জাপোরিঝিয়া প্ল্যান্টে বিস্ফোরণ হলে কি হবে?

ইউক্রেনের জাপোরিঝিয়া নিউক্লিয়ার পাওয়ার প্ল্যান্টে গত কয়েকদিন ধরে গোলাবর্ষণের ঘটনা ঘটছে। আর এ কারণে সেখানে দুর্ঘটনা ঘটার শঙ্কা প্রকাশ করছেন অনেকে। 

এই প্ল্যান্টটি ইউরোপের সর্ববৃহৎ। ইউক্রেনে হামলা করার কয়েকদিন পরই রুশ সেনারা প্ল্যান্টটি দখল করেন।এরপর তাদের নিয়ন্ত্রণে চলছে এটি। তবে কাজ করছেন ইউক্রেনীয় কর্মকর্তা ও কর্মচারীরাই। 

এই প্ল্যান্টটিতে গোলাবর্ষণের ঘটনায় আতঙ্কিত হয়েছে আন্তর্জাতিক পারমাণবিক সংস্থা ও জাতিসংঘ। 

যদি এ নিউক্লিয়ার প্ল্যান্টটিতে বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে তাহলে কি হবে?

গণমাধ্যম আল জাজিরা আন্তর্জাতিক পারমাণবিক সংস্থা ও বিশেষজ্ঞদের বরাতে বলেছে, প্ল্যান্টটিতে বিস্ফোরণ ঘটার সম্ভাবনা কম। তবে আবার এটি উড়িয়েও দেওয়া যায় না। 

রস পেল ও এমভি রামানা নামে দুইজন বিশেষজ্ঞ জানিয়েছেন, কয়েকটি কারণে বিস্ফোরণ হতে পারে। এগুলোর মধ্যে রয়েছে সামরিক বিষয়।সামরিক হামলার কারণে গুরুত্বপূর্ণ যন্ত্রাংশ ধ্বংসপ্রাপ্ত হতে পারে।

এমভি রামানা বলেছেন, প্ল্যান্টে যে রিয়েক্টর রয়েছে সেগুলো পানি দিয়ে সবসময় ঠাণ্ডা রাখতে হয়। যদি পানির উৎসতে হামলা হয় তাহলে রিয়েক্টর গরম হয়ে যাবে। ফুয়েল গলা শুরু করবে। এর কারণে উচ্চ চাপ সৃষ্টি হবে এবং সবশেষে বিস্ফোরণ হতে পারে।

বিস্ফোরণ হলে রেডিওঅ্যাকটিভের মেঘের কারণে হাজার হাজার মানুষকে সরিয়ে নিতে হবে। মানুষ পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করবে।

তবে যদি প্ল্যান্ট ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে বিকিরণ হয়। এর প্রভাব কয়েক বছর পর টের পাওয়া যাবে।

এরপর বিষাক্ত মেঘের সৃষ্টি হবে। যদিও এই মেঘ খালি চোখে দেখা যাবে না।

বিস্ফোরণের কারণে বিকিরণ বিষক্রিয়া অথবা ক্যান্সারে আক্রান্ত হতে পারে মানুষ।

এই বিশেষজ্ঞরা হুশিয়ারি দিয়েছেন, বিকিরণ পুরো ইউরোপে ছড়িয়ে যেতে পারে। 

এদিকে জাপোরিঝিয়া প্ল্যান্টে হামলার জন্য একে অপরকে দোষারোপ করছে রাশিয়া-ইউক্রেন। তবে বিষয়টি নিয়ে সংবেদনশীল হওয়ার জন্য দুইপক্ষকেই আহ্বান জানিয়েছে জাতিসংঘ। তারা দাবি করেছে, অনতিবিলম্বে যেন প্ল্যান্টটি থেকে সেনারা সরে যায়।

সূত্র: আল জাজিরা

LEAVE A REPLY