বৃহস্পতিবার কুয়াকাটা সমুদ্রসৈকতে নতুন প্রজাতির তিমির সন্ধান মিলেছে। ছবি: সংগৃহীত
দেশে ‘কোগিয়া সিমা’ নামে নতুন প্রজাতির তিমির সন্ধান মিলেছে। এই তিমি দেখতে অনেকটা হাঙরের মতো, ডলফিনের চেয়ে আকারে কিছুটা ছোট। সম্প্রতি কুয়াকাটা সমুদ্রসৈকতে এই তিমি পাওয়া গেছে।
বিজ্ঞানীদের কাছে এই তিমি ‘কোগিয়া সিমা’ নামে পরিচিত। এটিকে কুয়াকাটা সমুদ্রসৈকতে জীবিত অবস্থায় পাওয়া গেছে। স্থানীয়রা তিমিটিকে সমুদ্রে ফিরিয়ে দেয়ার চেষ্টা করলেও স্রোতের কারণে বারবার তীরে ফিরে আসে। প্রায় দুই ঘণ্টা পর তিমিটি মারা যায়। এরপর তিমির ছবিগুলো বিশ্লেষণ করে বাংলাদেশে প্রথম এই প্রজাতির তিমি শনাক্ত করেন গবেষকরা।
নতুন প্রজাতির এই তিমি সম্পর্কে সামুদ্রিক প্রাণী গবেষক বাংলাদেশ ওয়াইল্ডলাইফ কনজারভেশন সোসাইটির (ডব্লিউসিএস) সিনিয়র কো-অর্ডিনেটর নাদিম পারভেজ বলেন, ২০২১ সালের নভেম্বর মাসে কুয়াকাটা ডলফিন সংরক্ষণ কমিটির স্বেচ্ছাসেবকরা ওই তিমির বিভিন্ন ছবি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে শেয়ার করেন। ছবিগুলো দেখে আমরা বিস্মিত হয়েছিলাম। তিমিটি দেখতে প্রায় হাঙরের মতো। এটির মাথা বর্গাকার ও নাকের বর্ধিতাংশ সামনের দিকে অভিক্ষিপ্ত। মাথার পাশে নকল ফুলকাছিদ্রের মতো দেখতে একটি সাদা দাগ ছিল।
বাংলাদেশ ওয়াইল্ডলাইফ কনজারভেশন সোসাইটির কান্ট্রি রিপ্রেজেন্টেটিভ ড. মো. জাহাঙ্গীর আলম বলেন, কুয়াকাটায় পাওয়া তিমিটি বামন কোগিয়া প্রজাতির। দেখতে হাঙরের মতো। গবেষণা করে আমরা নিশ্চিত হয়েছি, এটির বৈজ্ঞানিক নাম কোগিয়া সিমা। দেশে নতুন প্রজাতির তিমি এটি। দেশের সমুদ্রে এর আগে এমন তিমি দেখা যায়নি।
বাংলাদেশ ওয়াইল্ডলাইফ কনজারভেশন সোসাইটির সদস্য মো. রাসেল মিয়া বলেন, দেশে শনাক্ত করা কোগিয়া সিমা নামে ওই তিমি বিশেষভাবে গুরুত্বপূর্ণ। কারণ, গভীর সমুদ্রে থাকা এই প্রাণী সম্পর্কে আমরা খুব কমই জানি। এক দশকেরও বেশি সময় ধরে ডব্লিউসিএস পরিচালিত গবেষণার সময় এই প্রজাতির তিমি দেখা যায়নি। তবে কোগিয়া সিমা তিমি আমাদের ধারণার চেয়েও বেশি পরিমাণে থাকতে পারে। কারণ, সাধারণত সমুদ্রপৃষ্ঠ সম্পূর্ণ শান্ত থাকলে এরা গতিহীনভাবে অবস্থান করলে দেখতে পাওয়া যায়, অন্যথায় দেখা পাওয়া দুরূহ।ডি- এইচএ