লিগ শিরোপা জয়ের পথে টিকে থাকতে শীর্ষে থাকা বসুন্ধরা কিংসের সঙ্গে পয়েন্ট ব্যবধান কমানোর সুযোগ নষ্ট করে বড় ধাক্কা খেল আবাহনী। সাইফ স্পোর্টিং ক্লাবের কাছে মারিও লেমোসের দল হেরে গেছে ৪-২ ব্যবধানে। আবাহনীর এই হারে সমান ম্যাচ খেলে ৭ পয়েন্টে এগিয়ে থাকল বসুন্ধরা কিংস।
মুন্সীগঞ্জের বীরশ্রেষ্ঠ শহীদ লেফটেন্যান্ট মতিউর রহমান স্টেডিয়ামে রোমাঞ্চকর ম্যাচ উপহার দিয়েছে দুই দল।
আক্রমণ প্রতি আক্রমণের ম্যাচে আবাহনীর রক্ষণভাগের দুর্বলতার সুযোগ কাজে লাগিয়ে দারুণ জয় তুলে নিল আন্দ্রেস ক্রুসিয়ানির দল। প্রথম লেগে সিলেটে ২-১ ব্যবধানে জিতেছিল আবাহনী।
১৮ ম্যাচে ৩৮ পয়েন্ট নিয়ে দ্বিতীয় অবস্থানে আবাহনী লিমিটেড। সমান ম্যাচে ৩৩ পয়েন্ট নিয়ে তৃতীয় অবস্থানে সাইফ স্পোর্টিং ক্লাব। আর গতকাল মোহামেডানের কাছে ২ পয়েন্ট হারিয়েও ৪৫ পয়েন্ট নিয়ে লিগ শিরোপা জয়ের পথে সবার চেয়ে এগিয়ে বসুন্ধরা কিংস। শেষ চার ম্যাচের দুটিতে জিতলেই হ্যাটট্রিক লিগ শিরোপা জিতবে বসুন্ধরা।
নবম মিনিটে অল্পের জন্য গোল পায়নি আবাহনী। বক্সের কোনাকুনি থেকে ড্যানিয়েল কলিন্দ্রেসের দূরপাল্লার শট ক্রস বারে লেগে ফিরে আসে। ফিরতি বলে তৈরি হয় দারুণ সুযোগ, রাকিবের বাড়িয়ে দেওয়া বলে মেহেদি হাসান রয়েলের শট, ফাঁকায় থাকা দরিয়েলতনের শট আটকে দেন পোস্ট থেকে বের হয়ে আসা গোলকিপার মিতুল হাসান। আক্রমণ প্রতি আক্রমণে শুরু হওয়া ম্যাচে ১৪ মিনিটে গোল পেয়ে যায় সাইফ স্পোর্টিং ক্লাব। ডান প্রান্ত থেকে আসরোর গফুরভের দারুণ ক্রস ফেরানোর চেষ্টা করেও পারেননি শহিদুল আলম সোহেল, সেখানে বল পেয়ে এমেকা ওগবাগ টোকা দিয়ে বাড়িয়ে দিলে সহজেই জাল খুঁজে নেন এমফন সানডে।
২২ মিনিটে বক্সের ডান প্রান্ত থেকে রাকিবের নেওয়া গতির শট দারুণ প্রচেষ্টায় কর্নারের বিনিময়ে রক্ষা করেন মিতুল হাসান। ৩৫ মিনিটে ড্যানিয়েল কলিন্দ্রেসের কর্নারে দরিয়েলতনের ওভার হেড গোলে ম্যাচে ফিরে আসে আবাহনী। ব্রাজিলিয়ান এই ফরোয়ার্ডের এমন গোল চোখে লেগে থাকার মতো। চলতি লিগে এটি তার ১২তম গোল। আবাহনীর আক্রমণের পাল্টা জবাব দিয়ে ৪০ মিনিটে আবারও এগিয়ে যায় সাইফ স্পোর্টিং। এমফন সানডের কর্নার গোলকিপার শহিদুল আলম সোহেল পোস্ট ছেড়ে বাইরে এসে পারেননি ক্লিয়ার করতে। এরই ফাঁকে গোলমুখে স্লাইডিংয়ে পা লাগিয়ে জাল খুঁজে নেন সবুজ হোসেন।
দ্বিতীয়ার্ধেও চলে আক্রমণ পাল্টা আক্রমণের লড়াই। ৬৫ মিনিটে ব্যবধান ৩-১ করে ফেলে সাইফ স্পোর্টিং। এমফন সানডের কর্নারে লাফিয়ে হেডে বল জালে পাঠান রহিম উদ্দিন। ৭১ মিনিট স্পট কিক থেকে ব্যবধান ৪-১ করে এমেরি বাইসেঙ্গে। দ্বিতীয়ার্ধের যোগ করা সময়ে পেনাল্টি থেকে ব্যবধান একটু কমান কলিনদ্রেস। তা না হলে আবাহনীর হারের ব্যবধান আরো বড় হতে পারত।