কোক স্টুডিওর নতুন গান, মিতুর কণ্ঠে ‘সব লোকে কয়’

কানিজ খন্দকার মিতু

কোক স্টুডিওর নতুন গান সব ‘সব লোকে কয়’ মুক্তি পেয়েছে মঙ্গলবার। এই গানে কণ্ঠ দিয়েছেন তরুণ কণ্ঠশিল্পী কানিজ খন্দকার মিতু। ‘সব লোকে কয়’ গানের সঙ্গে ভারতীয় ফোকের মিশ্রণে ফিউশন তৈরি করা হয়েছে। এই অংশের শিরোনাম ‘কবিরা কুয়া এক হ্যায়’।

এতে কণ্ঠ দিয়েছেন ভারতের গায়ক মুর্শিদাবাদী। এটি পনেরো শতকের ভারতীয় রহস্যবাদী কবি এবং সাধক কবীর দাশের লেখা।   ইতোমধ্যে গানটি শ্রোতামহলে ছড়িয়ে পড়তে শুরু করেছে।

এই গান প্রসঙ্গে মিতু বলেন, ছোট থেকেই গান নিয়ে থাকলেও কোক স্টুডিওর এই গানের মাধ্যমে আমার পুনর্জন্ম হলো। এই ধারা অব্যাহত রাখতে চাই। পাশাপাশি গান দিয়ে মানুষের হৃদয়ে জায়গা করে নিতে চাই। সবাই আমার জন্য দোয়া করবেন, আমি যেন আপনাদের ভালো কিছু গান উপহার দিতে পারি৷

টাঙ্গাইলের মেয়ে মিতুর গানের তালিম শুরু হয় ওস্তাদ গোলাম রাব্বানী রতনের কাছে। তিনি মিতুকে নিজের মেয়ের মতো করেই গানের তালিম দেন, মিতু তাকে গুরু বাবা বলেই ডাকেন মিতু নিজের ধ্যান-জ্ঞান একাকার করে সঙ্গী করেছিলেন গানকে।  

মিতুর স্বপ্ন পূরণের প্রথম ধাপটি শুরু হয়  ব্র্যাক ব্যাংক নিবেদিত সংগীতবিষয়ক রিয়ালিটি শো ‘মেঘে ঢাকা তারা’য় অংশ নিয়ে। ২০১১ আয়োজিত এটিএন বাংলায় প্রচারিত এই আয়োজনে প্রথম স্থান অর্জন করেছিলেন তিনি। এবার বিশ্বসংগীত দিবসে মঙ্গলবার ‘কোক স্টুডিও’র বাংলা ভার্সন’র গান ‘সব লোকে কয়’। লালন সাঁইজি ‘সব লোকে কয়’ এই গানটিতে কণ্ঠ দিয়েছেন মিতু।

গানটি প্রযোজনার পাশাপাশি সংগীতায়োজন করেছেন শায়ান চৌধুরী অর্ণব।

গানটির বিষয়ে মিতু বলেন, এত বড় প্ল্যাটফর্মে লালন সাঁইজির গান করতে পেরেছি এটি আমার কাছে অনেক বড় পাওয়া। এ জন্য প্রথমেই কৃতজ্ঞতা জানাই অর্ণবদার প্রতি। তিনি না থাকলে এই সুযোগটি পাওয়া হতো না। পাশাপাশি বিশেষভাবে কৃতজ্ঞতা জানাই আমার ওস্তাদ গোলাম রাব্বানী রতনের প্রতি। তিনি আমার পাশে ছায়ার মতো না থাকলে হয়তো এতদূর আসা সম্ভব হতো না। এ ছাড়া আমার বিশ্ববিদ্যালয়ের সব শিক্ষকের প্রতিও আমি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি। ‘

কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সংগীত বিভাগে স্নাতক সম্পন্ন করেছেন মিতু। একই বিশ্ববিদ্যালয়ে লোক বিভাগে মাস্টার্সে অধ্যয়নরত।  

গানের আকাশে মিতুর নব যে পথচলা শুরু হলো, এই যাত্রায় কণ্ঠ, সুর, তাল আর লয়কে মুঠোবন্দি কর মেঘের ভেলায় পাড়ি দিয়ে চলতে চান অসীম দূরত্বে।

LEAVE A REPLY