নিউ ইয়র্কের তদন্ত : জিজ্ঞাসাবাদে মুখ খোলেননি ট্রাম্প

ডোনাল্ড ট্রাম্প

যুক্তরাষ্ট্রের নিউ ইয়র্ক অঙ্গরাজ্যের চলমান তদন্তে অ্যাটর্নি জেনারেলের কার্যালয়ে জিজ্ঞাসাবাদে অংশ নিতে উপস্থিত হয়েছিলেন সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। কিন্তু হাজির হওয়া পর্যন্তই, কোনো প্রশ্নের উত্তর দেননি তিনি। এ তদন্তে তাঁর পারিবারিক ব্যবসার বিষয়-আশয় খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলে জানা গেছে।

পৃথক এক তদন্তের অংশ হিসেবে গত সোমবার ট্রাম্পের বাড়িতে অভিযান চালায় যুক্তরাষ্ট্রের কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা (এফবিআই)।

এর এক দিন পর অনুষ্ঠিত হলো এ জিজ্ঞাসাবাদ।

জিজ্ঞাসাবাদের ওই পর্ব আটকানোর জন্য এর আগে মামলাও ঠুকেছিলেন ট্রাম্প। কিন্তু শেষ পর্যন্ত কাজ হয়নি তাতে। সুবিধাজনক ঋণ ও কর অবকাশের সুযোগ পেতে কর্তৃপক্ষকে ভুল পথে পরিচালিত করার অভিযোগে ট্রাম্পকে ওই জিজ্ঞাসাবাদের মুখোমুখি হতে হলো। ট্রাম্প অবশ্য শুরু থেকেই অভিযোগ অস্বীকার করে আসছেন এবং তদন্ত কার্যক্রমটিকে ‘ডাইনি শিকার’ আখ্যা দিয়ে রেখেছেন।

বুধবার অ্যাটর্নি জেনারেলের দপ্তরে পৌঁছার এক ঘণ্টা পর প্রশ্ন করা হয় ট্রাম্পকে। উত্তর না দিয়ে প্রতিবারই মার্কিন সংবিধানের পঞ্চম সংশোধনীর সুরক্ষা নেন সাবেক এই মার্কিন প্রেসিডেন্ট।

পরে প্রকাশিত এক বিবৃতিতে ট্রাম্প বলেন, ‘বছরের পর বছরের কাজ এবং লাখো ডলার খরচ করা হয়েছে এই দীর্ঘ নাটকের পেছনে, কিন্তু কোনো লাভ হয়নি। যুক্তরাষ্ট্রের সংবিধান অনুসারে প্রত্যেক নাগরিকের অধিকার ও সুবিধা ব্যবহার করে কোনো প্রশ্নের উত্তর দিতে রাজি হইনি আমি। ’

আইনি বিশ্লেষকরা বলছেন, ট্রাম্পকে অ্যাটর্নি জেনারেলের দপ্তরে যে প্রশ্ন করা হয়েছিল, সেগুলোর উত্তর তাঁর বিরুদ্ধেই অপরাধ তদন্তে ব্যবহার করা হতে পারে—এমন শঙ্কায় তিনি হয়তো উত্তর দিতে রাজি হননি। মার্কিন সংবিধানের পঞ্চম সংশোধনী নাগরিকদের নিজের ফৌজদারি মামলায় সাক্ষী হতে বাধ্য হওয়ার হাত থেকে রক্ষা করে। সেটিরই সুযোগ নিয়েছেন ট্রাম্প। সূত্র : বিবিসি।

LEAVE A REPLY