কচুয়ায় দুই গ্রুপে সংঘর্ষে পুলিশসহ আহত ২০

চাঁদপুরের কচুয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের বর্ধিত সভা কেন্দ্র করে সংঘর্ষ-হামলা ও দোকানপাট ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেছে। সংঘর্ষে পুলিশসহ অন্তত ২০ জন আহত হয়েছেন। উপজেলা আওয়ামী লীগের কার্যালয়ে সোমবার বর্ধিত সভা শুরু হওয়ার কিছুক্ষণ পর কচুয়া বিশ্বরোড এলাকায় এ সংঘর্ষ হয়। সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক প্রার্থীদের কর্মী সমর্থকরা আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে পালটাপালটি মিছিল, শোডাউন, ধাওয়া-পালটাধাওয়া ও বেশ কয়েকটি দোকানপাট ভাঙচুর করে। একপর্যায়ে এ ধাওয়া-পালটাধাওয়া সংঘর্ষে রূপ নেয়।

এতে কচুয়া থানার এসআই আনোয়ার ও কনস্টেবল রাছেলসহ ২০ জন আহত হয়। এদের মধ্যে গুরুতর আহত চাঁদপুর জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সদস্য কার্তিক রায় ও ছাত্রলীগ নেতা সজিব হোসেনকে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে, ছাত্রলীগ নেতা শাহাদাত হোসেন ও নাজমুল, যুবলীগ নেতা মানিক ও নাসিমকে কচুয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। এ ছাড়া উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক এসএম জাকির হোসেন সবুজ, আওয়ামী লীগ নেতা জহিরুল ইসলাম, তোফায়েল, কাউছার, সাগরসহ অন্যরা স্থানীয় বিভিন্ন ক্লিনিকে চিকিৎসা নেন।

সংঘর্ষ চলাকালীন উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি ইব্রাহীম খলিল বাদলের মালিকানাধীন নিউ সৌদিয়া হোটেলে ভাঙচুর ও লুটপাটের ঘটনা ঘটে।

এ ছাড়া কচুয়া বিশ্বরোড মডার্ন হসপিটাল, উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান মাহবুব আলমের অফিস, শিপনের সেলুন, নজরুলের ভাই ভাই প্লাস্টিক হাউজ ও সুধীরের মুদি দোকান ভাঙচুর করা হয়।

চাঁদপুর জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সুদীপ্ত রায়, কচুয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. ইবনে আল জায়েদ হোসেন, সিনিয়র এএসপি সার্কেল (কচুয়া) আবুল কালাম চৌধুরী ও কচুয়া থানার ওসি মো. মহিউদ্দিন ঘটনাস্থলে অবস্থান করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে সর্বাত্মক চেষ্টা করেন।

কচুয়া থানার ওসি মো. মহিউদ্দিন বলেন, সকালে আওয়ামী লীগের বর্ধিত সভা শুরু হলে কয়েক প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে উত্তেজনা দেখা দেয়। পরে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে।

বিবদমান গ্রুপ ফের সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। বর্ধিত সভা শেষে স্থানীয় সংসদ-সদস্য ড. মহিউদ্দিন খান আলমগীর, জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি নাছির উদ্দিন আহমেদ ও সাধারণ সম্পাদক আবু নঈম পাটওয়ারী দুলাল ক্ষতিগ্রস্ত দোকানপাট পরিদর্শন করেছেন।

LEAVE A REPLY