সপ্তম কভিড তরঙ্গে চাপের মুখে ফ্রান্স

প্রতীকী ছবি

ফ্রান্সে কভিড-১৯ আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে সেদেশের হাসপাতালগুলোর নিবিড় পরিচর্যা ইউনিটে চাপ বাড়ছে। এ পরিস্থিতিতে দেশটির দপ্তর অবশ্য আশা করছে, চাপ সত্ত্বেও স্বাস্থ্যসেবার পরিস্থিতি মোটামুটি স্বাভাবিক থাকবে।

 আগামী সপ্তাহে ফ্রান্সে সংক্রমণের পরিস্থিতি সর্বোচ্চ পর্যায়ে পৌঁছে যেতে পারে বলে ধারণা করছেন ফ্রান্সের জাতীয় স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের বিশেষজ্ঞ পরিষদের চেয়ারম্যান জ্যঁ ফ্রাঁসোয়া দেলফ্রেসি।

পশ্চিম ইউরোপের অন্যতম বৃহৎ ও জনবহুল দেশ ফ্রান্সে এখন প্রতিদিন ১৮ হাজারের বেশি নতুন সংক্রমণ হচ্ছে।

দেশটি বর্তমানে কভিড-১৯ এর সপ্তম তরঙ্গের মাঝামাঝি সময় অতিবাহিত করছে।  

তবে, সংক্রমণের প্রকৃত সংখ্যা আরও বেশি বলেই মনে করা হচ্ছে। সরকারের বিশেষজ্ঞ কাউন্সিলের মতে, পরীক্ষায় অতিমাত্রায় পজিটিভ ফলাফল জাতীয় স্বাস্থ্য অধিদপ্তরে জানাতে জানাতে ক্লান্ত হয়ে পড়েছে জনগণ। তাই অনেকেই রিপোর্ট করা থেকে বিরত থাকছে।   এটি মহামারির বিরুদ্ধে লড়াইয়ের জাতীয় ঐক্যবদ্ধ প্রচেষ্টাকে ব্যাহত করছে।

 ফ্রান্সের রেডিও চ্যানেল আরটিএল-এর কাছে এক মন্তব্যে ফরাসি সরকারের বিশেষজ্ঞ পরিষদের চেয়ারম্যান জঁ ফ্রাঁসোয়া দেলফ্রেসি বলেন, আমরা কখন কভিড-১৯ এর সপ্তম তরঙ্গের শীর্ষে পৌঁছাব তা বলা কঠিন। তবে সবচেয়ে বেশি আক্রান্ত প্যারিস অঞ্চলে সংক্রমণ বৃদ্ধির হারে কিছুটা মন্থরতা দেখতে পাচ্ছি।  

উল্লেখ্য, ইউরোপের অন্যান্য দেশের মতো ফ্রান্সে কভিড-১৯ এর দ্রুত বিস্তারের পেছনে রয়েছে মূলত করোনার ওমিক্রন ধরনের নতুন রূপ বিএ.৫।

ফ্রান্সে নিবিড় পরিচর্যা গ্রহণকারী রোগীর সংখ্যা সম্প্রতি অনেক বেড়েছে। আগামী দুই সপ্তাহের মধ্যে তা আরও বাড়বে বলে আশংকা করা হচ্ছে। হাসপাতালগুলোর নিবিড় পরিচর্যা ইউনিটগুলোতে বর্তমানে দিনে ১১০০ থেকে ১২০০ রোগীকে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।  

বিশেষজ্ঞ পরিষদের চেয়ারম্যানের মতে, আগামী দিনগুলোতে প্রায় ১৮০০ বা তারও বেশিসংখ্যক রোগীকে নিবিড় পরিচর্যা ইউনিটে ভর্তি করতে হতে পারে। তবে চিকিৎসা সেবা প্রদান করতে কোনো অসুবিধা হবে না।

এবছর মার্চের মাঝামাঝি সময়ে ফ্রান্স দেশের অভ্যন্তরে মাস্ক ব্যবহারের বিধিনিষেধগুলো বাতিল করে। পরে গণপরিবহনেও মাস্ক ব্যবহারের বিধান তুলে নেওয়া হয়। আগে সিনেমা এবং যাদুঘরসহ বিভিন্ন স্থানে প্রবেশের সময় টিকা সনদের শর্ত থাকলেও একসময় তাও তুলে নেওয়া হয়।  

তবে সম্প্রতি ফরাসিদের আবারও মাস্ক ব্যবহার করার পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে। সম্প্রতি ফ্রান্সের স্বাস্থ্যমন্ত্রী ফ্রাঁসোয়া ব্রাউন এক বিবৃতিতে ফরাসিদের গ্রীষ্মের ছুটির দিনগুলোতে ট্রেন, বাসসহ বেশি ভিড় হয় এমন স্থানে মাস্ক ব্যবহার করতে পরামর্শ দিয়েছেন।  

LEAVE A REPLY