প্রতীকী ছবি
আগামী অর্থবছরে বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতে ২৬ হাজার ৬৬ কোটি টাকা বরাদ্দ দেয়ার প্রস্তাব করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (৯ জুন) জাতীয় সংসদে আগামী অর্থবছরের বাজেট অধিবেশনে অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল এ প্রস্তাব করেন। চলতি ২০২১-২০২২ অর্থবছরে এই খাতের বরাদ্দ ছিলো ২৭ হাজার ৪৮৪ কোটি টাকা। অর্থাৎ আগামী অর্থ বছরের বাজেটে এক হাজার ৪১৮ কোটি টাকা বরাদ্দ কমিয়ে দেয়া হয়েছে।
এর মধ্যে বিদ্যুতে ২৪ হাজার ১৯৬ কোটি টাকা এবং জ্বালানিতে এক হাজার ৮৭০ কোটি টাকা উন্নয়ন বরাদ্দ রাখা হয়েছে। এ বছর বিদ্যুৎ-জ্বালানিতে উন্নয়ন বরাদ্দ মোট বাজেটের তিন দশমিক নয় শতাংশ। এর মধ্যে বরাবরের মতো বিদ্যুৎ খাতে সবচেয়ে বেশি বরাদ্দ রাখা হয়েছে। জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ খাতে সেই তুলনায় বরাদ্দ অনেক কম প্রস্তাব করা হয়েছে।
বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতে বরাদ্দ কমানো প্রসঙ্গে জ্বালানি বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক বদরুল ইমাম বলেন, বিদ্যুতের চেয়ে জ্বালানি খাতে বেশি বরাদ্দ থাকা উচিৎ বলে আমি মনে করি। বিদ্যুৎ খাতে আমরা এখন অনেক এগিয়ে গেছি। তাই বিদ্যুৎ সেক্টরে আর আগের মতো বরাদ্দের প্রয়োজন নাই। কিন্তু জ্বালানি খাতে সেই তুলনায় আমরা পিছিয়ে আছি। এই ক্ষেত্রে বরাদ্দ বাড়ানো উচিৎ। জ্বালানির ক্ষেত্রে আমরা আমদানিনির্ভর হয়ে পড়েছি। আমদানিনির্ভরতা কমানোর জন্য দেশীয় জ্বালানি উৎসগুলো উন্নয়নে গুরুত্ব দেয়া উচিৎ। গ্যাস, কয়লা খাতগুলোকে আরও গুরুত্ব দিয়ে কাজ করতে হবে।
তিনি আরও বলেন, দেশে এখন কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্র অনেক হচ্ছে। সিংহভাগ কয়লাই বিদেশ থেকে আমদানি করতে হয়। এজন্য দেশীয় উৎসগুলোর উন্নয়ন ঘটিয়ে কয়লা উত্তোলনের ব্যবস্থা নেয়া উচিৎ। তাহলেই আমরা অর্থনৈতিকভাবে অনেক বেশি লাভবান হবো। এজন্য বাজেটে জ্বালানি খাতে বরাদ্দ বাড়াতে হবে।
সংসদে বাজেট বক্তৃতায় অর্থমন্ত্রী বলেন, ২০২২-২০২৩ অর্থবছরে বিদ্যুৎ বিভাগ এবং জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগের জন্য ২৬ হাজার ৬৬ কোটি টাকা বরাদ্দের প্রস্তাব করছি, যা ২০২১-২০২২ অর্থবছরে ছিলো ২৭ হাজার ৪৮৪ কোটি টাকা। বর্তমান বিশ্বে জ্বালানি তেল ও এলএনজির মূল্যবৃদ্ধির কারণে দেশেও সমন্বয় করা হবে জ্বালানির মূল্য। কিন্তু ভবিষ্যতে আন্তর্জাতিক বাজারে জ্বালানির দাম যতটা বাড়বে দেশে ততটা বাড়ানো হবে না।ডি- এইচএ