মন্ত্রীদের আহ্বান সত্ত্বেও পদত্যাগ করবেন না জনসন

ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন

জ্যেষ্ঠ কয়েকজন মন্ত্রী বুধবার সন্ধ্যা থেকে একে একে দেখা করে পদত্যাগের আহ্বান জানানোর পরও ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন বলেছেন, তিনি সরে দাঁড়াবেন না।  

দশ নম্বর ডাউনিং স্ট্রিটে বরিস জনসনের সঙ্গে দেখা করা বিদ্রোহী নেতাদের মধ্যে ছিলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী প্রীতি প্যাটেল ও মাত্র মঙ্গলবারই জনসনের নিয়োগ দেওয়া অর্থমন্ত্রী নাদিম জাহাবি। প্রীতি প্যাটেল এতদিন প্রধানমন্ত্রীকে সমর্থন করে এসেছেন।

ব্রিটিশ মন্ত্রিপরিষদ সদস্যদের দুই পক্ষের দুটি দল প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসনের সঙ্গে দেখা করতে ১০ নম্বর ডাউনিং স্ট্রিটে যান।

বিদ্রোহী মন্ত্রীদের মধ্যে আরো উপস্থিত ছিলেন গ্র্যান্ট শ্যাপস, মাইকেল গোভ এবং কোয়াসি কোয়ার্টেং। উত্তর আয়ারল্যান্ড বিষয়ক মন্ত্রী ব্র্যান্ডন লুইস বেলফাস্ট থেকে বিমানে লন্ডনে ফিরেই প্রধানমন্ত্রীর দপ্তরে হাজির হন। তিনিও এর পর পদত্যাগ করেন।

সাজিদ জাভিদ এবং রিশি সুনাকসহ মঙ্গলবার থেকে এ নিয়ে সরকারের অন্তত ৩৯ জন মন্ত্রী ও জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা পদত্যাগ করেছেন। অব্যাহত বিদ্রোহের মুখে বরিস জনসন নেহাতই নিঃসঙ্গ হয়ে পড়েছেন বলে মনে করা হচ্ছে। তবে তিনি সরকার চালিয়ে যাওয়ার প্রত্যয় ব্যক্ত করেছেন।  
বুধবার বিকেলে ডাউনিং স্ট্রিটে আরেকদল মন্ত্রী প্রধানমন্ত্রীকে সমর্থন জানাতে উপস্থিত ছিলেন। এর মধ্যে ছিলেন নাদিন ডোরিস ও জ্যাকব রিজ মগ। এর আগে পররাষ্ট্রমন্ত্রী লিজ স্ট্রাসসহ ক্যাবিনেট সদস্যদের বেশিরভাগই জনসনের নেতৃত্বে আস্থা প্রকাশ করেছিলেন।  

বরিস জনসনের সর্বশেষ সংকটের সূত্রপাত হয় ডেপুটি চিফ হুইপ নিয়োগ নিয়ে। একটি যৌন বিষয়ক অভিযোগে জড়িত ক্রিস পিঞ্চারকে জনসন কয়েকমাস আগে ডেপুটি চিফ হুইপ নিয়োগ দেন। এ নিয়ে তিনি মঙ্গলবার ভুল স্বীকার করে দুঃখ প্রকাশের পরপরই দুই মন্ত্রী তার ওপর আর আস্থা নেই বলে পদত্যাগের ঘোষণা দেন। জনসন দাবি করেছেন তিনি পিঞ্চারের বিরুদ্ধে অভিযোগ সম্পর্কে অবগত ছিলেন না।

এছাড়া লকডাউনের সময় পার্টি করার কেলেঙ্কারি ও স্বজনপ্রীতির অভিযোগের কারণে দলের ভেতরে বাইরে জনসনের প্রতি বিরোধিতা তুঙ্গে ওঠে। চলতি অর্থনৈতিক সংকট মোকাবেলার কৌশল নিয়ে পদত্যাগী অর্থমন্ত্রী রিশি সুনাকের সঙ্গে তার ব্যাপক মতপার্থক্য ছিল বলে সুনাক উল্লেখ করেছেন। সূত্র: বিবিসি

LEAVE A REPLY