মুখপাত্র নাসের কানানি -ছবি: এএফপি
সালমান রুশদির ওপর আক্রমণকারীর সঙ্গে কোনোরকম যোগসূত্র অস্বীকার করেছে ইরান। ঘটনার জন্য বরং এই লেখক এবং তাঁর ‘সমর্থকদের’ দোষারোপ করছে দেশটি।
১৯৮৮ সালে প্রকাশিত বিতর্কিত উপন্যাস ‘দ্য স্যাটানিক ভার্সেস’ এর জন্য বছরের পর বছর মৃত্যুর হুমকির সম্মুখীন হয়েছেন রুশদি। বইিট প্রকাশের পর তাঁকে হত্যার আহ্বান জানিয়ে ফতোয়া (ধর্মীয় আদেশ) জারি করেছিলেন ইরানের তত্কালীন সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ খোমেনি।
তবে পরে ইরান সরকার ওই ফতোয়া থেকে নিজেদের সরিয়ে নেয়।
সালমান রুশদির ওপর হামলার বিষয়ে উচ্ছ্বাস প্রকাশ করে ইরানের গণমাধ্যম ছুরিকাঘাতকে ‘ঐশী প্রতিশোধ’ বলে অভিহিত করে। এই লেখক এক চোখ হারাতে পারেন এমন খবর সম্পর্কে তেহরানের দৈনিক জাম-ই জামে লেখা হয় ‘শয়তানের এক চোখ অন্ধ হয়ে গেছে’।
তবে রুশদিকে হামলার সঙ্গে সম্পর্কের বিষয়টি অস্বীকার করেছে ইরান। দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র নাসের কানানি আনুষ্ঠানিক প্রতিক্রিয়ায় বলেন, ‘রুশদিকে হামলার ঘটনায় ইরানকে অভিযুক্ত করার অধিকার কারো নেই। ’
মুখপাত্র আরও বলেন, ‘এই হামলায় আমরা সালমান রুশদি এবং তাঁর সমর্থকরা ছাড়া অন্য কাউকে দোষারোপ এমনকি নিন্দার যোগ্য মনে করি না। ’
৭৫ বছর বয়সী সালমান রুশদি যুক্তরাষ্ট্রের নিউ ইয়র্কে একটি অনুষ্ঠানের মঞ্চে ছুরিকাঘাতে গুরুতর আহত হন। তাঁকে ভেন্টিলেটরেও নিতে হয়েছিল। বর্তমানে তাঁর অবস্থা উন্নতির পথে।
ভারতীয় বংশোদ্ভূত সালমান রুশদি সাহিত্য সমালোচকদের কাছে ইংরেজি ভাষার প্রশংসিত একজন লেখক। তবে ‘দ্য স্যাটানিক ভার্সেস’ লেখার পর তিনি বিতর্কিত হয়ে পড়েন। মুসলমানদের অনেকেই বইটিকে ইসলাম ধর্মের জন্য অবমাননাকর মনে করেন।
এদিকে লেখকের ছেলে জাফর রুশদি রবিবার বলেছেন, সালমান রুশদির শারীরিক অবস্থা গুরুতর হলেও তাঁর সাহস এবং স্বভাবগত রসবোধ অক্ষুন্ন আছে। সূত্র: বিবিসি।