পশ্চিমা যুদ্ধবিমানে যেসব চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি ইউক্রেন

পশ্চিমা উন্নত অস্ত্র নিয়ে সশস্ত্র বাহিনীকে আধুনিকীকরণের ইচ্ছার বিষয়টি নিয়ে কখনোই রাখঢাক রাখেনি ইউক্রেন। বারবারই জানিয়েছে তারা পশ্চিমা অস্ত্র নিয়ে নিজের পুরোনো ভাণ্ডারকে আরও সমৃদ্ধ করতে চায়। 

মিগ-২৯, সু-২৭ এবং সু-২৫-এর মতো সোভিয়েত যুগের বিমানের বদলে আধুনিক পশ্চিমা যুদ্ধ বিমানও নিজেদের সামরিক বাহিনীতে যোগ করতে চায় কিয়েভ। 

যদিও ইউক্রেনের পাইলটরা রুশ বিমানবাহিনীর বিরুদ্ধে উল্লেখযোগ্য সাফল্য অর্জন করেছে। তবে পশ্চিমা বিমানে তারা আরও সক্ষমতা অর্জন করবে। 

ইউক্রেনের  যুদ্ধবিমান মিগ-২৯ (ফুলক্রাম) পুরানো হয়ে যাচ্ছে। এর যন্ত্রাংশ দুষ্প্রাপ্য এবং এফ-১৬ (ভাইপার) এর সঙ্গে তাল মেলাতে পারে না এই যুদ্ধ বিমান। 

ফুলক্রামে ‘ফায়ার-এন্ড-ফোরগেট’ সক্রিয়-রাডার হোমিং ক্ষেপণাস্ত্রের অভাব রয়েছে। অন্যদিকে রাশিয়ান এসইউ৩৫এস ‘বিয়ন্ড ভিজ্যুয়াল রেঞ্জ’ লড়াইয়ের জন্য আর্দশ। 

সেই তুলনায়, এফ-১৬এস বিভিআরে ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবস্থা ও আরও কার্যকর রাডার রয়েছে। আকাশ থেকে স্থল আক্রমণেও তারা সমানভাবে সক্ষম।

এখন প্রশ্ন উঠতে পারে প্রশ্ন উঠতে পারে পশ্চিমারা ইউক্রেনকে সাহায্য করছেই, তাহলে সমস্যা কোথায়? সমস্যাটা আসলে সময়ের।

এসব বিমান চালানোর ব্যাপারে একজন মার্কিন পাইলটকে প্রশিক্ষণ দিতে প্রায় চার থেকে ছয় মাস সময় লাগে। 

ইউক্রেনীয় পাইলটদের যেকোনো প্রশিক্ষণ দেশের বাইরে নিতে হবে। যুদ্ধরত অবস্থায় দেশের বাইরে যাওয়া মানে দক্ষ জনবলকে যুদ্ধের ময়দান থেকে সরিয়ে দেওয়া। 

তারপর আসে এসব আধুনিক বিমান সরবরাহের প্রশ্ন। কোনো ন্যাটো দেশ যুদ্ধবিমান পাঠাতে পারে।  কিন্তু তারপরে সেই বিমানগুলোকে ঠিকমতো কাজে লাগানোও জরুরি। এটা প্রাথমিক প্রতিরক্ষা নীতির মধ্যেই পড়ে। 

এতে সন্দেহ নেই যে ইউক্রেন– স্থল এবং আকাশ উভয় ক্ষেত্রেই পশ্চিমা সরবরাহ করা অস্ত্র কাজে লাগাতে পারবে।  তবে এর জন্য সময়, পরিকল্পনা এবং সংস্থানও জরুরি।  সূত্র: বিবিসি

LEAVE A REPLY