নেতিবাচক হারে হ্রাস পাবে চীনের জনসংখ্যা

চীনের জনসংখ্যা ২০২৫ সালের মধ্যে নেতিবাচক হারে কমতে শুরু করবে। পরিবারের আকৃতি ছোট হতে থাকা এবং প্রবীণ ব্যক্তির সংখ্যা বেশি হওয়ায় এমনটি হতে পারে বলে জানিয়েছেন চীনের কর্মকর্তারা।  

বিশ্বের সবচেয়ে জনবহুল দেশ হওয়া সত্ত্বেও চীনে বয়স্ক মানুষের সংখ্যা বেশি হওয়ায় দেশটির কর্মশক্তি কমে যাচ্ছে, যা তাদের অর্থনীতির গতিকে মন্থর করে দিচ্ছে এবং জনসংখ্যা বৃদ্ধির গতি আরো দুর্বল করে দিচ্ছে। ফলে দেশটি সামনে জনসংখ্যা সংকটে পড়তে যাচ্ছে।

জন্মহার কমতে থাকায় ২০১৬ সালে এক সন্তান নীতি থেকে সরে আসে চীন সরকার। জনসংখ্যা হ্রাস ঠেকানোর পরবর্তী পদক্ষেপ হিসেবে গত বছর দম্পতিদের তিন সন্তান গ্রহণের অনুমোদন দেয় কর্তৃপক্ষ।  

গত সোমবার চীনের জাতীয় স্বাস্থ্য কমিশন (এনএইচসি) ২০২১ ও ২০২৫ সালের মধ্যকার পরিস্থিতি ব্যাখ্যা করতে গিয়ে বলে, জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার আশঙ্কাজনকভাবে কমতে শুরু করেছে এবং ১৪তম পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনায় এই বৃদ্ধির হার নেতিবাচক পর্যায়ে পৌঁছে যাবে।  

এনএইচসি তাদের সর্বশেষ প্রতিবেদনে বলেছে, ‘বর্তমানে আমাদের দেশের শিশু জন্মদান নীতি যথাযথ নয়। এখানে জনসংখ্যার অগ্রগতি এবং মানুষের প্রত্যাশার মাঝে বেশ বড় ঘাটতি রয়েছে। ‘ 

তারা আরো জানিয়েছে, সাম্প্রতিক বছরগুলোতে সন্তান জন্মদানের হার কমে ১.৩ শতাংশের নিচে নেমে গেছে। ২০৩৫ সালের মধ্যে দেশ চরম বার্ধক্যজনিত সংকটের মধ্যে প্রবেশ করবে। সে সময় জনসংখ্যার ৩০ শতাংশের বেশি মানুষ হবে ষাটোর্ধ্ব। তা ছাড়া পরিবারগুলোও ছোট হতে শুরু করেছে, যা পেনশন ও শিশুর যত্নের কার্যপ্রক্রিয়াকে আরো দুর্বল করে দিচ্ছে। এ জন্য শিশু লালন-পালন সহায়তা এবং আবাসন, শিক্ষা ও কর প্রদানের নীতি আরো উন্নত করার আহ্বান জানিয়েছে এনএইচসি।  

সূত্র : এএফপি

LEAVE A REPLY