দেশের রাজনীতিতে সন্ত্রাসের জন্মদাতা বিএনপি : কাদের

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, এ দেশের রাজনীতিতে সন্ত্রাসের জন্মদাতা ও লালনকর্তা বিএনপি। ১৯৭৫-এর ১৫ আগস্টের নির্মম-নিষ্ঠুরতম হত্যাকাণ্ডের বেনিফিশিয়ারি বিএনপি। আর সন্ত্রাসের বিপরীতে দাঁড়িয়ে গণ-আকাঙ্ক্ষাকে ধারণ করে জনকল্যাণের রাজনীতি করে আওয়ামী লীগ।  

তিনি বলেন, ‘এ দেশে আগুন সন্ত্রাস আর জীবন্ত মানুষকে পুড়িয়ে মারার ভয়াবহ অপসংস্কৃতি বিএনপি চালিয়ে যাচ্ছে।

যারা জনবিচ্ছিন্ন, যাদের পায়ের তলায় মাটি নেই, যারা অপরাজনীতির কারণে জনপ্রত্যাখ্যাত, সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডই তাদের রাজনৈতিক হাতিয়ার। এই সন্ত্রাসের বিপরীতে দাঁড়িয়ে গণ-আকাঙ্ক্ষাকে ধারণ করে জনকল্যাণের রাজনীতি করে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ। ’

আজ রবিবার (৩ জুলাই) গণমাধ্যমকে দেওয়া এক বিবৃতিতে ওবায়দুল কাদের এসব কথা বলেন। বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রচারিত বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের উদ্দেশ্যপ্রণোদিত মিথ্যাচার ও অপপ্রচারমূলক বিবৃতির নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাতেই এই বিবৃতি প্রদান করা হয়।  

‘আওয়ামী লীগ সন্ত্রাসনির্ভর রাজনৈতিক দল’―বিএনপি নেতাদের এমন অভিযোগের জবাবে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘বিএনপি নেতারা হাস্যকর অভিযোগ করেছেন যে আওয়ামী লীগ নাকি সন্ত্রাসনির্ভর রাজনৈতিক দল! অথচ দেশের মানুষ ভালো করেই জানে, কোন দল সন্ত্রাসের পৃষ্ঠপোষক, কাদের রাজনৈতিক দর্শনে সন্ত্রাসনির্ভরতা রয়েছে। এ দেশের রাজনীতিতে সন্ত্রাসের জন্মদাতা, লালনকর্তা বিএনপি। ১৯৭৫-এর ১৫ আগস্টের নির্মম-নিষ্ঠুরতম হত্যাকাণ্ডের বেনিফিশিয়ারি বিএনপি। ’

তিনি বলেন, ‘ক্ষমতায় থাকাকালে তারা রাষ্ট্রযন্ত্রকে সন্ত্রাসের পৃষ্ঠপোষকতা প্রদান করেছে। তাদের শীর্ষ নেতৃত্বের প্রত্যক্ষ মদদ ও পৃষ্ঠপোষকতায় বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনাকে হত্যার উদ্দেশ্যে ২০০৪ সালের ২১ আগস্ট নৃশংস গ্রেনেড হামলা সংঘটিত হয়েছিল। ’

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘গণভিত্তির মধ্য দিয়ে কিংবা জনগণের সংগঠিত প্রয়াস হিসেবে বিএনপির প্রতিষ্ঠা হয়নি। এক নিষ্ঠুর স্বৈরশাসকের বন্দুকের নলের মুখে জনগণকে জিম্মি করে বিএনপির সৃষ্টি হয়েছিল। প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকেই বিএনপি একটি সন্ত্রাসনির্ভর ও ষড়যন্ত্রমুখী রাজনৈতিক দল হিসেবে জনগণের কাছে চিহ্নিত। ’ 

তিনি বলেন, ‘শুধু দেশেই নয়, কানাডার আদালত বিএনপিকে সন্ত্রাসী দল হিসেবে চিহ্নিত করেছে। শুধু সন্ত্রাসনির্ভরতাই নয়, বাংলাদেশের উন্নয়ন ও অগ্রগতিবিরোধী অপশক্তি হিসেবেও নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করেছে বিএনপি। তাদের বোঝা উচিত, কথামালার বৃষ্টিতে এ দেশের জনগণের মন ভেজে না। জনগণ মুখোশের অন্তরালে থাকা তাদের প্রকৃত চেহারা চেনে ও  জানে। ’

ওবায়দুল কাদের বলেন, যে দলের রাজনৈতিক শক্তি ক্রমশ ক্ষয়িষ্ণু তাদের কাল্পনিক অভিযোগ দিন দিন বাড়বে, এটাই স্বাভাবিক। বিএনপি নেতারা বানভাসি মানুষের সঙ্গে লোক-দেখানো ফটোসেশন করছে। তাদের এক চিমটি সাহায্য মানুষের ভোগান্তির সঙ্গে নির্মম পরিহাস ছাড়া কিছু নয়। সাহায্যের নামে বিএনপির লোক-দেখানো ত্রাণ থেকে মানুষ পরিত্রাণ চায়।

তিনি বলেন, সফল রাষ্ট্রনায়ক শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বর্তমান সরকার এবং আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা জনমানুষের পাশে রয়েছে। অতীতেও ছিল, ভবিষ্যতেও থাকবে। আর যারা রাজনীতিকে নিজেদের ভাগ্য পরিবর্তনের হাতিয়ার মনে করে, যাদের জন্মই হয়েছিল স্বৈরতন্ত্রকে দীর্ঘস্থায়ী করে ক্ষমতাকে কুক্ষিগত করার জন্য তারা জনগণের দুর্দশা নিয়েও অপরাজনীতি করে।

বিএনপির ত্রাণ কার্যক্রম একধরনের ত্রাণবিলাস মন্তব্য করে তিনি বলেন, ফেনীর সোনাগাজীতে বিএনপি নেতারা ত্রাণ বিতরণের নামে নাটক করেছেন। তারা ফেনী থেকে ফেরত এসে সংবাদ সম্মেলন করেছেন। রাজনৈতিক সদিচ্ছা এবং সাহস থাকলে নিশ্চয়ই তারা মানুষের পাশে দাঁড়ানোর চেষ্টা করতেন। তারা সাহায্য প্রদানের চেয়ে প্রেস ব্রিফিংয়ে অধিক মনোযোগী। যত দিন পর্যন্ত বিএনপি অপরাজনীতি ছেড়ে জনকল্যাণে মনোনিবেশ না করবে তত দিন পর্যন্ত তাদের সকল অপকৌশল জনগণ ঘৃণাভরে প্রত্যাখ্যান করবে

LEAVE A REPLY