শিক্ষায় সর্বোচ্চ বরাদ্দ, বাড়ল ৯ হাজার কোটি টাকা

প্রতীকী ছবি

আসন্ন অর্থবছরে শিক্ষা ও প্রযুক্তি খাতে ১৪ দশমিক ৭ শতাংশ অর্থ বরাদ্দের প্রস্তাব করা হয়েছে। টাকার অঙ্কে যার পরিমাণ ৯৯ হাজার ৯৭৭ কোটি টাকা। এর মধ্যে শুধু শিক্ষাখাতে ৮১ হাজার ৪৪৯ কোটি টাকা বরাদ্দের প্রস্তাব করা হয়েছে। চলতি অর্থ বছরের তুলনায় আসন্ন অর্থ বছরে শিক্ষাখাতে মোট ৯ হাজার ৪৯৫ কোটি টাকা বেশি বরাদ্দের কথা বলা হয়েছে। চলতি বছরের শিক্ষার জন্য বরাদ্দ করা হয়েছিল ৭১ হাজার ৯৫৪ কোটি টাকা।

বৃহস্পতিবার (৯ জুন) জাতীয় সংসদে ২০২২-২৩ অর্থ বছরের বাজেট বক্তৃতায় অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল শিক্ষাখাতে বরাদ্দের এ তথ্য উল্লেখ করে বলেন, শিক্ষাখাতকে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দিয়ে স্বপ্নের সোনার বাংলা বিনির্মাণে সরকার কাজ করে চলছে ও শিক্ষাকে উন্নয়নের অন্যতম প্রধান কৌশল হিসেবে গ্রহণ করে এ খাতে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়েছে। পাশাপাশি শিক্ষাখাতে ব্যয়ের সক্ষমতা বাড়ানো ও পরিবীক্ষণের দিকেও বিশেষ নজর দেয়া হবে বলে জানান তিনি।

প্রস্তাবিত প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের জন্য এবার ৩১ হাজার ৭৬১ কোটি টাকা বরাদ্দের কথা বলা হয়েছে। যা চলতি অর্থ বছরের জন্য বরাদ্দ করা হয়েছিল ২৬ হাজার ৩১৪ কোটি টাকা। শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের জন্য ৩৯ হাজার ৯৬১ কোটি টাকা বরাদ্দের প্রস্তাব করা হয়েছে। যা এ বছরের জন্য করা হয়েছিল ৩৬ হাজার ৪৮৭ কোটি টাকা। শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কারিগরি ও মাদ্রাসা শিক্ষা বিভাগের জন্য ৯ হাজার ৭২৭ কোটি টাকা বরাদ্দের প্রস্তাব করা হয়েছে। যা চলতি অর্থ বছরে বরাদ্দ করা হয়েছিল ৯ হাজার ১৫৩ কোটি টাকা।

শিক্ষা বাজেট প্রসঙ্গে শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি বলেন, শিক্ষায় বিনিয়োগ জিডিপির ছয়টি ভাগে যেতে হবে। আমরা এখনও তিন ভাগ পার করেছি। ২০০৬ সালে দেশের যে বাজেট ছিল, এখন শিক্ষা বাজেটই তার চেয়ে অনেক বেশি।

তিনি আরও বলেন, শিক্ষায় আমরা অনেক বিনিয়োগ করছি আরো অনেক বিনিয়োগ করতে হবে। আমি বিশ্বাস করি, বড় বড় সব মেগা প্রকল্পগুলো হচ্ছে, যেগুলো যেমন আমাদের যোগাযোগের জন্য দেশের এগিয়ে যাওয়ার জন্য দরকার। তেমনি পরবর্তীতে সব চেয়ে বেশি প্রয়োজন শিক্ষা। সেটিই হবে বড় মেগা প্রকল্প।

আন্তর্জাতিক মানদণ্ড অনুযায়ী, একটি দেশের শিক্ষা খাত জিডিপির ছয় শতাংশ বা বাজেটের ২০ শতাংশ বরাদ্দ পেলে তা আদর্শ ধরা হয়। গত অর্থবছরের বাজেটে শিক্ষা ও প্রযুক্তিতে অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল যে বরাদ্দের প্রস্তাব করেন তা জিডিপির দুই দশমিক ৭৫ শতাংশ ছিল।ডি- এইচএ

LEAVE A REPLY