বোমা ফাটালেন লোথার ম্যাথাউস

    ম্যাথাউসের মতে ২০১৪ সালের বিশ্বকাপটা আর্জেন্টিনারই জেতা উচিৎ ছিল

    জার্মানির কিংবদন্তি মিডফিল্ডার, ১৯৯০ সালে জার্মানিকে বিশ্বকাপ জেতানো অধিনায়ক, লোথার ম্যাথাউস জানিয়েছেন, এক সাক্ষাতকারে বলেছেন, ২০১৪ সালের বিশ্বকাপটা আর্জেন্টিনারই জেতা উচিৎ ছিল। তার নিজের দেশ ভাগ্যবান ছিল বলেই সে বিশ্বকাপটা জিতেছে। ভাগ্য আর্জেন্টিনাকে সায় দিলে জার্মানি হয়, বিশ্বজয়ের হাসি হাসতেন মেসিরাই। ইনফোবে আমেরিকার ক্রীড়া সাংবাদিক রদ্রিগো দুবেনকে দোহায় এক সাক্ষাৎকারে আারো অনেক কথা বলেছেন এ কিংবদন্তি। ২০১৪ সালে ব্রাজিলের মাটিতে আর্জেন্টিনাকে হারিয়ে ১৮ বছরের শিরোপাখরা কাটানো বিশ্বকাপটা জিতেছিল জার্মানি। ২০১৪ বিশ্বকাপের ফাইনাল ম্যাচের ৫৭ মিনিটে বাতাসে ভেসে নিজেদের ডি-বক্সে আসা বলকে পাঞ্চ করে দলকে বিপৎমুক্ত করতে গিয়ে আর্জেন্টাইন স্ট্রাইকার গঞ্জালো হিগুয়েইনকে হাঁটু দিয়ে ধাক্কা দিয়েছিলেন জার্মান গোলকিপার মানুয়েল নয়্যার।

    পড়ে গিয়েছিলেন হিগুয়েইন, পেনাল্টির আবেদনে সরব হয়েছিল আর্জেন্টিনা। কিন্তু সে ম্যাচ পরিচালনার দায়িত্বে থাকা ইতালির রেফারি নিকোলা রিজ্জোলি মেসিদের সে আবেদনে সাড়া দেননি, পেনাল্টি পায়নি আর্জেন্টিনা। জার্মানির কিংবদন্তি মিডফিল্ডার, ১৯৯০ সালে জার্মানিকে বিশ্বকাপ জেতানো অধিনায়ক, বায়ার্ন মিউনিখ ও ইন্টার মিলানের সাবেক তারকা লোথার ম্যাথাউসের মতে, নয়্যার ফাউল করেছিলেন হিগুয়েইনকে, এবং সে ফাউলের জন্য পেনাল্টি প্রাপ্য ছিল আর্জেন্টিনার, ‘ফাইনালে আর্জেন্টিনার জেতা উচিৎ ছিল। মানুয়েল নয়্যারের সে ফাউলে পেনাল্টি দেওয়া উচিৎ ছিল রেফারির। কিন্তু আমরা ভাগ্যবান ছিলাম (যে রেফারি পেনাল্টি দেয়নি)। খুব বড় এক অপরাধ হয়েছিল সেদিন আর্জেন্টিনার বিপক্ষে। অবশ্যই, নয়্যারের কারণে সেদিন পেনাল্টি হজম করতে হতো আমাদের।’

    রেফারি রিজ্জোলি আর্জেন্টিনাকে যদি পেনাল্টি দিতেন, আর মেসি কোনোভাবে যদি সে পেনাল্টি জালে জড়াতে পারতেন, তাহলে হয়তো নব্বই মিনিটের মধ্যেই ম্যাচ জিতে যেত আর্জেন্টিনা। অতিরিক্ত সময়ের ৩০ মিনিট আর খেলতে হতো না। অতিরিক্ত সময়ের দ্বিতীয়ার্ধেই বায়ার্ন মিডফিল্ডার মারিও গতসার গোলে ম্যাচ জিতে নেয় জার্মানি। আর আর্জেন্টিনার সঙ্গী হয় অন্তহীন আক্ষেপ। জার্মান ফুটবলের এই কিংবদন্তি আসছে কাতার বিশ্বকাপের অন্যতম দূত। সম্প্রতি তিনি মুখোমুখি হয়েছিলেন আর্জেন্টাইন সংবাদ মাধ্যম লা নাসিওনের। সেখানেই তিনি জানালেন বিশ্বকাপ নিয়ে নিজের স্মৃতি, অভিমত ও ভবিষ্যদ্বানী। আগের সব বিশ্বকাপ নিয়ে স্মৃতি রোমন্থন করতে গিয়েই তিনি জানান ২০১৪ বিশ্বকাপ নিয়ে নিজের মত।

    সেই ফাইনালের শুরুর অর্ধে আর্জেন্টিনা দারুণ সুযোগ পেয়েছিল একটা। টনি ক্রুসের ভুল পাসে গনজালো হিগুয়াইনের পায়ে গিয়ে পড়ে বল, এরপর হিগুয়াইন তা মারেন লক্ষ্যের বাইরে। এরপর তিনি অবশ্য একবার জালে জড়িয়েছিলেন বল, তবে অফসাইডের কাটায় পড়ে তিনি গোলের দেখা পাননি সেই যাত্রায়।

    দ্বিতীয়ার্ধে হিগুয়াইনের কল্যাণেই আরও বেশ কয়েকটা সুযোগ পায় আর্জেন্টিনা। ৫৫ মিনিটে মাঝমাঠ থেকে বাড়ানো বল জার্মানি বিপদসীমার ডান পাশ দিয়ে পেয়ে যাচ্ছিলেন তিনি। তখনই ম্যানুয়েল নয়্যার গোললাইন ছেড়ে বেরিয়ে এসে ক্লিয়ার করেন তা। তবে তা ছিল বক্সের দাগের ঠিক ওপরে, তা করতে গিয়ে হিগুয়াইনের সঙ্গে সংঘর্ষও হয় তার। সেটা ক্লিয়ার ছিল না ফাউল, এই নিয়ে বিশ্বকাপের পর আলোচনা কম হয়নি। বলের নাগালটা হিগুয়াইন আগে পেয়েছিলেন না নয়্যার, এ নিয়েও বিতর্ক হয়েছে বেশ।এসএ

    LEAVE A REPLY