ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাখোঁ গতকাল স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার সৌদি যুবরাজ মুহাম্মদ বিন সালমানকে আতিথ্য করেছেন। বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন- ইউক্রেনের যুদ্ধ এবং ইরানের সঙ্গে পারমাণবিক চুক্তি পুনরুজ্জীবিত করার আলোচনা বিপর্যয়ের মধ্যে প্রধান তেল উৎপাদনকারী রাষ্ট্রের সঙ্গে সম্পর্ক পুনঃস্থাপন করার জন্য পশ্চিমা প্রচেষ্টার বর্ধিত অংশ ।
এলিসি প্রাসাদে নৈশভোজে যুবরাজ মুহাম্মদ বিন সালমানকে আমন্ত্রণ জানানোর ম্যাখোঁর সিদ্ধান্তের সমালোচনা করেছে ফরাসি বিরোধী ব্যক্তিত্ব এবং মানবাধিকার গোষ্ঠীগুলো।
মুহাম্মদ বিন সালমান এমন একজন ব্যক্তি, যার সম্পর্কে পশ্চিমা নেতারা বিশ্বাস করেন- তিনি ২০১৮ সালে বিশিষ্ট সৌদি সাংবাদিক জামাল খাশোগিকে হত্যার নির্দেশ দিয়েছিলেন।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের সঙ্গে সৌদি আরবে আলোচনার দুই সপ্তাহ পর সক্রিয় এই সৌদি শাসকের প্যারিস সফর। ইরান, রাশিয়া এবং চীনের ক্রমবর্ধমান আঞ্চলিক প্রভাব মোকাবেলা করার জন্য পশ্চিমারা তেল সম্পদে সমৃদ্ধ উপসাগরীয় এই আরব রাষ্ট্রের সঙ্গে সম্পর্ক পুনঃস্থাপন করতে আগ্রহী।
সৌদি যুবরাজের সফরের আগে অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনালের সেক্রেটারি জেনারেল অ্যাগনেস ক্যালামার্ড টুইটারে বলেছেন, হত্যাকারী যুবরাজের পুনর্বাসন ফ্রান্সে যুক্তরাষ্ট্রের মতোই বাস্তব রাজনীতি দ্বারা যুক্তিসঙ্গত করা হচ্ছে। তবে এটি আসলে দর কষাকষি, যা প্রাধান্য পেয়েছে। দেখা যাক কী হয়।
ইউক্রেনে রাশিয়ার আক্রমণের পর ফ্রান্স এবং অন্যান্য ইউরোপীয় দেশ তাদের জ্বালানি শক্তির উৎসতে বৈচিত্র আনতে চাইছে। তারা দেখেছে- মস্কো ইউরোপে গ্যাস সরবরাহ বন্ধ করে দিয়েছে। ম্যাখোঁ চান বিশ্বের বৃহত্তম তেল রপ্তানিকারক রিয়াদ যেন উৎপাদন বাড়ায়।
সূত্র: ভয়েস অব আমেরিকা।