বাগাতেল্লে জেদ্দা। সৌদি আরবে অবস্থিত একটি ফ্রেঞ্চ রেস্তোরাঁ। সম্প্রতি একটি ঘটনার মাধ্যমে বিশ্বজুড়ে আলোড়ন তুলেছে। বোরকা-জোব্বা পরে আসা যাবে না এখানে।
বুধবার এই নীতি প্রদান করেন রেস্তোরাঁর ফরাসি মালিক। কী এক অদ্ভুত কাণ্ড! সৌদির বুকে চেপে মুসলিম রিতির বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা? ব্যাপারটা আসলে কী সেটা বোঝার চেষ্টা করছেন সৌদিবাসীরা।
ইতোমধ্যেই ঘটনাটির খবর রটে গেছে সারা দেশে। রাগ-ক্ষোভ-অপমানে ফেটে পড়ছেন সৌদিরা। সামাজিক গণমাধ্যমগুলোতেও ছড়িয়ে পড়েছে এই ঘটনাটি। নাগরিকরা তাদের ক্ষুব্ধ ভাব প্রকাশ করতেও হচ্ছেন না পিছপা। তাদের তর্কমূলক নীতির কারণে করুণ নেতিবাচক প্রভাবের মুখে পড়েছেন।
গ্রহকরা ছাড়াও বিভিন্ন মানুষ প্রতিবাদ জানিয়েছে তাদের বিরুদ্ধে। আমিরা আল কাহতানী বলেন, ‘এই রেস্টুরেন্ট কোনো তারার যোগ্য নয়। সৌদি পুরুষদের পোশাক এবং হিজাব পরিহিত নারীদের ওপর নিষেধাঙ্গা জারি করেছেন তারা। জেদ্দা থেকে বের করে দেওয়া উচিত এদের। আমাদের ধর্মকে অসম্মান করছে তারা, খুব রাগ লাগছে আমার।’ যোগাযোগমাধ্যমে অনেক নেতিবাচক মন্তব্য পাওয়া যায় তাদের নিয়ে। ‘যে আমাদের সংস্কৃতিকে সম্মান প্রদর্শন করে না সে আমন্ত্রিত নয়।’ নদী ফাসুর বলেন, ‘বিশ্বের সবচেয়ে বর্ণবাদী ব্যবহার। আপনি অসন্তুষ্ট হবেন। খাবার পরিবেশন করতেও ভীষণ দেরি করে তারা।’ হানা মোহ্ বলেন, ‘আমরা কী কাপড় পরব সেটা নিয়ে আমাদের খুব জোর দিচ্ছে ওরা। এখানে স্বাধীনতা কোথায়?’
অপর দিকে, কামাল আফিয়া নামের একজন ভদ্রলোক সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এ বিষয়ে বলেন, ‘ফ্রান্স এখন প্রকাশ্যে ইসলাম এবং এর রীতির বিরুদ্ধে লড়ছে এটা জানা কথা। হিজাব একটি উদাহরণ। সৌদি আরবের জেদ্দায় অবস্থিত ফ্রেঞ্চ রেস্টুরেন্ট বাগাতেল্লে আবায়া এবং সৌদিদের জাতীয় পোশাক পরিধান করে সেখানে যাওয়ার ওপর দিয়েছে নিষেধাজ্ঞা। এখন চিন্তা করুন যদি সৌদি একটি রেস্টুরেন্ট প্যারিসে এই কাজ করত তাহলে আমরা ইসলামফোবিয়া ছড়াচ্ছি বলে পৃথিবী মাথায় তুলে নিত।’
আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমে এখন পর্যন্ত কোনো বক্তব্য না এলেও শোনা গেছে সরকারপক্ষের আইনজীবীরা এরই মধ্যে রেস্টুরেন্টটি বন্ধ করার নির্দেশ দিয়েছেন। লোহিত সাগরের পার্শ্ববর্তী শহর জেদ্দা। বিশ্বে রাজ্যের ভ্রমণ আকর্ষণ বৃদ্ধি করার চেষ্টা বেশ কয়েক দিন ধরেই করছে সৌদি আরব। এমন একটি ঘটনা ভ্রমণপিপাসুদের ওপর কী প্রভাব ফেলবে সেটি এখন সময়ই বলে দেবে।