দিনাজপুরের বিরামপুর উপজেলার সড়ক-মহাসড়কে অদক্ষ চালক চালিত ছোট যানের দৌরাত্ম্যে বাড়ছে দুর্ঘটনা, ঘটছে প্রাণহানি।
বিরামপুর উপজেলার মহাসড়ক ও বিভিন্ন শাখা সড়কে রাত-দিন বেপরোয়া গতিতে চলছে ব্যাটারিচালিত ইজিবাইক, মিশুক রিকশা, ভ্যান, সিএনজি ও শ্যালোচালিত ভটভটি নামক যান। অদক্ষ চালকরা এসব পরিচালনা করায় এবং তারা কোনো নিয়মনীতি বা ট্রাফিক আইন না মানায় অহরহ ঘটছে দুর্ঘটনা।
ছোট যানবাহনের এসব দৌরাত্ম্য দেখে মনে হবে তাদের নিয়ন্ত্রণে যেন কেউ নেই। যে যার মতো করে ইচ্ছামাফিক চলাচলের কারণে সড়ক-মহাসড়কে দুর্ঘটনা বাড়ছে।
গত ২৪ জুন মহাসড়কের বেলডাঙ্গায় অকারণে একটি ইজিবাইক পার্শ্ব পরিবর্তনের সময় একটি মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় পতিত হয়। এতে মোটরসাইকেলচালক ফয়সাল হোসেন নামে এক কলেজছাত্র ঘটনাস্থলেই প্রাণ হারায়।
শহরে ও বিভিন্ন হাটবাজার এবং বিভিন্ন রুটে চলাচলকারী ইজিবাইকচালক ও মালিকদের কয়েকটি সংগঠন থাকায় তাদের সঠিক পরিসংখ্যানও পাওয়া যায় না।
তবে শহরস্থ বিরামপুর ইজিবাইক মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক মুরাদ ইসলাম যুগান্তরকে জানান, তার সমিতিতে তিন শতাধিক ইজিবাইক রয়েছে। শহরের মালিকরা গ্রামাঞ্চলের অদক্ষ চালকদের নিকট যানগুলো ভাড়া দেওয়ায় সড়ক-মহাসড়কে দুর্ঘটনা বাড়ছে।
বিরামপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার পরিমল কুমার সরকার যুগান্তরকে জানান, জাইকার অর্থায়নে ছোট যানের সমিতির নেতৃবৃন্দ ও কিছু চালককে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে। দুর্ঘটনা রোধে অন্যান্য চালককে প্রশিক্ষণের আওতায় আনা হবে।