অ্যান্টিগায় সাকিবের ব্যাক টু ব্যাক হাফ সেঞ্চুরি

২০০৯ সালে ওয়েষ্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে টেস্ট সিরিজ জিততে সামনে থেকে নেতৃত্ব দিয়েছিলেন সাকিব আল হাসান। এবার উইন্ডিজ সফরের আগে তৃতীয় বারের মতো টাইগারদের নেতৃত্বে ভার অর্পিত হয় তার কাঁধে। নেতৃত্বের ভারে মুমিনুল যখন মিয়্রমাণ হয়ে নেতৃত্ব ছেড়ে দিয়েছেন সেখানে নেতৃত্বের ভার কাঁধে নিয়ে জ্বলে উঠছেন সাকিব আল হাসান। অ্যান্টিগায় টাইগার ব্যাটাররা যখন ছন্দ হারিয়ে খোঁজতে ব্যস্ত তখন ক্যারিবিয়ানদের বিপক্ষে প্রথম ইনিংসে ৫১ রানের জ্বল মলে ইনিংস খেলেন টাইগার অধিনায়ক। প্রথম ইনিংসে বাংলাদেশ ১০৩ রানে গুটিয়ে গিয়েছিল। সেখানে টাইগার অধিনায়কের অবদান ছিল ৬৭ বলে ৫১ রান।

শনিবার আ্যান্টিগা টেস্টের তৃতীয় দিনে দ্বিতীয় ইনিংসে লাল-সবুজের প্রতিনিধিরা ১০৯ রানে ৬ উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে গেলে সোহানকে নিয়ে হাল ধরেন সাকিব। এ জুটির কল্যাণে বাংলাদেশের ইনিংস ২০০ পার হয়। আ্যান্টগায় সাকিব ব্যাক টু ব্যাক হাফসেঞ্চুরি তুলে নেন। শনিবার টেস্ট ক্যারিয়ারের ২৯তম হাফসেঞ্চুরির দেখা পান টাইগার অধিনায়ক। এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত ৭৪ ওভারে ৬ উইকেট হারিয়ে টাইগারদের সংগ্রহ ২০১ রান। লিড পেয়েছে ৩৯ রানে। সাকিব ৮২ বলে হাফসেঞ্চুরি পূর্ণ করেন। সোহান ৯৮ বলে ৩৯ রানে এবং সাকিব ৫০ রানে অপরাজিত রয়েছেন। উইকেট রক্ষক নূরুল হাসান সোহান অ্যান্টিগায় যদি আজ হাফসেঞ্চুরি পূর্ণ করতে পারেন তা হলে এটি হবে তার টেস্ট ক্যারিয়ারের দ্বিতীয় হাফসেঞ্চুরি ।

এর আগে দ্বিতীয় ইনিংসে ১৬২ রানের লিড সামনে রেখে ব্যাটিংয়ে নামে লাল-সবুজের প্রতিনিধিরা। শুরুটা হয়েছিল সতর্ক। তামিম-জয়ের ব্যাট ছিল সাবধানী। দশম ওভারে আলজারি জোসেফের শিকার হয়ে তামিম ফিরলে মাঠে আসেন নাইটওয়াচম্যান মিরাজ। তিনিও সুবিধা করতে পারেননি। তামিম ২২ রান করেন। আর মিরাজ ফেরেন ৬ বলে ২ রান করে। দুটি উইকেটই নেন জোসেফ। ৬০ বলে ১৮ রান করে মাহমুদুল হাসান জয় এবং শান্ত ২৩ বলে ৮ রানে অপরাজিত থাকেন। শেষ দিকে পায়ের ব্যথায় কাতরাতে দেখা যায় শান্তকে। ফিজিও এসে দেখেন। পরে ব্যাটিং করলেও অস্বস্তি দেখা যায় তার মাঝে। শনিবার তৃতীয় দিনের শুরুটা ছিল বাংলাদেশের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। কিন্তু দিনের শুরুতেই নাজমুল হোসেন শান্ত ইনিংসটাকে লম্বা করতে পারলেন না। দারুণ শুরুর আভাস দিয়ে ফিরেছেন সাজঘরে।

শুরু থেকে শান্তর খেলা ছিল দায়িত্বপূর্ণ। আউট হওয়ার দুই ওভার আগেও জেইডেন সিলসকে ওয়াইড মিড অফে দারুণ শটে চার হাঁকান। কাইল মায়ার্সের ২৯তম ওভারের চতুর্থ বল। বল পিচড হওয়ার অফসাইড দিয়ে বেরিয়ে যাচ্ছিল। এক্সট্রা বাউন্স ছিল। শান্ত খেলতে গিয়ে ব্যাটে-বলে ঠিকমতো সংযোগ করতে পারেননি। ধরা পড়েন সেকেন্ড স্লিপে জন ক্যাম্পবেলের হাতে। ৪৫ বলে ১৭ রান করেন এই বাঁ-হাতি ব্যাটসম্যান। এরপর ব্যাটিংয়ে জয়ের সঙ্গী হন মুমিনুল হক। নেতৃত্বের চাপে ভেঙে পড়ছেন, এমনটা ভেবেই অধিনায়কত্ব ছেড়ে দেন মুমিনুল হক। কিন্তু নেতৃত্ব ছাড়লেও অফফর্ম ছাড়েনি সাবেক টেস্ট অধিনায়ককে। টানা ৯ ইনিংস দশের নিচে আউট হলেন তিনি। শনিবার মুমিনুল সাজঘরে ফিরেছেন ৪ রানে।

কাইল মায়ার্সের ডেলিভারি প্যাডে লাগলে আঙুল তুলে দেন আম্পায়ার। মুমিনুল রিভিউ নিয়েছিলেন। কিন্তু লেগ স্টাম্প অল্প একটু পেয়ে যাওয়ায় আম্পায়ার্স কলে ফিরতে হয়েছে বাঁ-হাতি এই ব্যাটারকে। প্রথম ইনিংসে তিনি করেছিলেন শূন্য। এরপর ক্রিজে আসেন

লিটন দাস। ১৫ বলে ১৭ রান করে সাজঘরে ফিরেন লিটন দাস। কেমার রোচের বলে কাইল মার্য়াসের হাতে ক্যাচ দেন তিনি। মাহমুদুল হাসান জয় ১৫৩ বলে ৪২ রান করে আউট

LEAVE A REPLY