শিল্প-কারখানার সাপ্তাহিক বন্ধ এলাকাভিত্তিক করার সিদ্ধান্ত

গ্যাস ও বিদ্যুৎ সাশ্রয়ে সপ্তাহের একেক দিন একেক এলাকার শিল্প-কারখানা বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত হয়েছে। শিল্প-কারখানার উদ্যোক্তারাও এর সঙ্গে একমত হয়েছেন। এতে দৈনিক প্রায় ৫০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ সাশ্রয় হবে।

আজ রবিবার রাজধানীর বিদ্যুৎ ভবনে বিদ্যুৎ বিভাগ ও ব্যবসায়ীদের মধ্যে এক বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।

বৈঠক শেষে এসব তথ্য জানিয়েছেন বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ।

এখন শিল্পাঞ্চলে শুক্রবার সাপ্তাহিক ছুটি কার্যকর আছে। এক দিনে সব এলাকায় ছুটি না দিয়ে, যদি রেশনিংয়ের মাধ্যমে একেক দিন একেক এলাকায় ছুটি চালু করা যায় তাহলে বিদ্যুতের কিছুটা সাশ্রয় হবে বলেও জানান প্রতিমন্ত্রী।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, গাজীপুর শুক্রবার বন্ধ থাকল, বৃহস্পতিবার নারায়ণগঞ্জ বন্ধ থাকল। এভাবেই ধার্য করা হলে দৈনিক ৫০০ থেকে ৫৫০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ সাশ্রয়ের মধ্যে আনা যাবে। এটা আগেও ছিল। এতে তিনটা জিনিস লাভ হবে। বিদ্যুৎ ক্ষেত্রে সাশ্রয় হবে, গ্যাসের ক্ষেত্রে সাশ্রয় হবে এবং ট্রাফিকের ক্ষেত্রেও সাশ্রয় হবে। এটাই আলোচনা হয়েছে এবং সবাই খুশি আছে, কোনো সমস্যা নেই।

পরে ফেডারেশন অব বাংলাদেশ চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির (এফবিসিসিআই) সহ-সভাপতি মোস্তফা আজাদ চৌধুরী বলেন, ‘বিদ্যুৎ বিভাগের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, এই পদ্ধতি অবলম্বন করলে প্রায় ৫০০ মেগাওয়াটের মতো বিদ্যুৎ দৈনিক সাশ্রয় হবে। আমরা বলেছি শুধু ঢাকাভিত্তিক নয়, সারা দেশেই যেন এ রকম ছুটি কার্যকর করা হয়। ’

জ্বালানি তেলের দাম বাড়ায় পণ্য সরবরাহে ব্যয় বাড়বে। বাসের মতো ট্রাকেরও ভাড়া নির্ধারণের দাবি জানান এফবিসিসিআইয়ের নেতারা।

বাংলাদেশ নিটওয়্যার ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যান্ড এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বিকেএমইএ) সহ-সভাপতি ফজলে শামীম আহসান বলেন, ‘একসময় যখন নিয়মিত লোডশেডিং হতো তখন এ ধরনের একটি ছুটির ব্যবস্থা চালু ছিল। আমরা বলেছি প্রয়োজনে সে ধরনের সূচি আবার চালু করা হোক। তাদের ডায়িং ও স্পিনিং ফ্যাক্টরিকে কিছুটা ছাড় দেওয়া যায় কি না, সেই প্রস্তাব আমরা করেছি। ’

তিনি আরো বলেন, ‘এলাকাভিত্তিক কারখানা বন্ধের যে সিদ্ধান্ত হয়েছে তা মেনে নিলেও মন্ত্রণালয় থেকে নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহের বিষয়ে কোনো নিশ্চয়তা দেওয়া হয়নি। ’

আগামী অক্টোবর থেকে লোড শেডিং থাকবে না জানিয়ে প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বলেন, ‘বিদ্যুতের ঘাটতি মোকাবেলায় চলমান লোড শেডিং আগামী সেপ্টেম্বর থেকে তার অর্ধেকে নামিয়ে আনা হবে। তবে আগামী অক্টোবর থেকে নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহ করা সম্ভব হবে, আর লোড শেডিং থাকবে না। ’

এক প্রশ্নের জবাবে নসরুল হামিদ বলেন, ‘আমরা উৎপাদন বাড়াব। গ্যাসের পরিমাণ বাড়িয়ে ব্যালান্স করার চেষ্টা করব। অক্টোবর থেকে পুরোপুরি আগের অবস্থায় নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুতের দিকে যেতে পারব। সবাইকে অনুরোধ করব, সবাই যেন ধৈর্য ধরেন। ’

LEAVE A REPLY