অভিনেত্রী কোয়েল মল্লিক ও তার বাবা রণজিত মল্লিক
বাবা মানে আগলে রাখা হাত। বাবা মানে হাজারো সমস্যায় মুশকিল আসান। ঠিক এই সংজ্ঞাগুলোই বদলে যায়, যখন বাবাদের বয়স বাড়ে। সন্তানরাই তখন ভরসা হয়ে ওঠে। আর মেয়ে হলে তো কথাই নেই! ছোট্ট মেয়েই বড় হয়ে বাবার মা হয়ে যায়। অভিনেত্রী কোয়েল মল্লিক এখন যেন বাবা রণজিত মল্লিকের মা-ই হয়ে উঠেছেন।
কোয়েলের কথায়, এটা একদম সত্যি। একটা বয়সের পর যেমন বাবারা বন্ধু হয়ে যায়, তেমনই বয়সকালে বাবাদের মা হয়ে ওঠে মেয়েরা। বাবাদের একটু কড়া চোখে রাখতে হয়। আমার বাবার ক্ষেত্রেও কিন্তু একই ঘটনা। আজকাল রীতিমতো বাবাকে জবাবদিহি করাই। কেন এটা করলে? কেন ওটা করলে না? খবর আনন্দবাজার পত্রিকার।
বয়স বাড়ে। ভাঙা স্বাস্থ্যের সঙ্গেই আসে দ্বিতীয় শৈশব। বড়রা তখন একেবারে ছেলেমানুষ! সেই সময়টাই বাবাদের মা হয়ে ওঠে মেয়েরা। ভুলচুক হলেই বকাঝকা! হাসতে হাসতেই কোয়েল বলেন, বাবা এক সময়ে আমাকে লুকিয়ে সিগারেট খেত! আমি যেহেতু একদমই পছন্দ করতাম না। আট বছর হয়ে গেছে বাবা সেই অভ্যাস ছেড়ে দিয়েছে। তবে এখনও কিছু এদিক ওদিক হলেই মা বলে, দাঁড়াও কোয়েলকে বলছি। একটা ধমকানোর জায়গা হয়ে গেছে!
পর্দার দাপুটে বাবা রণজিত মেয়ের সব কথা শোনেন? অভিনেত্রীর সহাস্য দাবি, হ্যাঁ তো! শুনতে বাধ্য। আমি ছোটবেলায় খুব বাধ্য মেয়ে ছিলাম। সব কথা শুনতাম। ঠাকুমা আমার নাম দিয়েছিলেন লক্ষ্মী। তা হলে এখন বাবার পালা পুরো নম্বর পাওয়ার।
আর কোয়েলের নিজের ছোট্ট ছেলে কবীর? নায়িকার কথায়, কবীর তো এখন খুবই ছোট। ও অবশ্যই আমার কথা শোনে। কিন্তু কতবার বলার পর শোনে, সেটা একটা ব্যাপার! একেবারে আমার বাবার মতোই!ডি- এইচএ