গণতন্ত্র মঞ্চের আত্মপ্রকাশ ঐক্যবদ্ধ আন্দোলনের সাফল্য হিসেবে দেখছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান।
জেএসডি, নাগরিক ঐক্য, বাংলাদেশের বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টি, গণসংহতি আন্দোলন, গণঅধিকার পরিষদ ও রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলন, ভাসানী অনুসারী পরিষদের সমন্বয়ের গঠিত ‘গণতন্ত্র মঞ্চ’-এর আত্মপ্রকাশের বিষয়ে মঙ্গলবার সকালে জানতে চাইলে তিনি এই প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেন।
তিনি বলেন, গণতন্ত্র মঞ্চের আত্মপ্রকাশকে আমরা স্বাগত জানাই। তারা যেসব দাবি উল্লেখ করেছে সেগুলো আমরাও দীর্ঘদিন ধরে করে আসছি।
এই সরকারের অধীনে কোনো নির্বাচন হতে পারে না, সরকারকে পদত্যাগ করতে হবে, সংসদ বাতিল করতে হবে, নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচনের ব্যবস্থা করতে হবে, নির্বাচন কমিশন পুনর্গঠন করতে হবে- এই সবগুলো কথা তাদের দাবিতে আছি আমরা দেখলাম। কাজেই এটা আমাদের ঐক্যবদ্ধ আন্দোলনের যে প্রয়াস। আগামীদিনে আরো ঐক্যবদ্ধ আন্দোলনের পক্ষে এটা একটা অগ্রগতি বলে আমরা মনে করি।
সোমবার ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি মিলনায়তনে এক সংবাদ সম্মেলনে সাতটি রাজনৈতিক দলকে নিয়ে গঠিত ‘গণতন্ত্র মঞ্চে’র আত্মাপ্রকাশ আনুষ্ঠানিকভাবে ঘোষণা করেন জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল-জেএসডির সভাপতি আসম আবদুর রব।
নজরুল ইসলাম খান বলেন, ২০১৪-১৫ সালের দিকে কী আন্দোলন হয়েছে? প্রয়াত সাংবাদিক এ বি এম মুসা বলেছিলেন-এটা এখন গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার নয়, এটা গণপ্রজাতন্ত্রী ঢাকা সরকার। কারণ গোটা বাংলাদেশের ওপর এই সরকারের আর কোনো প্রভাব নাই। তারপরও মন্ত্রীরা বলেন, আমরা নাকি আন্দোলন করতে পারি না। এখন তারা আন্দোলন করতে যা বুঝেন এগুলো যদি সবাই বুঝতে চান তাহলে আমরা বিপদের মধ্যে আছি। আন্দোলন মানে হচ্ছে জনগণের সংঘবদ্ধ প্রতিবাদ-প্রতিরোধ। সেটা হরতালের মাধ্যমে হতে পারে, আরো বিভিন্ন মাধ্যমে হতে পারে। আমরা হরতাল করি না বা করতে পারি না তা নয়, কিন্তু যখন তখন করব কেন? আমরা অবরোধের আগে করি নাই বা করতে পারি নাই তা নয় কিন্তু যখন তখন করব কেন? যখন করার সিদ্ধান্ত হবে আপনারা জানতে পারবেন।
বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলোকে নিয়ে বিএনপির বৃহত্তর প্ল্যাটফর্ম গঠনের বিষয়ে জানতে চাইলে নজরুল ইসলাম খান বলেন, আপনারা সাংবাদিক মানুষ আপনারা ভালো জানেন এটা। এই ব্যাপারগুলো আলোচনার মাধ্যমে হয় এবং এটা আগে থেকে বোঝা গেলে পরে এটা ব্যর্থ করে দেওয়ার লোক আছে। সেজন্য আমরা কাজ করে যাচ্ছি এবং খুব শিগগিরই আপনারা জানতে পারবেন। মানুষ যখন ভয় পায়, অন্ধকারের মধ্যে রাত্রে হাঁটতে গেলে জোরে জোরে গান গায়। এটা এই কারণে যে, তারা ভয় পাচ্ছে। ওদের কথা বিভ্রান্ত হওয়ার কিছু নেই। বড় বিপদে আছে তারা।
আলোচনাসভায় দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান, জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী, যুগ্ম মহাসচিব খায়রুল কবির খোকন, স্বেচ্ছাসেবক বিষয়ক সম্পাদক মীর সরফত আলী সপু, সহ-প্রচার সম্পাদক আসাদুল করীম শাহিন, শামীমুর রহমান শামীম, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক আবদুল খালেক, ধর্ম বিষয়ক সহ সম্পাদক আবদুল বারী ড্যানি, উলামা দলের যুগ্ম আহবায়ক মাওলানা মাহমুদুল হাসান শামীম বক্তব্য রাখেন।
উলামা দলের সদস্য সচিব নজরুল ইসলাম তালুকদারের সভাপতিত্বে এই মিলাদ ও দোয়া মাহফিলে স্বেচ্ছাসেবক দলের রফিক হাওলাদার, জাসাসের জাকির হোসেন রোকন, মতস্যজীবী দলের আবদুর রহিম, শ্রমিক দলের সুমন ভুঁইয়াসহ বিভিন্ন অঙ্গসংগঠনের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।