পুঁজিবাজার নিয়ে গুজবে প্রতারিত হবেন না: শিবলী রুবায়াত-উল-ইসলাম

বিএসইসি, বিএপিএলসি এবং সিএমএসএফ-এর ত্রিপক্ষীয সংলাপে’ বিএসইসি চেয়ারম্যান অধ্যাপক শিবলী রুবায়াত-উল-ইসলাম,রবিএপিএলসি সভাপতি এম আনিস উদ দৌলা, সিএমএসএফের চেয়ারম্যান মো. নজিবুর রহমান, ভোরের কাগজ সম্পাদক শ্যামল দত্ত সহ বিশিষ্টজনেরা। ছবি: ভোরের কাগজ

অন্যের কথায় কান দিবেন না। গুজবে প্রভাবিত হয়ে প্রতারিত হবেন না বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) চেয়ারম্যান অধ্যাপক শিবলী রুবায়াত-উল-ইসলাম। তিনি বলেন, আগামি সপ্তাহ থেকে দেশের পুঁজিবাজার অনেক ভাল হবে। সমস্যা অনেকাংশ কেটে যাবে। দেশের পুঁজিবাজার অনেক বড় করতে হবে। এজন্য বর্তমান কমিশন কাজ করে যাচ্ছে।

ক্যাপিটাল মার্কেট স্ট্যাবিলাইজেশন ফান্ড (সিএমএসএফ) এর উদ্যোগে “অংশীদারিত্বের মাধ্যমে পুঁজিবাজারকে শক্তিশালী করণ ” শীর্ষক ত্রিপক্ষীয় সংলাপে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

বৃহস্পতিবার (২৬ রম) বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে (বিআইসিসি) পুঁজিবাজার উন্নয়নে ‘বিএসইসি, বিএপিএলসি এবং সিএমএসএফ-এর মধ্যে সংলাপে’র আয়োজন করা হয়। প্রধানমন্ত্রীর সাবেক মুখ্য সচিব ও জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের সাবেক চেয়ারম্যান ও সিএমএসএফের চেয়ারম্যান মো. নজিবুর রহমানে’র সভাপতিত্বে বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব পাবলিকলি লিস্টেড কোম্পানিজ (বিএপিএলসি) এর সভাপতি এম আনিস উদ দৌলা এবং বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি) এর কমিশনার ড. শেখ শামসুদ্দিন আহমেদ বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন।

বিএসইসি চেয়ারম্যান বলেন, ক্যাপিটাল মার্কেট স্ট্যাবিলাইজেশন ফান্ড (সিএমএসএফ) গঠন করা হয়েছে সবার কল্যাণে। তিনি বলেন, দেশের অনেক বড় প্রতিষ্ঠান আমানত রক্ষা করতে পারছে না। তারা শেয়ার হোল্ডারদের পাওনা সময়মত বন্টন করছে না। তারা সঠিকভাবে তথ্য উপস্থাপন করছে না। তারা অনেকেই অন্যের সম্পদ রক্ষা করতে পারছে না। তিনি বলেন, ক্যাপিটাল মার্কেট স্ট্যাবিলাইজেশন ফান্ড (সিএমএসএফ) এর অর্থ কমবে না। বরং বিনিয়োগের মাধ্যমে বাড়তে থাকবে।

সংলাপের শুরুতে প্যানেল আলোচনায় বক্তারা বলেন, বিভিন্ন সংকটের সময় আইসিবি পুঁজিবাজারে অর্থের যোগান দিয়ে থাকে। তবে সিএমএসএফ প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে সংকটের সময় অর্থের যোগান দেয়ার জন্য আরোও একটি প্রতিষ্ঠান পাশে পাওয়া যাবে।

বিএসইসির প্রাক্তন কমিশনার এবং শান্তা অ্যাসেট ম্যানেজমেন্ট লিমিটেডের ভাইস-চেয়ারম্যান আরিফ খান’র পরিচালনায় ডিএসই’র চেয়ারম্যান মো. ইউনুসুর রহমান, সিএসই’র চেয়ারম্যান আসিফ ইব্রাহিম, রূপালী ব্যাংকের চেয়ারম্যান কাজী সানাউল হক, বিএপিএলসি’র সাবেক ভাইস প্রেসিডেন্ট রিয়াদ মাহমুদ প্যানেল আলোচনায় অংশ নেন।

বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি) এর কমিশনার ড. শেখ শামসুদ্দিন আহমেদ বলেন, আরো অনেক নতুন প্রতিষ্ঠান তালিকাভুক্ত করতে হবে। বড় প্রতিষ্ঠান তালিকাভুক্ত করতে পারলে একটি স্থিতিশীল পুঁজিবাজার গঠন সম্ভব বলে তিনি মনে করেন।

প্যানেল আলোচনায় আসিফ ইব্রাহিম বলেন, প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারিদের আরোও বেশি আকৃষ্ট করতে পণ্যের ডাইভারসিফিকেশন করতে হবে। একই সাথে বিদেশি অনেক প্রতিষ্ঠান রয়েছে যারা এখনও পুঁজিবাজারে আসেনি তাদের তালিকাভুক্ত করার ব্যবস্থা গ্রহন করতে হবে।

বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব পাবলিকলি লিস্টেড কোম্পানিজ (বিএপিএলসি) এর সভাপতি এম আনিস উদ দৌলা বলেন, এক সাথে কাজ করতে পারলে স্থিতিশীল পুঁজিবাজার তৈরি সম্ভব।

LEAVE A REPLY