সেই ‘নজরদারি ক্যামেরাগুলো’ বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত ইরানের

ইরানের পারমাণবিক কার্যক্রমের ওপর নজরদারি চালানোর জন্য জাতিসংঘ বেশ কয়েকটি ক্যামেরা স্থাপন করেছিল। 

কিন্তু কয়েকদিন আগে সেসব ক্যামেরা বন্ধ করে ইরান। 

সোমবার ইরানের আণবিক শক্তি অর্গানাইজেশনের প্রধান জানিয়েছেন, এ ক্যামেরাগুলো বন্ধই থাকবে। যদি ইরানের সঙ্গে ২০১৫ সালে করা পারমাণবিক চুক্তিটি নতুন করে করা হয়, তখন ক্যামেরাগুলো আবার সচল করা হবে। এর আগ পর্যন্ত সেগুলো বন্ধই থাকবে। 

গত জুন মাসে জাতিসংঘের আন্তর্জাতিক আণবিক শক্তি কমিশনের (আইএইএ) স্থাপিত ২৭টি ক্যামেরার সুইচ বন্ধ করে দেয় ইরান।

২০১৫ সালে ইরানের সঙ্গে চুক্তি হওয়ার পর এ ক্যামেরাগুলো স্থাপন করা হয়েছিল। গত জুনে ইরানের বিরুদ্ধে একটি নিন্দা প্রস্তাব গৃহীত হয়েছিল আইএইএ-এর সম্মেলনে। এরপর পাল্টা ব্যবস্থা নিতে ক্যামেরাগুলো বন্ধ করে দেয় মধ্যপ্রাচ্যের দেশটি। 

ইরানের পারমাণবিক অর্গানাইজেশনের প্রধান মোহাম্মদ ইসলামী এ ব্যাপারে বলেছেন, আমরা আইএইএ-এর ক্যামেরা চালু করব না যতক্ষণ নতুন চুক্তি না হচ্ছে।

এদিকে এর আগে আইএইএ-এর প্রধান রাফায়েল গ্রোসির তীব্র সমালোচনা করেন ইরানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র নাসির কানানি। তিনি বলেন, রাফায়েল গ্রোসি অপেশাদার, অবিবেচক এবং অগঠনমূলক দৃষ্টিতে ইরানকে দেখে। 

তিনি জানিয়েছেন, ইরান পারমাণবিক চুক্তিতে আগ্রহী। কিন্ত তার আগে আইএইএ-কে ইরানের প্রতি ইতিবাচক হতে হবে। 

সূত্র: আল আরাবিয়া 

LEAVE A REPLY