ারম্যানের ছেলের জন্মনিবন্ধন সনদের জন্য চলতি বছরের ১৮ মার্চ ৫ হাজার ৫শ টাকা নজরুল ইসলামের পিএস আজহারের মাধ্যমে দেওয়া হয়। জানা গেছে, স্বতন্ত্র পরিচালক ছাড়াও ২০১০ সালের ৭ এপ্রিল পর্যন্ত ফারইস্ট লাইফের এমডি ছিলেন ড. মো. মোশাররফ হোসেন। ওই সময়ে ইনহাউজ বিজনেস নামে একটি প্রকল্পের কর্মকর্তাদের কাছে বিপুল পরিমাণ অর্থ সংগ্রহ করেন। এ কারণে ওই সময়ে এমডির পদ থেকে চাকরিচ্যুত হন তিনি।