নেবুলাইজার যেভাবে ব্যবহার করবেন

অ্যাজমা, সিওপিডি ও অন্যান্য শ্বাসনালিজনিত রোগ তীব্র আকার ধারণ করলে এবং রোগী ইনহেলার নিতে ব্যর্থ হলে বিকল্প হিসেবে নেবুলাইজার দেওয়ার প্রয়োজন হতে পারে। শ্বাসতন্ত্রের রোগের চিকিৎসায় ব্যবহৃত নেবুলাইজার অ্যারোসল বা সূক্ষ্ম জলকণা তৈরি করে। সূক্ষ্ম জলকণার আকারে শ্বাসতন্ত্রের গভীরে ওষুধ পৌঁছানোর কাজ করে যন্ত্রটি।

ইনহেলারের ব্যবহার জানা না থাকলে সরাসরি শ্বাসযন্ত্রে ওষুধ পৌঁছাতে নেবুলাইজার ব্যবহার করা যেতে পারে।

তবে নিয়মিত চিকিৎসার ক্ষেত্রে ইনহেলার ব্যবহার করা ভালো।

যেভাবে কাজ করে

বিদ্যুতের সাহায্যে চলে নেবুলাইজার। উচ্চ চাপের বাতাস বা অক্সিজেন প্রবাহ তৈরি করে ওষুধ মেশানো তরলকে অ্যারোসল বা সূক্ষ্ম জলকণায় পরিণত করে নেবুলাইজার। উচ্চ কম্পাঙ্কের ধাতব পাতের সংঘাতের মাধ্যমেও কিছু নেবুলাইজার অ্যারোসল তৈরি করতে পারে। নেবুলাইজার সলিউশন সাধারণত ২০ থেকে ৩০ মিনিট পর্যন্ত ওষুধ বাষ্প করে। এই সময়টুকু রোগী বসা অবস্থায় থাকবে। মাউথপিসের মাধ্যমে ওষুধ গ্রহণ করতে হবে। নেবুলাইজার ব্যবহারে স্বাভাবিক শ্বাস-প্রশ্বাসের মাধ্যমে ওষুধ যথাস্থানে পৌঁছে যায়। বিভিন্ন ধরনের ওষুধ নেবুলাইজারের মাধ্যমে প্রয়োগ করা যায়।

প্রয়োগের নিয়ম

♦ তীব্র শ্বাসকষ্টের সময় নেবুলাইজারের মাধ্যমে দীর্ঘক্ষণ ও ঘন ঘন ওষুধ প্রয়োগ করতে হবে।

♦ বসা বা আধা শোয়া অবস্থায় নেবুলাইজার ব্যবহার করতে হবে।

♦ নেবুলাইজারের তৈরি অ্যারোসলাইজড ওষুধ বাষ্প হয়ে একটি টিউবের মাধ্যমে বেরিয়ে আসে। ফেসমাস্ক বা মাউথপিসের মাধ্যমে রোগী এই বাষ্প গ্রহণ করতে পারে।

♦ নেবুলাইজার ব্যবহারের পর কুলি করে মুখ পরিষ্কার করে নিতে হবে।

করণীয়

নেবুলাইজারে সাধারণত স্যালাইন পানির সঙ্গে মেশানো ওষুধ ব্যবহার করা হয়। চিকিৎসকের প্রেসক্রিপশন অনুযায়ী নেবুলাইজার সলিউশন তৈরি করা হয়ে থাকে। এটি হাসপাতালেই বেশি ব্যবহার উপযোগী। তবে বাসায় নিয়মিত ব্যবহার করতে হলে অবশ্যই প্রশিক্ষণ নিতে হবে এবং ওষুধের মাত্রা ও প্রয়োগের ক্ষেত্রে সম্পূর্ণরূপে চিকিৎসকের প্রেসক্রিপশন মানতে হবে।

পরামর্শ দিয়েছেন

ডা. শাহেদ সাব্বির আহমেদ

আবাসিক মেডিক্যাল অফিসার

কাউনিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স, রংপুর।

LEAVE A REPLY