জিনিয়া জাফরিন লুইপা, এই প্রজন্মের আলোচিত সংগীতশিল্পী। সংগীতে সিদ্ধহস্ত হয়েই নিজেকে গানের ভুবনে প্রতিষ্ঠিত করতে এসেছিলেন বগুড়ার এই মেয়ে। চ্যানেল আই সেরাকণ্ঠ প্রতিযোগিতায় অংশ নিয়ে বাদও পড়ে গিয়েছিলেন তিনি। কিন্তু রুনা লায়লার গাওয়া ‘দেবদাস’ সিনেমার ‘পায়েরই নূপুর আমার জাদু জানে’ গান দিয়ে তিনি একই প্রতিযোগিতায় ফিরে আসেন। যেন এটিই ছিল লুইপার ইউটার্ন।
এর পর থেকে আজ পর্যন্ত সাফল্য, প্রাপ্তি ও অর্জনের গল্প। সবচেয়ে বড় প্রাপ্তি দেশ-বিদেশের বাংলা ভাষাভাষী শ্রোতা-দর্শকের কাছ থেকে অপরিসীম ভালোবাসা প্রাপ্তি। উপমহাদেশের আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন সংগীতশিল্পী ও সুরকার রুনা লায়লার সুরে ‘এই দেখা শেষ দেখা’ গানটি গেয়েছেন তিনি। তার গানটি লিখেছেন আবার কিংবদন্তি গীতিকার গাজী মাজহারুল আনোয়ার। চিত্রনায়ক শাকিব খানের সঙ্গেও মঞ্চে গান গেয়েছেন তিনি।
বেগম আখতারের ‘জোছনা করেছে আঁড়ি’ গানটি গাওয়ার মধ্য দিয়ে মূলত আলোচনায় আসেন লুইপা। পাশাপাশি গান বাংলায় প্রকাশিত তার কণ্ঠের নজরুলসংগীত ‘আমার আপনার চেয়ে আপন যে জন গানটি দিয়েও শ্রোতাদের মনে জায়গা করে নেন। নিজের মৌলিক গান ‘জেন্টলম্যান’ও যেন তার চলার পথকে আরও মসৃণ করে দেয়।
চলতি বছরের শুরুতে ‘টিএম রেকর্ডস’ ইউটিউব চ্যানেলে প্রকাশ পায় কৌশিক হোসেন তাপসের লেখা, সুর সংগীতে ‘নাচ ময়ূরী নাচ’ গানটি। গানটি শ্রোতাদের মন ছুঁয়ে যায়। তবে এক বছর আগে ‘লুইপা অফিসিয়াল’ ইউটিউব চ্যানেলে তার গাওয়া ‘রঙ্গিলা হাওয়া’ গানটিও দারুণ আলোচনায় আসে। গানটি লিখেছেন এ মিজান, সুর ও সংগীত করেছেন শওকত আলী ইমন।
গত জুলাইয়ে একই চ্যানেলে প্রকাশ পায় লুইপার গাওয়া গান ‘হারিয়ে গেলাম’ গানটি। তবে সম্প্রতি বাংলা সিনেমায় দর্শকের হলে জোয়ার ফিরিয়ে নিয়ে আসা সিনেমা ‘পরাণ’-এ লুইপার প্রথম প্লেব্যাক অর্থাৎ ‘ধীরে ধীরে’ গানটিও শ্রোতাদের মন জয় করে নিচ্ছে। এই গানে তার সহশিল্পী ইমন চৌধুরী, যিনি গানটির সুর ও সংগীত করেছেন। গানটি লিখেছেন রবিউল ইসলাম জীবন। অনুপম মিউজিকের ইউটিউব চ্যানেলে প্রকাশিত আছে রুনা লায়লার গাওয়া লুইপার কাভার সং ‘এই বৃষ্টি ভেজা রাতে চলে যেওনা’।
এদিকে ৮ আগস্ট লুইপার জন্মদিন। বাবা-মা, স্বামী, সন্তান, সহকর্মীদের সান্নিধ্যে এবং তার ভক্ত-দর্শকের ভালোবাসা ও শুভেচ্ছায় দিনটি হয়ে উঠবে আনন্দের- এমনই প্রত্যাশা।