ইরানের পক্ষ থেকে সোমবার বলা হয়েছে তারা বিশ্বের শক্তিধর দেশগুলোর সঙ্গে পারমাণবিক অস্ত্র নিয়ে একটি ‘ভালো চুক্তি’ করতে চায়।
২০১৫ সালে যুক্তরাষ্ট্রসহ আরও বেশ কয়েকটি দেশের সঙ্গে পারমাণবিক চুক্তি করে ইরান। চুক্তি অনুযায়ী তারা কথা দিয়েছিল পারমাণবিক কার্যক্রম কমিয়ে দেবে।
অন্যদিকে যুক্তরাষ্ট্র চুক্তির বদলে ইরানের ওপর থেকে কিছু নিষেধাজ্ঞা তুলে দেয়।
কিন্তু ইরান চুক্তি ভঙ্গ করেছে এই কারণ দেখিয়ে ২০১৮ সালে চুক্তি থেকে নিজেদের প্রত্যাহার করে নেন যুক্তরাষ্ট্রের তৎকালীন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।
এখন সেই চুক্তিটি পুনরায় করতে চায় যুক্তরাষ্ট্র এবং ইরান।
এ নিয়ে তারা বেশ কয়েকবার আলোচনায় বসেছে। গত মার্চে এটি নতুন করে প্রায় হয়েই গিয়েছিল।
কিন্তু এখন চুক্তির বিষয়ে সবধরনের আলোচনা স্থগিত আছে।
আর আলোচনা স্থগিত থাকার জন্য যুক্তরাষ্ট্রকেই দায়ী করেছে ইরান।
সোমবার ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র সাঈদ খাতিবজাদেহ একটি টেলিভিশন কনফারেন্সে যুক্তরাষ্ট্রকে দায়ী করে বক্তব্য দেন।
তিনি বলেন, আজও আমরা ভিয়েনায় ফিরতে চাই (চুক্তিটি পুনরায় করতে চাই) যদি যুক্তরাষ্ট্র তাদের দেওয়া কথা রাখে।
ইরান চুক্তি করার জন্য একটি শর্ত আরোপ করেছে। সেটি হলো ইসলামিক রেভ্যুলেশনারী গার্ডস কর্পসকে সন্ত্রাসী তালিকা থেকে বাদ দিতে হবে।
কিন্তু যুক্তরাষ্ট্র এটি করতে চায় না। এ কারণেই আলোচনা থমকে আছে।
যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, পারমাণবিক অস্ত্র সংক্রান্ত বিষয় ছাড়া অন্য শর্ত আলোচনায় আনা যাবে না।
সূত্র: আল আরাবিয়া