পাকিস্তানি বন্ধুকে নিয়ে ভারতীয় নারীর পোস্টের প্রশংসা

পরস্পরের পতাকা হাতে ভারতীয় ও পাকিস্তানী দুই বন্ধু

পাকিস্তানি সহপাঠীর সঙ্গে বন্ধুত্ব নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম লিংকডইনে দেওয়া এক ভারতীয় নারীর পোস্ট বেশ প্রশংসা কুড়িয়েছে। ওই দুজন হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী। পোস্টে দুজনকে পরস্পরের জাতীয় পতাকা হাতে দেখা যায়।

ভারতীয় শিক্ষার্থী স্নেহা বিশ্বাস একজন তরুণ উদ্যোক্তা।

তিনি লিখেছেন, প্রতিবেশী দেশ নিয়ে তাঁর যে গতানুগতিক ধারণা ছিল, পাকিস্তানি শিক্ষার্থীর সঙ্গে বন্ধুত্বের পর তা ভেঙে গেছে। যদিও পাকিস্তানি বন্ধুর নাম প্রকাশ করেননি তিনি।

ব্রিটিশ ভারত ভেঙে পৃথক দুই স্বাধীন রাষ্ট্র হওয়ার পর থেকেই ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে বৈরী সম্পর্ক চলছে। দুই দেশের মধ্যে একাধিকবার পূর্ণ মাত্রায় যুদ্ধ হয়েছে। সাম্প্রতিককালে পাকিস্তানি শিল্পী ও ক্রিকেটারদের নিষিদ্ধ করেছে ভারত। অন্যদিকে বলিউডের সিনেমা নিষিদ্ধ করেছে পাকিস্তান।

দুই বান্ধবীর পোস্ট ইতোমধ্যে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহারকারীদের নজর কেড়েছে। এক ব্যবহারকারী ওই পোস্টে মন্তব্য করেন, ‘আমরা নিজেদের মধ্যে দেওয়াল তুলেছি আর এটা ভাঙার দায়িত্বও আমাদের। ’ আরেক ব্যবহারকারী আশা প্রকাশ করেন, আজীবন দুজনের বন্ধুত্ব অটুট থাকবে। এর ফলে সীমান্তের দুপাশের নারীদের মধ্যে পরিবর্তন আসতে পারে।

স্নেহা আরো লেখেন, ছোট শহরে বেড়ে ওঠার কারণে পাকিস্তান ও সেদেশের মানুষ সম্পর্কে তাঁর জানাশোনা ছিল খুবই সীমিত। বই ও গণমাধ্যম থেকে তিনি পাকিস্তান সম্পর্কে জেনেছেন। কিন্তু সেখানে মূলত দুদেশের মধ্যে ঘৃণা ও দ্বন্দ্বের সম্পর্কই তুলে ধরা হয়েছে। হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রথম দিনই ইসলামাবাদের ওই তরুণীর সঙ্গে পরিচয় হয় স্নেহার। এরপর গভীর বন্ধুত্ব গড়ে ওঠে দুজনের মধ্যে।

পাকিস্তানি বান্ধবীর সঙ্গে আলাপকালে স্নেহা জানতে পারেন, দুজনের সামাজিক পারিপার্শ্বিক অবস্থা কার্যত একই রকম।

স্নেহা লিখেন, ‘আমি উপলব্ধি করেছি, নিজ দেশের প্রতি গর্ববোধ যখন দৃঢ় থাকে তখন মানুষের প্রতি ভালোবাসা ভৌগোলিক সীমানা ছাড়িয়ে যায়। ’

মানুষের ঐক্যকে সমর্থন করে দেওয়া ওই পোস্টে স্নেহা লিখেছেন, ‘সীমানা, দেশের সীমান্ত ও স্থান মানুষেরই তৈরি করা। ’ তিনি ভারত ও পাকিস্তানের মানুষের মধ্যে থাকা প্রতিবন্ধকতা ভাঙার কথাও বলেন। সূত্র : বিবিসি

LEAVE A REPLY