ন্যাটো সম্মেলন শেষে ‘কঠোর সুরে’ কথা বললেন এরদোগান

তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিস্যেপ তাইয়্যেপ এরদোগান ফিনল্যান্ড-সুইডেনের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন, তারা যেন জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে তাদের অভিযান বাড়িয়ে দেয়।

ন্যাটোর সদস্যপদ পেতে তুরস্কের সঙ্গে চুক্তি করে ফিনল্যান্ড-সুইডেন। 

চুক্তির পর তুরস্ক ন্যাটোতে এ দুটি দেশের সদস্যপদ পাওয়ার ক্ষেত্রে নিজেদের ভেটো তুলে নেয়।

তুরস্কের সঙ্গে ফিনল্যান্ড-সুইডেন চুক্তি করেছে- তারা জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে লড়াই করবে। এরদোগান আহ্বান জানিয়েছেন, এই চুক্তিটি যেন তারা পূর্ণভাবে বাস্তবায়িত করে।

চুক্তি অনুযায়ী সুইডেন ৭৩ জঙ্গিকে ফেরত দেবে সেই বিষয়টিও উল্লেখ করেছেন প্রেসিডেন্ট এরদোগান।

তিনি জানিয়েছেন, ন্যাটোর সদস্যপদ পেতে ৩০টি সদস্য দেশের সবগুলো দেশের সংসদে আলাদা আলাদাভাবে এটির অনুমোদন পেতে হবে।

এরদোগান কঠিন সুরে বলেছেন, যদি ফিনল্যান্ড-সুইডেন তাদের দেওয়া কথা না রাখে তাহলে তুরস্কের সংসদে এটি অনুমোদনের জন্য তিনি পাঠাবেন না।

ন্যাটো সম্মেলন শেষে এ ব্যাপারে সংবাদ সম্মেলনে এরদোগান বলেন, আমরা দৃঢ় বার্তা দিয়ে চাই, মিত্রদের কাছ থেকে শক্তিশালী সংহতি পাব আমরা এই আশা করি। শুধুমাত্র মুখের কথা না বাস্তবে প্রয়োগ চাই।

তিনি আরও বলেন, যদি ফিনল্যান্ড-সুইডেন শর্ত পূরণ করে, আমরা এটি সংসদে পাঠাব। যদি এগুলো পূরণ না করা হয়, তাহলে অনুমোদন পাওয়া প্রশ্নের বাইরে।

এদিকে ফিনল্যান্ড-সুইডেন তুরস্কের দাবি-দাওয়া মেনে নেওয়ার বিষয়টিকে তুরস্কের ‘কূটনৈতিক বিজয়’ বলেও উল্লেখ করেন এরদোগান। 

ন্যাটো সম্মেলনের ঠিক আগ মুহূর্তে এরদোগানের সঙ্গে ত্রিপক্ষীয় বৈঠকে বসেন ফিনল্যান্ডের প্রেসিডেন্ট এবং সুইডেনের প্রধানমন্ত্রী। 

এ বৈঠকে তুরস্কের ওপর অস্ত্র নিষেধাজ্ঞা ওঠিয়ে নেওয়া, জঙ্গি দল পিকেকে এবং ওয়াইপিজের বিরুদ্ধে অবস্থান নেওয়া এবং তুরস্কের ওয়ান্টেড জঙ্গিদের তুরস্কের হাতে তুলে দেওয়ার শর্তগুলো মানতে রাজি হয় ফিনল্যান্ড-সুইডেন। 

সূত্র: আল জাজিরা

LEAVE A REPLY