সঙ্গীর অভাবে ডাবল সেঞ্চুরি হলো না মুশফিকের

শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ঢাকা টেস্টে মুশফিক ৩৫৫ বলে ২১টি চারের সাহায্যে ১৭৫ রান তুলেন

শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ঢাকা টেস্টে নিজদের প্রথম ইনিংসে সব উইকেট খুইয়ে ১১৬.২ বলে ৩৬৫ রান তুলেছে বাংলাদেশ। কিন্তু সতীর্থরা যোগ্য সঙ্গ দিতে পারেনি মুশফিককে। তিনি ৩৫৫ বলে ২১টি চারের সাহায্যে ১৭৫ রান তুলেন। ফলে টেস্ট ক্যারিয়ারে চতুর্থ ডাবল সেঞ্চুরি স্বাদ নিতে পারলেন না মিস্টার ডিপেন্ডেবল। ইবাদত আউট হবার পর আক্ষেপ নিয়ে মাঠ ছাড়েন মুশফিক।

এদিকে মুশফিক-লিটনের ব্যাটিং নৈপুন্য দেখে মুগ্ধ হয়েছে ক্রিকেট বিশ্ব। প্রথম দিন ২৪ রানে টপ অর্ডারের পাঁচ ব্যাটসম্যানকে হারানোর পর তাদের প্রতিরোধ ক্রিকেটপ্রেমীদের কাছ থেকে প্রশংসা কুড়াচ্ছে।

এদিকে দ্বিতীয় দিন মঙ্গলবার (২৪ মে) ব্যাট হাতে শুরুটা ভালোই করেন মুশফিক-লিটন দাস। দ্বিতীয় দিন ৭ ওভার সাবলীল ব্যাটিং করেন তারা। কিন্তু অষ্টম ওভারে ঘটে ছন্দ পতন। আর এতে শ্রীলঙ্কা শিকার করে টাইগারদের জোড়া উইকেট। লিটন-মোসাদ্দেক আউট হলে একাই লড়াই চালিয়ে যান মিস্টার ডিপেন্ডেবল। এক কথায় বলা যায়, ঢাকা টেস্টে লঙ্কান বোলারদের পরীক্ষা নেন মুশফিক। তিনি মঙ্গলবার দেখে শুনে ঠান্ডা মাথায় খেলে রানের চাকা সচল রাখেন। এমনকি মুশফিক দুর্দান্ত ব্যাটিং নৈপুন্য প্রদর্শন করে ২১টি চার হাকিয়ে ব্যক্তিগত ১৭৫ রান তুলে অপরাজিত ছিলেন। কিন্তু হাতে উইকেট না থাকায় মুশফিকের ডাবল সেঞ্চুরি হলো না।

এছাড়া এর আগে ২০১৩ সালে সাদা পোশাকে প্রথম ডাবল সঞ্চেুরির কৃতিত্বও গড়েছেন মুশফিক। সেসময় শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে গলে ২০০ রান করছেলিনে। এরপর ২০১৮ সালে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে মিরপুর ২১৯ রানে অপরাজিত ছিলেন মিস্টার ডিপেন্ডেবল। যা টেস্টে এখনও দেশের ব্যক্তিগত সবোর্চ্চ রান। এরপর ২০২০ সালে মিপুরে ২০৩ রানের অপরাজিত ইনিংস খেলেন। বাংলাদেশের ক্রিকেটারদের মধ্যে মুশফিকই এক মাত্র তিনটি ডাবল সেঞ্চুরির মালিক। যাই হোক ঢাকা টেস্টেও মুশফিক ডাবল শতক হাকাবেন এমনটাই প্রত্যাশা ভক্তদের।

এর আগে মঙ্গলবার দ্বিতীয় দিন মুশফিক-লিটন ৭ ওভার সাবলীল ব্যাটিং করেন। কিন্তু অষ্টম ওভারে লঙ্কান পেসার রাজিথার অফস্টাম্পের বাইরের বলে খোচা দিয়ে ক্যাচ তুলে সাজঘরে ফিরেন লিটন। তিনি ১৪১ রানে থামেন। লিটন ২৪৬ বলে ১৬ চার ও ১ ছক্কায় ক্যারিয়ার সেরা ইনিংসটি সাজান। দুই বল ফের উইকেটের দেখা পায় শ্রীলঙ্কা। আড়াই বছর পর দলে ফেরা মোসাদ্দেক প্রায় একই রকম ডেলিভারিতে উইকেটের পেছনে ক্যাচ দেন। রাজিথার বলে ডিকবেলার হাতে রানের খাতা খোলার আগেই ধরা পড়েন। তাছাড়া টাইগারদের জোড়া উইকেট শিকার করে টেস্ট ক্যারিয়ারে প্রথম ফাইফারের স্বাদ পেলেন লঙ্কান পেসার রাজিথা। প্রথম দিন ডানহাতি এই পেসার ৩ উইকেট শিকার করেন।

এর আগে সোমবার (২৩ মে) ধ্বংসস্তূপ থেকে ব্যাট হাতে মহাকাব্য রচনা করেছেন মুশফিক-লিটন। ২৪ রানে ৫ উইকেট খুইয়ে ব্যাকফুটে চলে যায় টাইগাররা। সেখান থেকে আর কোনো উইকেট না হারিয়ে ২৭৭ রানে প্রথম দিনের খেলা শেষ করেছেন মুশফিক-লিটন। সেই সঙ্গে তারা ২৫৩ রানের অবিচ্ছেদ্য জুটি গড়েন।রি-কেই/ইভূ

LEAVE A REPLY