পার্থ-ঘনিষ্ঠ অর্পিতা কারা হেফাজতেও পাচ্ছেন বাড়তি সুবিধা

ফাইল ছবি

ইডির দাবি মেনে নিয়েছেন ভারতের আদালত। পশ্চিমবঙ্গের শিক্ষা দপ্তরের নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় বরখাস্ত মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় এবং তার ঘনিষ্ঠ অর্পিতা মুখোপাধ্যায়কে গতকাল শুক্রবার ১৪ দিনের জেল হেফাজতে পাঠিয়েছেন বিচারক।  

অর্পিতাকে চারজনের বেশি বন্দির সঙ্গে রাখা হবে না। তাকে দেওয়ার আগে খাবার পরীক্ষা করা হবে।

এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি) তার ব্যাপারে ‘হুমকি রয়েছে’ উল্লেখ করার পর কলকাতার একটি আদালত এই বিশেষ নিরাপত্তাব্যবস্থা মঞ্জুর করেছেন।

অর্পিতাও একই ধরনের আশঙ্কার কথা উল্লেখ করে সার্বক্ষণিক নিরাপত্তার জন্য জেলের মধ্যেও প্রহরীর দাবি করেছিলেন। সেই দাবি মেনে সার্বক্ষণিক পাহারা বসানোরও নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।

গতকাল পার্থর জামিনের আবেদন খারিজ করে ব্যাংকশাল কোর্টে ইডির বিশেষ আদালত এই নির্দেশ দেন। পার্থকে রাখা হবে প্রেসিডেন্সি সংশোধনাগারে।

গতকাল সকালে পার্থ চট্টোপাধ্যায় ও অর্পিতা মুখোপাধ্যায়কে নিয়ে সল্টলেকের সিজিও কমপ্লেক্সে স্বাস্থ্য পরীক্ষা করাতে জোকার ইএসআই হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় ব্যাপক নিরাপত্তা মধ্য দিয়ে। হাসপাতালে ঢোকা ও বের হওয়ার সময় সংবাদমাধ্যমের প্রশ্নে মুখ খোলেননি পার্থ চট্টোপাধ্যায়।

ইডির বিশেষ আদালতে বিচারক জীবন কুমার সাধুর কাছে পার্থর জামিনের আরজি জানান তার আইনজীবী কৃষ্ণ চন্দ্র দাস। তিনি বলেন, ‘আমরা জামিন চাইছি। কারণ পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের প্রায় ৭৫ বছর বয়স। শরীর খারাপ। তদন্তকারী সংস্থা জেল হেফাজত চাইছে। কিন্তু এটা রাজনৈতিক ইস্যু, মিডিয়া ইস্যু। এটা মূলত সিবিআইয়ের মামলা। হাইকোর্টের নির্দেশের পর সিবিআই দায়িত্ব নেয়। কিন্তু ইডি এখানে উপযাচক হয়ে গ্রেপ্তার করেছে। মূল মামলা সিবিআইয়ের হতে। তা ছাড়া কোনো অভিযোগপত্রে পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের নাম সরাসরি নেই। তিনি পাবলিক সার্ভেন্ট। এভাবে তাকে গ্রেপ্তার করে রাখা যায় না। আইন তাই বলছে। এই উদ্ধার হওয়া টাকা যে তার, এর কোনো প্রমাণ নেই। কেউ কোনো দিন বলেনি যে, উনি টাকা নিয়েছেন। যা ছড়াচ্ছে তা রাজনৈতিক ও মিডিয়ার অপপ্রচার। হাইকোর্ট বলেছিলেন সিবিআই মামলার দায়িত্ব নেবে। আর্থিক দুর্নীতি হলে ইডির সাহায্য নেবে। ইডির গ্রেপ্তারি যৌক্তিক নয়। কোনো প্রমাণ ছাড়াই তারা গ্রেপ্তার করেছে। পার্থ চট্টোপাধ্যায় কোনো দুর্নীতির সঙ্গে যুক্ত নন। তার বাড়ি থেকে রুপিসংক্রান্ত কোনো প্রমাণ পায়নি ইডি। ‘

ইডির আইনজীবী বলেন, ‘অর্পিতার বীমায় কেন পার্থর নাম রয়েছে, তা বীমা সংস্থা বলতে পারবে। উদ্ধার হওয়া নথিতে আমরা যা দেখতে পাচ্ছি, শুধু তা নিয়েই কথা বলছি। যে ব্যক্তি অ্যারেস্ট মেমোয় মুখ্যমন্ত্রীর নাম লেখেন, তিনি প্রভাবশালী নন, এ কথা মানা যায় না। যেসব নথি উদ্ধার হয়েছে, সে ব্যাপারে তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা প্রয়োজন। পার্থকে ১৪ দিনের বিচার বিভাগীয় হেফাজতে রাখার আবেদন জানাচ্ছি। ‘

সূত্র : এনডিটিভি

LEAVE A REPLY