মাত্র ছয় বছরে শেষ হয়ে গেল সইফ স্পোর্টিংয়ের পেশাদার ফুটবলের চর্চা। করপোরেট কালচারের সঙ্গে পেশাদার ফুটবলের নতুন ধারা যোগ করা ক্লাবটি হঠাৎ ফুটবল ছেড়ে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছে বুধবার।
ক্লাব গুটিয়ে নেয়ার কারণ হিসেবে সাইফ পাওয়ারটেকের কর্ণধার তরফদার রুহুল আমিন বলেছেন বৈশ্বিক বাণিজ্যের সমস্যার কথা। অর্থনৈতিক সংকটকেই মূল কারণ বলেছেন তিনি।
তবে ফুটবলাঙ্গনে কৌতুহল, এটাই কী একমাত্র কারন? ক্লাবটির ঘনিষ্ঠ সূত্র বলছে, অর্থনৈতিক সংকটের সঙ্গে আছে ‘আরো কিছু’ কারণ। শেখ কামাল টুর্ণামেন্টসহ ফুটবলের নানা ইস্যুতে অনেক টাকা বিনিয়োগ করেও তরফদার রুহুল আমিন ঢুকতে পারেননি ফুটবল ফেডারেশনে। বাফুফের গত নির্বাচনে অনেক প্রস্তুতি নিয়েও শেষমেষ নির্বাচন করতে পারেননি। গুঞ্জন আছে, এই কারণেও ফুটবল ক্লাবটি আর ধরে রাখতে চান না তিনি। আবার সেই ফুটবল আড্ডাতেই প্রশ্ন ওঠে- একজন ভাল সংগঠকের জন্য বাফুফের চেয়ারই কি সব?
তরফদার সাইফ স্পোটিং ক্লাব দিয়েই তাঁর ফুটবল সংগঠকের কাজ করতে পারেন। এই ক্লাবটির উন্নয়নের মাধ্যমে দেশের ফুটবলে উজ্জ্বল ভূমিকা রাখতে পারেন। একটি ক্লাব যে কোন দেশের ঐতিহ্যের ধারক। একটি ক্লাবকে ঘিরে তৈরি হয় নতুন তারকা। একটি ক্লাব প্রতিদ্বন্দ্বিতা বাড়ায় ঘরোয়া আসরে। সুযোগ থাকে আর্ন্তজাতিক অঙ্গনেও ক্লাবের নামে দেশের পতাকা ওড়ানোর। সাইফ স্পোর্টিং তো সে পথেই এগিয়ে যাচ্ছিল।
এই মৌসুমেও যেমন দারুন খেলে সাইফ স্পোর্টিং তৃতীয় হয়েছে লিগে। শীর্ষ লিগে সাইফ কখনো চতুর্থ স্থানের নীচে নামেনি। ২০২০-২১ মৌসুমে রানার্স আপ হয়েছে ফেডারেশন কাপে। ২০১৮ সালে এএফসি কাপ বাছাই খেলেছে সাইফ স্পোর্টিং। যারা এমন শক্তিশালী অবস্থান তৈরি করেছে সেই ক্লাব হুট করে হারিয়ে গেলে অবশ্যই নেতিবাচক প্রভাব পড়বে ঘরোয়া ফুটবলে, প্রতিদ্বন্দ্বিতায় সামান্য হলেও ভাটা পড়বে। এমন পরিস্থিতিতে বাফুফের লিগ কমিটি কী উদ্যোগ নেয়, সেটি দেখার বিষয়। নাকি বাফুফে সভাপতি কাজী সালাউদ্দিন উদ্যোগী হয়ে কথা বলবেন সাইফ স্পোর্টিংয়ের কর্ণধারের সঙ্গে? সময়ই কথা বলবে।