চা শ্রমিকদের ন্যায্য দাবি মেনে নেওয়ার আহ্বান স্কপের

চা শ্রমিকদের মজুরি বৃদ্ধি, নিত্যপণ্যের দাম কমানোসহ শ্রমিক-কর্মচারীদের মজুরি পুর্নির্ধারণের দাবি জানিয়েছে শ্রমিক-কর্মচারী ঐক্য পরিষদ (স্কপ) কেন্দ্রীয় পরিচালনা পরিষদ।  বিবৃতিতে চা শ্রমিকদের মজুরি বৃদ্ধি, শ্রমজীবীদের জন্য ভর্তুকি মূল্যে রেশন চালু, ছুটির বৈষম্য নিরসনসহ ন্যায্য দাবির চলমান আন্দোলনের প্রতি সংহতি জানানোর পাশাপাশি দাবিগুলো মেনে নেওয়ার আহ্বান জানানো হয়।

আজ মঙ্গলবার (১৬ আগস্ট) গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে এই দাবি জানানো হয়।

বিবৃতিতে বলা হয়, ১২০ টাকা মজুরি নিত্যপণ্যের বর্তমান বাজারমূল্যে একজন মানুষের পুষ্টিকর খাবারের প্রয়োজন পূরণ করে না।

ফলে কাজ করেও শ্রমজীবী পরিবারের পুষ্টিকর খাবারের নিশ্চয়তা থাকবে না, এটা অমানবিক এবং কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়। তা ছাড়া দেশের অর্থনৈতিক ব্যবস্থার ভারসাম্য রক্ষা করতেও চা শ্রমিকের মজুরি উৎপাদিত পণ্যের মূল্যের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ হওয়া উচিত বলে দাবি করা হয়।  

বিবৃতিতে বলা হয়, ২০২০ সালে করোনা সংক্রমণের সময় থেকেই সাধারণ শ্রমজীবী মানুষের কর্মসংস্থান এবং আয়ের পরিমাণ কমেছে। তার বিপরীতে খাদ্যপণ্যসহ জীবনযাপনের সব উপকরণের দাম বৃদ্ধি পেয়েছে। ফলে শ্রমজীবী মানুষের জীবনমানের অবনতি হয়েছে। এই অবস্থায় শ্রমিক-কর্মচারীদের মজুরি বৃদ্ধির কোনো উদ্যোগ নেওয়া না হলেও আন্তর্জাতিক বাজারে মূল্যবৃদ্ধির কারণ দেখিয়ে জ্বালানি তেলের মতো মৌলিক পণ্যের দাম প্রায় ৫০ শতাংশ বাড়ানো হয়েছে।  অর্থপাচারকারীদের প্রতিরোধের ব্যর্থতায় ডলারের দাম বেড়েছে এবং অযৌক্তিক মাত্রায় পরিবহনভাড়া বেড়েছে।

তাতে আরো বলা হয়, জ্বালানি তেল ও ডলারের মূল্য এবং পরিবহনভাড়া বৃদ্ধির অজুহাতে ব্যবসায়ী সিন্ডিকেট চালু, ডাল, তেল, সবজি, ডিমসহ প্রায় প্রতিটি নিত্যপণ্যের মূল্য একক প্রতি ১৫ থেকে ৪০ শতাংশ পর্যন্ত বৃদ্ধি করেছে। সরকার বাজার নিয়ন্ত্রেণে ব্যর্থ হয়ে জ্বালানি তেলের দাম বাড়িয়ে ব্যবসায়ীদের নিত্যপণ্যের মূল্য আরো বাড়ানোর সুযোগ করে দিয়েছে।  

 শ্রমিক-কর্মচারী ঐক্য পরিষদের নেতারা বলেন, স্কপ নিত্যপণ্যের বাজারমূল্য বিবেচনায় ২০২০ সাল থেকে জাতীয় নিম্নতম মজুরি ২০ হাজার টাকা ঘোষণা করার দাবি জানিয়ে আসছে। অবিলম্বে জাতীয় নিম্নতম মজুরি ঘোষণা এবং মজুরি বোর্ড গঠন করে সব শ্রমিক-কর্মচারীর মজুরি আবার নির্ধারণ করতে হবে। ওএমএস বা টিসিবির ট্রাক সেল কার্যক্রম থেকে পণ্য সংগ্রহ করতে লাইনে দাঁড়িয়ে সময় পার হওয়ায় একজন শ্রমজীবী মানুষ অর্থ উপার্জনের কাজে যেতে পারে না। উপার্জন বন্ধ হয়ে যাওয়ায় ওএমএসের সাশ্রয় কার্যত কোনো উপকার করে না। তাই ওএমএস বা টিসিবির ট্রাক সেলের পরিবর্তে শ্রমজীবীদের জন্য ভর্তুকি মূল্যে রেশন চালু করতে হবে।

বিবৃতিদাতারা হলেন- স্কপ যুগ্ম সমন্বয়ক চৌধুরী আশিকুল আলম ও আহসান হাবিব বুলবুল এবং স্কপ নেতা শহিদুল্লাহ চৌধুরী, মেজবাহ উদ্দিন আহমেদ, আনোয়ার হোসেন, শাহ মোহাম্মদ জাফর, রাজেকুজ্জামান রতন, সাইফুজ্জামান বাদশা, আব্দুল কাদের হাওলাদার, কামরুল আহসান, হাবিবুল্লাহ, শামীম আরা, ডা. ওয়াজেদুল ইসলাম খান, নঈমুল আহসান জুয়েল, শাকীল আক্তার চৌধুরী, বাদল খান, আমিরুল হক আমিন, রিপন চৌধুরী, নুরুল আমিন প্রমুখ।

LEAVE A REPLY