লাইফ সাপোর্ট লাগছে না সালমান রুশদির, কথাও বলছেন

লেখক সালমান রুশদির লাইফ সাপোর্ট লাগছে না। এরই মধ্যে তার লাইফ সাপোর্ট খুলে নেওয়া হয়েছে। বিবিসি জানিয়েছে, তিনি এখন কথা বলতে পারছেন।

বুকার পুরস্কার বিজয়ী ৭৫ বছর বয়সী রুশদি পশ্চিম নিউ ইয়র্কের একটি শিল্প-সংস্কৃতিবিষয়ক প্রতিষ্ঠানে এক অনুষ্ঠানে বক্তব্য দিতে গিয়েছিলেন।

সেখানে হামলার শিকার হয়ে গুরুতর অবস্থায় চিকিৎসাধীন তিনি।

তার এজেন্ট অ্যান্ড্রু ওয়াইলি মার্কিন সংবাদমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন, সালমান রুশদির লাইফ সাপোর্ট লাগছে না। তবে এর আগে তিনি বলেছেন, সালমান এক চোখ নষ্টের ঝুঁকিতে রয়েছেন।

সালমান রুশদিকে হামলার ঘটনায় সন্দেহভাজন যে ব্যক্তিকে আটক করেছে পুলিশ, তিনি নিজেকে নির্দোষ দাবি করেছেন। বর্তমানে তিনি কারা হেফাজতে রয়েছেন।

২৪ বছর বয়সী হাদি মাতারের বিরুদ্ধে সালমান রুশদিকে মুখ, ঘাড় ও পেটে অন্তত ১০ বার ছুরিকাঘাতের অভিযোগ উঠেছে। সালমান রুশদির এজেন্ট ওয়াইলি এর আগে বলেছেন, রুশদির এক হাতের নার্ভ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, কলিজায় ছুরির আঘাত লেগেছে এবং সম্ভবত এক চোখ তিনি হারাতে পারেন।

৭৫ বছর বয়সী সালমান রুশদি তার উপন্যাস দ্য স্যাটানিক ভার্সেসের জন্য বছরের পর বছর ধরে মৃত্যুর হুমকির মধ্যে রয়েছেন। তিনি বেশ কয়েক বছর আত্মগোপনে থাকার পর প্রকাশ্যে আসেন। স্যাটানিক ভার্সেস বইটিকে ইসলামের প্রতি অবমাননাকর বলে মনে করেন অনেক মুসলমান। বেশ কিছু দেশে বইটি নিষিদ্ধ।

ইসলামের প্রতি অবমাননাকর আখ্যা দিয়ে ইরানের প্রয়াত ধর্মীয় নেতা আয়াতুল্লাহ খোমেনি রুশদিকে হত্যার ফতোয়া দিয়েছিলেন। তবে ইরান সরকার পরে সেই ফতোয়ার দায় থেকে নিজেদের সরিয়ে নেয়।

ভারতীয় বংশোদ্ভূত ব্রিটিশ ঔপন্যাসিক সালমান রুশদি ১৯৮১ সালে ‘মিডনাইটস চিলড্রেন’ দিয়ে খ্যাতি অর্জন করেছিলেন। সাহিত্য সমালোচকরা তাকে ইংরেজি ভাষার কৃতী লেখকদের একজন মনে করেন। তবে চতুর্থ বই ১৯৮৮ সালে প্রকাশিত স্যাটানিক ভার্সেস দিয়ে তিনি বিতর্কিত হয়ে ওঠেন।  
সূত্র : বিবিসি।

LEAVE A REPLY